ঢাকা , শুক্রবার, ২০ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ৫ আশ্বিন ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

ওষুধের দোকানে মিলবে গাঁজা

বাঙালী কন্ঠ নিউজঃ উরুগুয়েতে এখন থেকে ওষুধের দোকানগুলোতেই পাওয়া যাবে গাঁজা। দেশটির ওষুধের দোকানগুলোতে প্রকাশ্যে গাঁজা বিক্রি শুরু হয়ে গেছে। ২০১৩ সালের এক আইন অনুযায়ী প্রকাশ্যে গাঁজা বিক্রির অনুমতি দেয়া হয়। ফলে গাঁজা বিক্রির বৈধতাদানকারী বিশ্বের প্রথম দেশ হিসেবে স্বীকৃতি পাচ্ছে দক্ষিণ আমেরিকার ছোট এ দেশটি। বুধবার থেকে প্রকাশ্যে ওষুধের দোকানে মোড়কজাত গাঁজা বিক্রি শুরু হয়। দেশটির প্রেসিডেন্ট তাবারে ভ্যাজকুইজ গত সপ্তাহে গাঁজা বাণিজ্যিকরণের ঘোষণা দেন।

বিবিসি জানায়, প্রথমে পরীক্ষামূলকভাবে ১৬টি ওষুধের দোকানকে গাঁজা বিক্রির অনুমতি দেয়া হয়েছে। তবে যেখানে-সেখানে গাঁজা বিক্রি করা হবে না। এ আইনের আওতায় ওষুধের দোকান থেকে গাঁজা কিনতে হলে আগে নিবন্ধন করতে হবে। আর নিবন্ধনকারীরাই কেবল গাঁজা কিনতে পারবেন। সরকারের দেয়া তথ্যমতে, ৪ হাজার ৯৫৯ জন এ পর্যন্ত নিবন্ধন করেছেন।

এদের মধ্যে অধিকাংশের বয়সই ৩০ থেকে ৪৪ এর মধ্যে। ২০১৩ সালের আইনের আওতায় তিন ধাপে ওষুধের দোকান থেকে এ নিবন্ধন ফরম ছাড়া হয়। এতে প্রথম ধাপে ৬ হাজার ৯৪৮ জনের বেশি গ্রাহক বাড়িতে বসে গাঁজা সেবনের জন্য নিবন্ধন করেন এবং ৬৩টি ধূমপায়ী ক্লাবও অনুমোদন নেয়।

ওষুধের দোকানে বিক্রির জন্য মাত্র দুটো কোম্পানিকে সরকারিভাবে গাঁজা উৎপাদনের অনুমোদন দেয়া হয়েছে। এর বাইরে কেউ গাঁজা উৎপাদন করতে পারবে না। গত সোমবার উরুগুয়ের ন্যাশনাল ড্রাগ কাউন্সিল (এনডিসি) গাঁজার প্যাকেট দেখতে কেমন হবে তার সম্ভাব্য ছবি টুইটারে পোস্ট করেছিল। সাদা ও নীল মোহরযুক্ত ছোট প্যাকেটগুলো দেখতে অনেকটা কনডমের প্যাকেটের মতো।

Tag :
আপলোডকারীর তথ্য

Bangal Kantha

ওষুধের দোকানে মিলবে গাঁজা

আপডেট টাইম : ০২:২৭ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২০ জুলাই ২০১৭

বাঙালী কন্ঠ নিউজঃ উরুগুয়েতে এখন থেকে ওষুধের দোকানগুলোতেই পাওয়া যাবে গাঁজা। দেশটির ওষুধের দোকানগুলোতে প্রকাশ্যে গাঁজা বিক্রি শুরু হয়ে গেছে। ২০১৩ সালের এক আইন অনুযায়ী প্রকাশ্যে গাঁজা বিক্রির অনুমতি দেয়া হয়। ফলে গাঁজা বিক্রির বৈধতাদানকারী বিশ্বের প্রথম দেশ হিসেবে স্বীকৃতি পাচ্ছে দক্ষিণ আমেরিকার ছোট এ দেশটি। বুধবার থেকে প্রকাশ্যে ওষুধের দোকানে মোড়কজাত গাঁজা বিক্রি শুরু হয়। দেশটির প্রেসিডেন্ট তাবারে ভ্যাজকুইজ গত সপ্তাহে গাঁজা বাণিজ্যিকরণের ঘোষণা দেন।

বিবিসি জানায়, প্রথমে পরীক্ষামূলকভাবে ১৬টি ওষুধের দোকানকে গাঁজা বিক্রির অনুমতি দেয়া হয়েছে। তবে যেখানে-সেখানে গাঁজা বিক্রি করা হবে না। এ আইনের আওতায় ওষুধের দোকান থেকে গাঁজা কিনতে হলে আগে নিবন্ধন করতে হবে। আর নিবন্ধনকারীরাই কেবল গাঁজা কিনতে পারবেন। সরকারের দেয়া তথ্যমতে, ৪ হাজার ৯৫৯ জন এ পর্যন্ত নিবন্ধন করেছেন।

এদের মধ্যে অধিকাংশের বয়সই ৩০ থেকে ৪৪ এর মধ্যে। ২০১৩ সালের আইনের আওতায় তিন ধাপে ওষুধের দোকান থেকে এ নিবন্ধন ফরম ছাড়া হয়। এতে প্রথম ধাপে ৬ হাজার ৯৪৮ জনের বেশি গ্রাহক বাড়িতে বসে গাঁজা সেবনের জন্য নিবন্ধন করেন এবং ৬৩টি ধূমপায়ী ক্লাবও অনুমোদন নেয়।

ওষুধের দোকানে বিক্রির জন্য মাত্র দুটো কোম্পানিকে সরকারিভাবে গাঁজা উৎপাদনের অনুমোদন দেয়া হয়েছে। এর বাইরে কেউ গাঁজা উৎপাদন করতে পারবে না। গত সোমবার উরুগুয়ের ন্যাশনাল ড্রাগ কাউন্সিল (এনডিসি) গাঁজার প্যাকেট দেখতে কেমন হবে তার সম্ভাব্য ছবি টুইটারে পোস্ট করেছিল। সাদা ও নীল মোহরযুক্ত ছোট প্যাকেটগুলো দেখতে অনেকটা কনডমের প্যাকেটের মতো।