ঢাকা , বৃহস্পতিবার, ১৪ নভেম্বর ২০২৪, ৩০ কার্তিক ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

কানাডার ফেডারেল নির্বাচনে বাংলাদেশি আফরোজা

কানাডার ফেডারেল নির্বাচনে দেশটির ডারহাম অঞ্চলের অশোয়া এলাকা থেকে লিবারেল পার্টির মনোনয়ন নিয়ে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন বাংলাদেশি বংশোদ্ভূত কানাডীয় আফরোজা হোসেন। ২১ অক্টোবর অনুষ্ঠিত হবে ফেডারেল নির্বাচন। এরই মধ্যে শুরু হয়েছে ভোট গ্রহণ।

লিবারেল পার্টি থেকে আফরোজা হোসেনের নির্বাচনী প্রচারপত্রে লেখা হয়েছে, ‘মিট আফরোজা-এ চ্যাম্পিয়ন ফর মিডল ক্লাস ফ্যামিলি ইন অশোয়া’। ১৫ বছরের বেশি সময় ধরে পরিবার নিয়ে এই এলাকায় বসবাস করছেন তিনি। মধ্যবিত্ত জীবনের নানা টানাপোড়েন মাড়িয়ে ঘুরে দাঁড়িয়েছেন আফরোজা। ধীরে ধীরে নিজেকে তৈরি করেছেন।

ডারহাম কলেজ থেকে বিজনেস অ্যাডমিনিস্ট্রেশনে ডিপ্লোমা করেছেন এবং পরবর্তী সময়ে অন্টারিও ইনস্টিটিউট অব টেকনোলজি বিশ্ববিদ্যালয় থেকে কমার্সে অনার্স ডিগ্রি সম্পন্ন করেছেন।

দেশটির আর্থসামাজিক অবস্থা সম্পর্কে জানতে আফরোজা হোসেন নিজেকে জড়িয়েছেন নানা দাতব্য প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে। তিনি প্রায় ১৩টি দাতব্য প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে স্বেচ্ছাসেবী হিসেবে কাজ করছেন। এর মধ্যে উল্লেখযোগ্য হিউম্যান রাইটস, কানাডিয়ান স্পেস সোসাইটি ও রিফিউজি পুনর্বাসন। খাদ্য, বাসস্থান, স্বাস্থ্য ও শিক্ষার মতো মৌলিক অধিকারগুলোর ব্যাপারে তিনি বরাবরই সোচ্চার।

তিনি বলেন, লিবারেল পার্টি থেকে আমাকে এমপি পদে প্রার্থী হিসেবে মনোনীত করায় আমার দলকে ধন্যবাদ জানাই। আর এ পর্যায়ে আসা সম্ভব হয়েছে আমার এলাকার বাসিন্দাদের জন্য। যাদের সঙ্গে নানাবিধ কাজে শরিক হয়ে আমি নিজেকে তৈরি করার সুযোগ পেয়েছি। আমার বিশ্বাস আমার নির্বাচনী এলাকার সম্মানিত ভোটাররা আমার দল ও ব্যক্তিগত কাজের মূল্যায়ন করবেন।

আফরোজা হোসেন আরও বলেন, বাংলাদেশি কানাডীয় হিসেবে আমি গর্বিত। আমি মনে করি এ দেশের রাজনীতিতে আমাদের আরও সক্রিয় ও সম্পৃক্ত হওয়া প্রয়োজন। আমি আমার প্রচেষ্টা অব্যাহত রেখেছি। সকল বাংলাদেশিদের কাছে অনুরোধ করব দেশ ছেড়ে আসা আপনার এক স্বজনের জন্য প্রার্থনা করবেন। আমার শেকড় ও জন্মভূমি বাংলাদেশ।

ঢাকার বিক্রমপুরে জন্ম নেওয়া আফরোজা ৩০ বছর আগে স্বামী মোয়াজ্জেম হোসেনকে সঙ্গে নিয়ে কানাডায় অভিবাসী হিসেবে পাড়ি জমান। তার শৈশব ও কৈশোর কেটেছে শহর ঢাকায়। পড়াশোনা করেছেন মোহাম্মদপুর গার্লস হাইস্কুল ও লালমাটিয়া গার্লস কলেজে।

দেশটিতে বসবাসরত বাঙালিরাও ফেডারেল নির্বাচনে আফরোজা হোসেনের প্রার্থিতায় আনন্দিত। প্রাদেশিক নির্বাচনে জয়ী প্রথম বাংলাদেশি এমপিপি ডলি বেগমের পর আবারও কি আরেকটা উৎসবের উপলক্ষ এনে দিতে পারবেন আফরোজা। সে জন্য অপেক্ষা করতে হবে ২১ অক্টোবর অবধি!

