ঢাকা , বৃহস্পতিবার, ০৫ ডিসেম্বর ২০২৪, ২০ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

কোরআন অবমাননার নিন্দা জানিয়ে জাতিসংঘে প্রস্তাব পাস

পবিত্র কোরআন অবমাননার ঘটনায় নিন্দা জানিয়ে জাতিসংঘ একটি প্রস্তাব পাস করেছে। এতে বিশেষ করে ইউরোপে পবিত্র কোরআন অবমাননার প্রেক্ষিতে ধর্মীয় বিদ্বেষ প্রতিরোধে কার্যকর পদক্ষেপ নিতে সদস্য দেশগুলোর প্রতি আহ্বান জানিয়েছে সংস্থাটি।

বুধবার (১২ জুলাই) এক বিশেষ বৈঠকে ভোটাভুটির মাধ্যমে প্রস্তাবটি পাস হয়।

জাতিসংঘ মানবাধিকার পরিষদের ৪৭ সদস্যের মধ্যে এই প্রস্তাবের পক্ষে ভোট দিয়েছে চীন, পাকিস্তান ও বাংলাদেশসহ মোট ২৮টি দেশ। যুক্তরাজ্য ও যুক্তরাষ্ট্রসহ মোট ১২টি দেশ বিপক্ষে ভোট দিয়েছে। ভোটদানে বিরত ছিল ৭টি দেশ।

এ বিষয়ে জাতিসংঘের মানবাধিকার সংগঠন ইউএনএইচআরসির প্রধান ভলকার টার্ক বলেন, মুসলিমবিদ্বেষ, ইসলামবিদ্বেষ, ইহুদিবিদ্বেষ কিংবা খ্রিস্টানদের নিয়ে বিদ্বেষপূর্ণ মন্তব্য কোনোভাবেই গ্রহণযোগ্য নয়। একইভাবে সংখ্যালঘু সম্প্রদায় যেমন আহমাদি, ইয়াজেদি, বাহাইদের বিরুদ্ধেও বিদ্বেষপূর্ণ আচরণও অন্যায়। এ সবকিছুই অন্যায় এবং তা বন্ধ করা প্রয়োজন।

তিনি বলেন, আলোচনা, শিক্ষা ও ধর্মীয় আদানপ্রদানের মাধ্যমে বিশেষ কোনো গোষ্ঠীর প্রতি ঘৃণা ও বিদ্বেষ বন্ধ করা সম্ভব। এর জন্য সব দেশকে এগিয়ে আসতে এবং গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা নিতে হবে।

ভলকার টার্ক মনে করেন, পবিত্র কোরআন পোড়ানোর ঘটনা সার্বিকভাবে বিদ্বেষ তৈরি করেছে, সহিংসতার জন্ম দিয়েছে এবং মানুষের ধর্মীয় বিশ্বাসে আঘাত হেনেছে। এ ধরনের ঘটনা অনভিপ্রেত। এগুলো বন্ধ হওয়া জরুরি।

সম্প্রতি সুইডেনে পবিত্র কোরআন পোড়ানোর ঘটনা ঘটে। এর প্রেক্ষিতে পাকিস্তানের আহ্বানে জাতিসংঘ বিশেষ বৈঠকের আহ্বান করে। কয়েকটি দেশের বাধার মুখে মঙ্গলবার (১১ জুলাই) প্রস্তাবটি নিয়ে কোনো ভোটাভুটি করা সম্ভব হয়নি।

Tag :
আপলোডকারীর তথ্য

Bangal Kantha

কোরআন অবমাননার নিন্দা জানিয়ে জাতিসংঘে প্রস্তাব পাস

আপডেট টাইম : ০৬:৩৫ অপরাহ্ন, বুধবার, ১২ জুলাই ২০২৩

পবিত্র কোরআন অবমাননার ঘটনায় নিন্দা জানিয়ে জাতিসংঘ একটি প্রস্তাব পাস করেছে। এতে বিশেষ করে ইউরোপে পবিত্র কোরআন অবমাননার প্রেক্ষিতে ধর্মীয় বিদ্বেষ প্রতিরোধে কার্যকর পদক্ষেপ নিতে সদস্য দেশগুলোর প্রতি আহ্বান জানিয়েছে সংস্থাটি।

বুধবার (১২ জুলাই) এক বিশেষ বৈঠকে ভোটাভুটির মাধ্যমে প্রস্তাবটি পাস হয়।

জাতিসংঘ মানবাধিকার পরিষদের ৪৭ সদস্যের মধ্যে এই প্রস্তাবের পক্ষে ভোট দিয়েছে চীন, পাকিস্তান ও বাংলাদেশসহ মোট ২৮টি দেশ। যুক্তরাজ্য ও যুক্তরাষ্ট্রসহ মোট ১২টি দেশ বিপক্ষে ভোট দিয়েছে। ভোটদানে বিরত ছিল ৭টি দেশ।

এ বিষয়ে জাতিসংঘের মানবাধিকার সংগঠন ইউএনএইচআরসির প্রধান ভলকার টার্ক বলেন, মুসলিমবিদ্বেষ, ইসলামবিদ্বেষ, ইহুদিবিদ্বেষ কিংবা খ্রিস্টানদের নিয়ে বিদ্বেষপূর্ণ মন্তব্য কোনোভাবেই গ্রহণযোগ্য নয়। একইভাবে সংখ্যালঘু সম্প্রদায় যেমন আহমাদি, ইয়াজেদি, বাহাইদের বিরুদ্ধেও বিদ্বেষপূর্ণ আচরণও অন্যায়। এ সবকিছুই অন্যায় এবং তা বন্ধ করা প্রয়োজন।

তিনি বলেন, আলোচনা, শিক্ষা ও ধর্মীয় আদানপ্রদানের মাধ্যমে বিশেষ কোনো গোষ্ঠীর প্রতি ঘৃণা ও বিদ্বেষ বন্ধ করা সম্ভব। এর জন্য সব দেশকে এগিয়ে আসতে এবং গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা নিতে হবে।

ভলকার টার্ক মনে করেন, পবিত্র কোরআন পোড়ানোর ঘটনা সার্বিকভাবে বিদ্বেষ তৈরি করেছে, সহিংসতার জন্ম দিয়েছে এবং মানুষের ধর্মীয় বিশ্বাসে আঘাত হেনেছে। এ ধরনের ঘটনা অনভিপ্রেত। এগুলো বন্ধ হওয়া জরুরি।

সম্প্রতি সুইডেনে পবিত্র কোরআন পোড়ানোর ঘটনা ঘটে। এর প্রেক্ষিতে পাকিস্তানের আহ্বানে জাতিসংঘ বিশেষ বৈঠকের আহ্বান করে। কয়েকটি দেশের বাধার মুখে মঙ্গলবার (১১ জুলাই) প্রস্তাবটি নিয়ে কোনো ভোটাভুটি করা সম্ভব হয়নি।