বাঙালী কণ্ঠ ডেস্কঃ মোটরসাইকেলের নিবন্ধন ফি কমানো এবং সিসি ১৬৫ থেকে ৩৫০ তে উন্নীত করার সিদ্ধান্ত প্রত্যাহারের দাবি জানিয়েছেন বাংলাদেশ যাত্রী কল্যাণ সমিতি। একই সঙ্গে সড়ক দুর্ঘটনা এড়াতে এবং পথচারীদের নিরাপত্তা বৃদ্ধির লক্ষ্যে মোটরসাইকেল নয়, গণপরিবহণ বাড়ানোর দাবি তাদের।
শনিবার (১৩ ফেব্রুয়ারি) সকালে গণমাধ্যমে পাঠানো এক বিবৃতিতে সংগঠনের মহাসচিব মোজাম্মেল হক চৌধুরী এ দাবি জানান।
বিবৃতিতে বলা হয়, প্রতিবছর প্রায় ৩ থেকে ৪ লাখ মোটরসাইকেল রাস্তায় নামছে। বিপরীতে গণপরিবহন তথা বাসের সংখ্যা জ্যামিতিক হারে কমছে। গণপরিবহনের এই ভুলনীতি বন্ধ না হলে অচিরেই দেশের যেকোনো পথে যাতায়াত কঠিন হয়ে পড়বে। বর্তমানে দেশে নিবন্ধিত ৪৪ লাখ যানবাহনের বিপরীতে ৩১ লাখ মোটরসাইকেল রয়েছে। নিবন্ধনবিহীন আরও তিন থেকে চার লাখ লক্ষ মোটরসাইকেল রাস্তায় চলছে। মোটরসাইকেল চালকদের মাত্র ১৮ লাখ ড্রাইভিং লাইসেন্স রয়েছে।
যাত্রী কল্যাণ সমিতির পরিসংখ্যান মতে, ২০২০ সালে সড়ক দুর্ঘটনার কবলে পড়েছে ৬ হাজার ৭৩৬ টি যানবাহন। এর মধ্যে মোটরসাইকেলের সংখ্যা ১ হাজার ৬৭১টি। যা মোট আক্রান্ত যানবাহনের ২৪ দশমিক ৮ শতাংশ। ২০১৯ সালে সড়ক দুর্ঘটনায় আক্রান্ত ৭ হাজার ৩৫৬টি যানবাহনের মধ্যে ১ হাজার ৫৬৩টি মোটরসাইকেল সড়ক দুর্ঘটনার কবলে পড়েছে। যা মোট আক্রান্ত যানবাহনের ২১ দশমিক ৪ শতাংশ। এতে দেখা গেছে গত এক বছরে দেশে মোটরসাইকেল দুর্ঘটনার হার বেড়েছে ৩ দশমিক ৪ শতাংশ। দেশের একমাত্র এক্সপ্রেসওয়ে ঢাকা-মাওয়া-পাঁচ্চর জাতীয় মহাসড়ক ছাড়া অন্য কোননো মহাসড়কে ১০০ কিলোমিটার গতিতে নিশ্চিন্তে মোটরসাইকেল চালানোর সুযোগ নেই।
এতে বলা হয়, রাজধানীসহ দেশের প্রধান প্রধান মহানগরে মোটরসাইকেলের জন্য আলাদা লেন না থাকায় ট্রাফিক আইন ভাঙার শীর্ষে রয়েছে মোটরসাইকেল। অন্যদিকে পঙ্গু হাসপাতালের তথ্যমতে, প্রতিবছর গড়ে সাড়ে ৭ থেকে ৮ হাজার পঙ্গুরোগী মোটরসাইকেল দুর্ঘটনার শিকার হয়ে চিকিৎসা নেন। সড়ক দুর্ঘটনা ও যানজট কমাতে চীনের ৫টি মহানগরসহ পৃথিবীর বহু দেশের প্রধান প্রধান মহানগরে মোটরসাইকেল নিষিদ্ধ করেছে।