Tag :
আপলোডকারীর তথ্য

Bangal Kantha

কানাডার ফেডারেল নির্বাচনে বাংলাদেশি আফরোজা

আপডেট টাইম : ০৩:০৩ অপরাহ্ন, শনিবার, ১৯ অক্টোবর ২০১৯

কানাডার ফেডারেল নির্বাচনে দেশটির ডারহাম অঞ্চলের অশোয়া এলাকা থেকে লিবারেল পার্টির মনোনয়ন নিয়ে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন বাংলাদেশি বংশোদ্ভূত কানাডীয় আফরোজা হোসেন। ২১ অক্টোবর অনুষ্ঠিত হবে ফেডারেল নির্বাচন। এরই মধ্যে শুরু হয়েছে ভোট গ্রহণ।

লিবারেল পার্টি থেকে আফরোজা হোসেনের নির্বাচনী প্রচারপত্রে লেখা হয়েছে, ‘মিট আফরোজা-এ চ্যাম্পিয়ন ফর মিডল ক্লাস ফ্যামিলি ইন অশোয়া’। ১৫ বছরের বেশি সময় ধরে পরিবার নিয়ে এই এলাকায় বসবাস করছেন তিনি। মধ্যবিত্ত জীবনের নানা টানাপোড়েন মাড়িয়ে ঘুরে দাঁড়িয়েছেন আফরোজা। ধীরে ধীরে নিজেকে তৈরি করেছেন।

ডারহাম কলেজ থেকে বিজনেস অ্যাডমিনিস্ট্রেশনে ডিপ্লোমা করেছেন এবং পরবর্তী সময়ে অন্টারিও ইনস্টিটিউট অব টেকনোলজি বিশ্ববিদ্যালয় থেকে কমার্সে অনার্স ডিগ্রি সম্পন্ন করেছেন।

দেশটির আর্থসামাজিক অবস্থা সম্পর্কে জানতে আফরোজা হোসেন নিজেকে জড়িয়েছেন নানা দাতব্য প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে। তিনি প্রায় ১৩টি দাতব্য প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে স্বেচ্ছাসেবী হিসেবে কাজ করছেন। এর মধ্যে উল্লেখযোগ্য হিউম্যান রাইটস, কানাডিয়ান স্পেস সোসাইটি ও রিফিউজি পুনর্বাসন। খাদ্য, বাসস্থান, স্বাস্থ্য ও শিক্ষার মতো মৌলিক অধিকারগুলোর ব্যাপারে তিনি বরাবরই সোচ্চার।

তিনি বলেন, লিবারেল পার্টি থেকে আমাকে এমপি পদে প্রার্থী হিসেবে মনোনীত করায় আমার দলকে ধন্যবাদ জানাই। আর এ পর্যায়ে আসা সম্ভব হয়েছে আমার এলাকার বাসিন্দাদের জন্য। যাদের সঙ্গে নানাবিধ কাজে শরিক হয়ে আমি নিজেকে তৈরি করার সুযোগ পেয়েছি। আমার বিশ্বাস আমার নির্বাচনী এলাকার সম্মানিত ভোটাররা আমার দল ও ব্যক্তিগত কাজের মূল্যায়ন করবেন।

আফরোজা হোসেন আরও বলেন, বাংলাদেশি কানাডীয় হিসেবে আমি গর্বিত। আমি মনে করি এ দেশের রাজনীতিতে আমাদের আরও সক্রিয় ও সম্পৃক্ত হওয়া প্রয়োজন। আমি আমার প্রচেষ্টা অব্যাহত রেখেছি। সকল বাংলাদেশিদের কাছে অনুরোধ করব দেশ ছেড়ে আসা আপনার এক স্বজনের জন্য প্রার্থনা করবেন। আমার শেকড় ও জন্মভূমি বাংলাদেশ।

ঢাকার বিক্রমপুরে জন্ম নেওয়া আফরোজা ৩০ বছর আগে স্বামী মোয়াজ্জেম হোসেনকে সঙ্গে নিয়ে কানাডায় অভিবাসী হিসেবে পাড়ি জমান। তার শৈশব ও কৈশোর কেটেছে শহর ঢাকায়। পড়াশোনা করেছেন মোহাম্মদপুর গার্লস হাইস্কুল ও লালমাটিয়া গার্লস কলেজে।

দেশটিতে বসবাসরত বাঙালিরাও ফেডারেল নির্বাচনে আফরোজা হোসেনের প্রার্থিতায় আনন্দিত। প্রাদেশিক নির্বাচনে জয়ী প্রথম বাংলাদেশি এমপিপি ডলি বেগমের পর আবারও কি আরেকটা উৎসবের উপলক্ষ এনে দিতে পারবেন আফরোজা। সে জন্য অপেক্ষা করতে হবে ২১ অক্টোবর অবধি!