ঢাকা , শনিবার, ১৬ নভেম্বর ২০২৪, ১ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

অমুসলিমদের বিয়ে করতে পারবে তিউনিসিয় নারীরা

বাঙালী কণ্ঠ নিউজঃ তিউনিসিয়ায় অমুসলিম পুরুষদের বিয়ে করার বিষয়ে যে নিষেধাজ্ঞা ছিল সেটি তুলে নিয়েছে দেশটির কর্তৃপক্ষ।

ফলে তিউনিসিয় নারীরা অমুসলিম পুরুষদের বিয়ে করতে আর বাধা রইলো না।

তিউনিসিয়ার প্রেসিডেন্ট বেজি কায়িদ এসেবসির এক মুখপাত্র সরকারের এ সিদ্ধান্তের কথা ঘোষণা করেছেন।

‘স্বামী বেছে নেয়ার ক্ষেত্রে স্বাধীনতা’ অর্জন করায় নারীদের অভিনন্দনও জানিয়েছেন তিনি।

এতদিন পর্যন্ত অমুসলিম কোনো পুরুষ কোনো তিউনিসীয় মুসলিম নারীকে বিয়ে করতে চাইলে তাকে ধর্মান্তরিত হয়ে মুসলমান হতে হতো এবং ধর্মান্তরিত হওয়ার প্রমাণ হিসেবে কর্তৃপক্ষের কাছে একটি সার্টিফিকেটও জমা দিতে হতো।

তিউনিসিয়ার ৯৯ শতাংশ মানুষ মুসলিম।

নারী অধিকারের ক্ষেত্রে দেশটিকে আরব দেশগুলোর মধ্যে সবচেয়ে প্রগতিশীল দেশ হিসেবেই দেখা হয়।

প্রেসিডেন্ট এসেবসি ১৯৭৩ সালে জারি করা ‘বিবাহ সংক্রান্ত বিধিনিষেধ’ তুলে নেওয়ার কথা বলার পর এ পদক্ষেপ নেওয়া হলো।

গত মাসে জাতীয় নারী দিবসের এক ভাষণে প্রেসিডেন্ট এসেবসি বলেছিলেন, “দেশটির বিয়ে সংক্রান্ত আইন স্বাধীনভাবে জীবনসঙ্গী বেছে নেওয়ার ক্ষেত্রে একটি বড় বাধা।”

২০১৪ সালে ‘আরব বসন্তের’ বিপ্লবের পর নতুন করে তৈরি করা তিউনিসিয়ার সংবিধানের সঙ্গেও ১৯৭৩ সালের ওই আইনটি সাংঘর্ষিক ছিল।

এই আইনটি বাতিল করার জন্য তিউনিসিয়ার মানবাধিকার সংগঠনগুলোও ব্যাপক প্রচারণা চালিয়ে আসছিল।

আদেশটি তাৎক্ষণিকভাবে কার্যকর করা হয়েছে এবং দম্পতিরো সরকারি দপ্তরগুলোতে তাদের বিয়ে রেজিস্ট্রি করতে পারবে বলে এক ঘোষণায় জানানো হয়েছে।

Tag :
আপলোডকারীর তথ্য

Bangal Kantha

অমুসলিমদের বিয়ে করতে পারবে তিউনিসিয় নারীরা

আপডেট টাইম : ০১:২৮ অপরাহ্ন, শনিবার, ২১ অক্টোবর ২০১৭

বাঙালী কণ্ঠ নিউজঃ তিউনিসিয়ায় অমুসলিম পুরুষদের বিয়ে করার বিষয়ে যে নিষেধাজ্ঞা ছিল সেটি তুলে নিয়েছে দেশটির কর্তৃপক্ষ।

ফলে তিউনিসিয় নারীরা অমুসলিম পুরুষদের বিয়ে করতে আর বাধা রইলো না।

তিউনিসিয়ার প্রেসিডেন্ট বেজি কায়িদ এসেবসির এক মুখপাত্র সরকারের এ সিদ্ধান্তের কথা ঘোষণা করেছেন।

‘স্বামী বেছে নেয়ার ক্ষেত্রে স্বাধীনতা’ অর্জন করায় নারীদের অভিনন্দনও জানিয়েছেন তিনি।

এতদিন পর্যন্ত অমুসলিম কোনো পুরুষ কোনো তিউনিসীয় মুসলিম নারীকে বিয়ে করতে চাইলে তাকে ধর্মান্তরিত হয়ে মুসলমান হতে হতো এবং ধর্মান্তরিত হওয়ার প্রমাণ হিসেবে কর্তৃপক্ষের কাছে একটি সার্টিফিকেটও জমা দিতে হতো।

তিউনিসিয়ার ৯৯ শতাংশ মানুষ মুসলিম।

নারী অধিকারের ক্ষেত্রে দেশটিকে আরব দেশগুলোর মধ্যে সবচেয়ে প্রগতিশীল দেশ হিসেবেই দেখা হয়।

প্রেসিডেন্ট এসেবসি ১৯৭৩ সালে জারি করা ‘বিবাহ সংক্রান্ত বিধিনিষেধ’ তুলে নেওয়ার কথা বলার পর এ পদক্ষেপ নেওয়া হলো।

গত মাসে জাতীয় নারী দিবসের এক ভাষণে প্রেসিডেন্ট এসেবসি বলেছিলেন, “দেশটির বিয়ে সংক্রান্ত আইন স্বাধীনভাবে জীবনসঙ্গী বেছে নেওয়ার ক্ষেত্রে একটি বড় বাধা।”

২০১৪ সালে ‘আরব বসন্তের’ বিপ্লবের পর নতুন করে তৈরি করা তিউনিসিয়ার সংবিধানের সঙ্গেও ১৯৭৩ সালের ওই আইনটি সাংঘর্ষিক ছিল।

এই আইনটি বাতিল করার জন্য তিউনিসিয়ার মানবাধিকার সংগঠনগুলোও ব্যাপক প্রচারণা চালিয়ে আসছিল।

আদেশটি তাৎক্ষণিকভাবে কার্যকর করা হয়েছে এবং দম্পতিরো সরকারি দপ্তরগুলোতে তাদের বিয়ে রেজিস্ট্রি করতে পারবে বলে এক ঘোষণায় জানানো হয়েছে।