অন্তঃসত্ত্বা অবস্থায় মা ও গর্ভস্থ শিশু দুই জনেরই যত্নের প্রয়োজন হয়। এ সময় ডিম অত্যন্ত উপযোগী একটি খাবার। অন্তঃসত্ত্বা অবস্থায় কী খাবেন, কী খাবেন না তা নিয়ে অনেকে দ্বিধা-দ্বন্দ্বে ভোগেন। এ সময় শরীরে বাড়তি পুষ্টি প্রয়োজন। তবে কিছু খাবার রয়েছে, যেগুলো অন্তঃসত্ত্বা অবস্থায় খাওয়া ভালো।
অন্তঃসত্ত্বা অবস্থায় মা ও গর্ভস্থ শিশু দুই জনেরই যত্নের প্রয়োজন হয়। এ সময় ডিম অত্যন্ত উপযোগী একটি খাবার। এর মধ্যে রয়েছে অনেক পুষ্টিগুণ।
এটি গর্ভস্থ শিশুর বৃদ্ধিতে সাহায্য করে। দইয়ের মধ্যে রয়েছে ক্যালসিয়াম। গর্ভস্থ শিশু ও অন্তঃসত্ত্বা মায়ের জন্য দই অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।
ফুলকপি, শালগম, পালংশাক ইত্যাদি শাকসবজিকে পুষ্টির শক্তির উৎস বলা হয়। এ সময়টায় পর্যাপ্ত পরিমাণ শাকসবজি খাওয়া প্রয়োজন। আখরোটের মধ্যে রয়েছে ওমেগা-৩ ফ্যাটি অ্যাসিড।
এছাড়া এর মধ্যে রয়েছে প্রোটিন ও আঁশ। এটি স্ন্যাক হিসেবে খাওয়া যায়। মটর শুঁটির মধ্যে রয়েছে আঁশ ও প্রোটিন। মটর শুঁটি অন্তঃসত্ত্বা অবস্থায় খাওয়া ভালো।
ভিটামিন ও পুষ্টি পেতে অন্তঃসত্ত্বা অবস্থায় কিছু ফল খাওয়া জরুরি। অ্যাভোকাডোর মধ্যে উচ্চ পরিমাণে ফলিক অ্যাসিড রয়েছে।
অন্তঃসত্ত্বা অবস্থায় ফলিক অ্যাসিডের জন্য এই ফল খেতে পারেন। আম শুধু সুস্বাদুই নয় এর মধ্যে আছে স্বাস্থ্যকর অনেক উপাদান। রয়েছে ভিটামিন এ ও ভিটামিন সি। অন্তঃসত্ত্বা অবস্থায় এই ফল বেশ পুষ্টিদায়ক।
অনেকে ভাবেন অন্তঃসত্ত্বা অবস্থায় আঙ্গুর খাওয়া ঠিক নয়। তবে আঙ্গুরে রয়েছে ভিটামিন এ। ফোলেট, পটাশিয়াম, ফসফরাস, ম্যাগনেসিয়াম ও সোডিয়ামও পাওয়া যায় আঙ্গুরে। তাই এই ফল অন্তঃসত্ত্বা অবস্থায় খেতে পারেন।
লেবু হজম ভালো করে, বমিভাব ও সকালের ক্লান্তিভাব দূর করে। এ ছাড়া লেবু শরীরের বিষাক্ত পদার্থ দূর করতেও কাজে দেয়।
অন্তঃসত্ত্বা অবস্থায় কোষ্ঠকাঠিন্য খুব সাধারণ একটি সমস্যা। কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করতে এ সময় কলা খেতে পারেন।
কমলা সাইট্রাস ফল। এটি ভিটামিন ও পুষ্টিগুণে ভরপুর। অন্তঃসত্ত্বা অবস্থায় এই ফল খেলে ভিটামিন সি’র চাহিদা অনেকটাই পূরণ হবে।
বলা হয়, প্রতিদিন একটি আপেল খেলে আর চিকিৎসকের কাছে যেতে হয় না। কারণ আপেল অনেক রোগ প্রতিরোধ করে। অন্তঃসত্ত্বা অবস্থায় ফলটি খেতে পারেন। এটি অন্তঃসত্ত্বা অবস্থায় খুব নিরাপদ।