ঢাকা , শুক্রবার, ১৫ নভেম্বর ২০২৪, ১ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

সত্যি হলো বাঙালি বিজ্ঞানীদের ভবিষ্যদ্বাণী

বাঙালী কণ্ঠ নিউজঃ সম্প্রতি পূর্ণগ্রাস সূর্যগ্রহণ দেখল বিশ্ব। আমেরিকাবাসী চাক্ষুষ করলেন, কিভাবে একটু একটু করে ঢাকা পড়ে গেল সূর্য। অন্ধকার নেমে এল দিনের আকাশে। ওই সময়ে ঠিক কেমন দেখতে লাগল সূর্যকে, সেই ছবি এতক্ষণে অনেকেই দেখে ফেলেছেন।

সূর্যের সেদিনের চেহারা নিয়ে অনেক আগেই ভবিষ্যদ্বাণী করেছিলেন কলকাতার একদল বিজ্ঞানী। IISER-কলকাতার বিজ্ঞানীরা এই সূর্যের চেহারা আগেই বর্ণনা করেছিলেন। আর গ্রহণ শেষ হওয়ার পর দেখা গেল সেটা প্রায় পুরোটাই মিলে গেছে।

ওইদিন সূর্যের যে যে বৈশিষ্ট্যের কথা বলা হয়েছিল, তা মিলে গেছে বলে বুধবার এক বিবৃতি দিয়ে জানানো হয়েছে। অ্যাস্ট্রোনমিক্যাল সোস্যাইটি অফ ইন্ডিয়ার তরফ থেকে ওই বিবৃতিতে বলা হয়েছে, সব বৈশিষ্ট্যই মিলে গিয়েছে। সূর্যকে যে ফুলের মত দেখতে লাগবে, সেকথা বলেছিলেন কলকাতার Institute of Science Education and Research-এর একদল ভারতীয় ও ব্রিটিশ বিজ্ঞানী। ৯৯ বছর পর প্রথম এই ধরনের সূর্যগ্রহণ দেখা গেল ২১ অগাস্ট।

বিজ্ঞানীদের দলের নেতৃত্বে ছিলেন দিব্যেন্দু নন্দী। এছাড়াও এই গবেষণার সঙ্গে যুক্ত ছিলেন প্রান্তিক ভৌমিক, সুমন পাণ্ডা, রাজসিক তরফদার ও সৌম্যরঞ্জন দাস। এদের সঙ্গে ছিলেন ব্রিটেনের ডুরহাম ইউনিভার্সিটির অ্যান্টনি ইয়েটস।

বিজ্ঞানীরা ভবিষ্যদ্বাণী করেছিলেন, সূর্যের দক্ষিণ-পূর্ব দিকে দুটি পদ্মফুলের পাপড়ির মত দুটি আকার দেখা যাবে। যাকে বিজ্ঞানের ভাষায় বলা হয় হেলমেট স্ট্রিমার। কোনদিকে এমন আকার হবে, কোনও আকারের সাইজ কতটা হবে, সবটাই বলে দেওয়া হয়েছিল।

এই সাফল্যের ফলে ভারত আগামিদিনে বিশ্বব্রহ্মাণ্ডের আরও অন্যান্য বিষয় নিয়েও গবেষণার পথে সহজেই এগোতে পারবে বলে মনে করা হচ্ছে।

Tag :
আপলোডকারীর তথ্য

Bangal Kantha

সত্যি হলো বাঙালি বিজ্ঞানীদের ভবিষ্যদ্বাণী

আপডেট টাইম : ১০:৫০ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৪ অগাস্ট ২০১৭

বাঙালী কণ্ঠ নিউজঃ সম্প্রতি পূর্ণগ্রাস সূর্যগ্রহণ দেখল বিশ্ব। আমেরিকাবাসী চাক্ষুষ করলেন, কিভাবে একটু একটু করে ঢাকা পড়ে গেল সূর্য। অন্ধকার নেমে এল দিনের আকাশে। ওই সময়ে ঠিক কেমন দেখতে লাগল সূর্যকে, সেই ছবি এতক্ষণে অনেকেই দেখে ফেলেছেন।

সূর্যের সেদিনের চেহারা নিয়ে অনেক আগেই ভবিষ্যদ্বাণী করেছিলেন কলকাতার একদল বিজ্ঞানী। IISER-কলকাতার বিজ্ঞানীরা এই সূর্যের চেহারা আগেই বর্ণনা করেছিলেন। আর গ্রহণ শেষ হওয়ার পর দেখা গেল সেটা প্রায় পুরোটাই মিলে গেছে।

ওইদিন সূর্যের যে যে বৈশিষ্ট্যের কথা বলা হয়েছিল, তা মিলে গেছে বলে বুধবার এক বিবৃতি দিয়ে জানানো হয়েছে। অ্যাস্ট্রোনমিক্যাল সোস্যাইটি অফ ইন্ডিয়ার তরফ থেকে ওই বিবৃতিতে বলা হয়েছে, সব বৈশিষ্ট্যই মিলে গিয়েছে। সূর্যকে যে ফুলের মত দেখতে লাগবে, সেকথা বলেছিলেন কলকাতার Institute of Science Education and Research-এর একদল ভারতীয় ও ব্রিটিশ বিজ্ঞানী। ৯৯ বছর পর প্রথম এই ধরনের সূর্যগ্রহণ দেখা গেল ২১ অগাস্ট।

বিজ্ঞানীদের দলের নেতৃত্বে ছিলেন দিব্যেন্দু নন্দী। এছাড়াও এই গবেষণার সঙ্গে যুক্ত ছিলেন প্রান্তিক ভৌমিক, সুমন পাণ্ডা, রাজসিক তরফদার ও সৌম্যরঞ্জন দাস। এদের সঙ্গে ছিলেন ব্রিটেনের ডুরহাম ইউনিভার্সিটির অ্যান্টনি ইয়েটস।

বিজ্ঞানীরা ভবিষ্যদ্বাণী করেছিলেন, সূর্যের দক্ষিণ-পূর্ব দিকে দুটি পদ্মফুলের পাপড়ির মত দুটি আকার দেখা যাবে। যাকে বিজ্ঞানের ভাষায় বলা হয় হেলমেট স্ট্রিমার। কোনদিকে এমন আকার হবে, কোনও আকারের সাইজ কতটা হবে, সবটাই বলে দেওয়া হয়েছিল।

এই সাফল্যের ফলে ভারত আগামিদিনে বিশ্বব্রহ্মাণ্ডের আরও অন্যান্য বিষয় নিয়েও গবেষণার পথে সহজেই এগোতে পারবে বলে মনে করা হচ্ছে।