ঢাকা , বৃহস্পতিবার, ০৯ জানুয়ারী ২০২৫, ২৫ পৌষ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

গুয়ানতানামো বে বন্দিশালা ২০ বছর পর মুক্তি পেলেন ১১ ইয়েমেনি

কিউবার গুয়ানতানামো বেতে অবস্থিত মার্কিন নৌবাহিনী ঘাঁটির কারাগারে বিনা অপরাধে ২০ বছরেরও বেশি সময় ধরে বন্দি থাকা ১১ ইয়েমেনি মুক্তি পেয়েছেন। পেন্টাগনের এক বিবৃতিতে বলা হয়েছে- কারাগারটিতে বিনা অপরাধে যারা বন্দি রয়েছেন, তাদের মুক্তি দেওয়ার উদ্যোগ নিয়েছে বিদায়ী বাইডেন প্রশাসন। তার অংশ হিসেবে ১১ ইয়েমেনিকে মুক্তি দিয়ে ওমানে পাঠানো হয়েছে। কারাগারটিতে এখন মাত্র ১৫ জন বন্দি আছেন। এর মধ্যে ৬ জন বিনা অপরাধে বন্দি, ২ জন দোষী সাব্যস্ত এবং ৭ জনের বিরুদ্ধে ৯/১১ ও অন্য একাধিক বোমা হামলার অভিযোগ রয়েছে। তবে বন্দি স্থানান্তর প্রসঙ্গে কোনো মন্তব্য করেনি ওমান সরকার।

অতীতে ২৮ জন বন্দিকে ওমানে পাঠানো হয়েছে, তাদের সম্পর্কেও তেমন তথ্য পাওয়া যায়নি। ব্রিটিশ অ্যাক্টিভিস্ট গ্রুপ কেজ ইন্টারন্যাশনাল জানায়, তাদের মধ্যে একজন ইয়েমেনি ওমানে মারা যান। বাকিদের মধ্যে ২৬ জন ৭০ হাজার ডলার ক্ষতিপূরণ নিয়ে ইয়েমেনে ফিরে যান। আর ২৮তম বন্দির কী হয়েছিল, তা জানা যায়নি। দীর্ঘদিন ধরে বিনা অপরাধে সাজা ভোগকারীদের মুক্তি দিয়ে গুয়ানতানামো বে কারাগারটি বন্ধের দাবি জানিয়ে আসছিলেন কিছু মানবাধিকার সংগঠন ও কয়েকজন আইনপ্রণেতা। এর পরিপ্রেক্ষিতে বন্দিদের মুক্তি দেওয়ার কার্যক্রম চলছে।

Tag :
আপলোডকারীর তথ্য

Bangal Kantha

গুয়ানতানামো বে বন্দিশালা ২০ বছর পর মুক্তি পেলেন ১১ ইয়েমেনি

আপডেট টাইম : ১৮ ঘন্টা আগে

কিউবার গুয়ানতানামো বেতে অবস্থিত মার্কিন নৌবাহিনী ঘাঁটির কারাগারে বিনা অপরাধে ২০ বছরেরও বেশি সময় ধরে বন্দি থাকা ১১ ইয়েমেনি মুক্তি পেয়েছেন। পেন্টাগনের এক বিবৃতিতে বলা হয়েছে- কারাগারটিতে বিনা অপরাধে যারা বন্দি রয়েছেন, তাদের মুক্তি দেওয়ার উদ্যোগ নিয়েছে বিদায়ী বাইডেন প্রশাসন। তার অংশ হিসেবে ১১ ইয়েমেনিকে মুক্তি দিয়ে ওমানে পাঠানো হয়েছে। কারাগারটিতে এখন মাত্র ১৫ জন বন্দি আছেন। এর মধ্যে ৬ জন বিনা অপরাধে বন্দি, ২ জন দোষী সাব্যস্ত এবং ৭ জনের বিরুদ্ধে ৯/১১ ও অন্য একাধিক বোমা হামলার অভিযোগ রয়েছে। তবে বন্দি স্থানান্তর প্রসঙ্গে কোনো মন্তব্য করেনি ওমান সরকার।

অতীতে ২৮ জন বন্দিকে ওমানে পাঠানো হয়েছে, তাদের সম্পর্কেও তেমন তথ্য পাওয়া যায়নি। ব্রিটিশ অ্যাক্টিভিস্ট গ্রুপ কেজ ইন্টারন্যাশনাল জানায়, তাদের মধ্যে একজন ইয়েমেনি ওমানে মারা যান। বাকিদের মধ্যে ২৬ জন ৭০ হাজার ডলার ক্ষতিপূরণ নিয়ে ইয়েমেনে ফিরে যান। আর ২৮তম বন্দির কী হয়েছিল, তা জানা যায়নি। দীর্ঘদিন ধরে বিনা অপরাধে সাজা ভোগকারীদের মুক্তি দিয়ে গুয়ানতানামো বে কারাগারটি বন্ধের দাবি জানিয়ে আসছিলেন কিছু মানবাধিকার সংগঠন ও কয়েকজন আইনপ্রণেতা। এর পরিপ্রেক্ষিতে বন্দিদের মুক্তি দেওয়ার কার্যক্রম চলছে।