ঢাকা , বৃহস্পতিবার, ২৬ ডিসেম্বর ২০২৪, ১২ পৌষ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

সাগরের মঙ্গলগ্রহের সন্ধান

বাঙালী কণ্ঠ নিউজঃ মঙ্গলগ্রহের দক্ষিণ দিকে এরিদানিয়ায় সমুদ্র থাকার চিহ্ন পাওয়া গেছে বলে জানিয়েছে নাসার মার্সরেকনাইসেন্স অর্বিটার। প্রায় ৩.৭ বিলিয়ন বছর আগে সেখানে সমুদ্র ছিল বলে মনে করা হচ্ছে।

কারণ এখানে সমুদ্রের তলার হাইড্রোথার্মাল অ্যাক্টিভিটির নিদর্শন পাওয়া গেছে।

এ ব্যাপারে গবেষকরা জানিয়েছেন, পানি গরম হয়ে বাস্পীভূত হয়ে এই জায়গার সৃষ্টি হয়েছে। নাসার জনসন স্পেস সেন্টারের পল নাইলস জানিয়েছেন, জায়গাটি সেখানে সমুদ্র থাকার প্রমাণ দিচ্ছে। পৃথিবীতে যেমন সমুদ্রের গভীরে জলবিদ্যুৎ শক্তি আছে, তেমনই এখানেও পাওয়া গেছে। প্রাণ থাকার উপযুক্ত পরিবেশও এখানে আছে। জীবন-যাপনের জন্য কোনো অসাধারণ আবহাওয়া দরকার হয় না। শুধু মাটি, তাপ ও পানি হলেই চলে। আর মঙ্গলের ওই অঞ্চলে তার প্রতিটি উপাদানই পাওয়া গেছে।

গবেষকরা আরো জানিয়েছেন, এরিদানিয়ায় প্রায় ২ লাখ ১০ হাজার কিলোমিটার জুড়ে সমুদ্র থাকার প্রমাণ মিলেছে।

ধাতব মিশ্রণও এখানে পাওয়া গেছে। অভ্র ও কার্বোনেটের প্রমাণ মিলেছে। সেগুলো যেভাবে ছড়িয়ে আছে, তাতে পানি থাকার সম্ভবনা উড়িয়ে দেয়া যায় না। এছাড়া, এই এলাকায় লাভার চিহ্নও পাওয়া গেছে।

Tag :
আপলোডকারীর তথ্য

Bangal Kantha

জনপ্রিয় সংবাদ

সাগরের মঙ্গলগ্রহের সন্ধান

আপডেট টাইম : ১০:১৬ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১২ অক্টোবর ২০১৭

বাঙালী কণ্ঠ নিউজঃ মঙ্গলগ্রহের দক্ষিণ দিকে এরিদানিয়ায় সমুদ্র থাকার চিহ্ন পাওয়া গেছে বলে জানিয়েছে নাসার মার্সরেকনাইসেন্স অর্বিটার। প্রায় ৩.৭ বিলিয়ন বছর আগে সেখানে সমুদ্র ছিল বলে মনে করা হচ্ছে।

কারণ এখানে সমুদ্রের তলার হাইড্রোথার্মাল অ্যাক্টিভিটির নিদর্শন পাওয়া গেছে।

এ ব্যাপারে গবেষকরা জানিয়েছেন, পানি গরম হয়ে বাস্পীভূত হয়ে এই জায়গার সৃষ্টি হয়েছে। নাসার জনসন স্পেস সেন্টারের পল নাইলস জানিয়েছেন, জায়গাটি সেখানে সমুদ্র থাকার প্রমাণ দিচ্ছে। পৃথিবীতে যেমন সমুদ্রের গভীরে জলবিদ্যুৎ শক্তি আছে, তেমনই এখানেও পাওয়া গেছে। প্রাণ থাকার উপযুক্ত পরিবেশও এখানে আছে। জীবন-যাপনের জন্য কোনো অসাধারণ আবহাওয়া দরকার হয় না। শুধু মাটি, তাপ ও পানি হলেই চলে। আর মঙ্গলের ওই অঞ্চলে তার প্রতিটি উপাদানই পাওয়া গেছে।

গবেষকরা আরো জানিয়েছেন, এরিদানিয়ায় প্রায় ২ লাখ ১০ হাজার কিলোমিটার জুড়ে সমুদ্র থাকার প্রমাণ মিলেছে।

ধাতব মিশ্রণও এখানে পাওয়া গেছে। অভ্র ও কার্বোনেটের প্রমাণ মিলেছে। সেগুলো যেভাবে ছড়িয়ে আছে, তাতে পানি থাকার সম্ভবনা উড়িয়ে দেয়া যায় না। এছাড়া, এই এলাকায় লাভার চিহ্নও পাওয়া গেছে।