ঢাকা , শুক্রবার, ১৫ নভেম্বর ২০২৪, ১ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

ধান গাছ ৭ ফুট লম্বা উদ্ভাবন

বাঙালী কণ্ঠ নিউজঃ বিজ্ঞানীরা চলতি সপ্তাহে নতুন ধানের জাত উদ্ভাবন করেছেন, এই ধান গাছ ২.২ মিটার (৭ ফুট ২ ইঞ্চি) পর্যন্ত লম্বা হতে পারে।

চীনের পিপলস ডেইলি অনলাইনের প্রতিবেদন অনুযায়ী, বিজ্ঞানীরা দাবি করেছেন এই দৈত্যকার ধান গাছে সাধারণ ধানের তুলনায় ৫০ শতাংশ বেশি ধানের ফলন হতে পারে। সংশ্লিষ্ট বিশেষজ্ঞরা জানিয়েছেন, তারা এই ধানের চাষ করার জন্য ১০ বছর সময় ব্যয় করেছেন।

সিনহুয়া নিউজ এজেন্সির উদ্ধৃতি দিয়ে পিপলস ডেইলি অনলাইনের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, চায়নিজ অ্যাকাডেমি অব সায়েন্সের ইনস্টিটিউট অব সাবট্রপিকাল এগ্রিকালচারের গবেষকরা পরীক্ষামূলকভাবে একটি ফিল্ডে দৈত্যকার এই ধান রোপণ ও সংগ্রহ করেছেন। পরীক্ষামূলক ফিল্ডটি কেন্দ্রীয় চীনের হুনান প্রদেশের চেংসা কাউন্টির জিনজিং এলাকায় অবস্থিত।

এই নতুন জাতের ধান গাছ গড়ে ১.৮ মিটার (৫ ফুট ১০ ইঞ্চি) লম্বা হয়, যা সর্বোচ্চ ২.২ মিটার পর্যন্ত হতে পারে।

গবেষণা প্রকল্পটির সঙ্গে জড়িত জিয়া জিনজি নামের একজন গবেষক বলেন, প্রত্যাশা করা হচ্ছে এই দৈত্যকার ধান গাছ থেকে প্রতি হেক্টরে ১১.৫ টন ধানের ফলন সম্ভব হবে। জিয়া বলেন, সাধারণ ধানের ফলনের তুলনায় যা প্রতি হেক্টরে ৫০ শতাংশ বেশি। তিনি বলেন, এই জাতের ধান গাছের প্রতিটি শীষ থেকে ৫শ’র বেশি ধান সংগ্রহ করেছেন তারা।

চীনের বিজ্ঞানীরা জানিয়েছেন, নতুন এই ধান চাষের জন্য তারা বেশি কিছু নতুন প্রযুক্তি ব্যবহার করেছেন, যার মধ্যে রয়েছে পরিবর্তন আনয়ন প্রযুক্তিসহ বিভিন্ন ধরনের বন্য চালের মধ্যে হাইব্রিডাইজেশন।

ক্রমবর্ধমান জনসংখ্যা এবং কৃষকের অভাবের সমস্যায় থাকা চীনে এই দৈত্যকৃতি ধান গাছ ব্যাপকভাবে উপকার বয়ে আনবে বলে প্রত্যাশা করা হয়েছে।

চীনের খ্যাতনামা একজন কৃষিবিজ্ঞানী ইউয়ান লিংপিং গত মাসে পিপলস ডেইলি অনলাইনকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে জানিয়েছিলেন, ‘১৯৯৫ সালের তুলনায় ২০৩০ সালে চীনে ৬০ শতাংশ বেশি চালের উৎপাদনের প্রয়োজন হবে।’

তথ্যসূত্র : ডেইল মেইল

Tag :
আপলোডকারীর তথ্য

Bangal Kantha

ধান গাছ ৭ ফুট লম্বা উদ্ভাবন

আপডেট টাইম : ১০:১৩ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৯ অক্টোবর ২০১৭

বাঙালী কণ্ঠ নিউজঃ বিজ্ঞানীরা চলতি সপ্তাহে নতুন ধানের জাত উদ্ভাবন করেছেন, এই ধান গাছ ২.২ মিটার (৭ ফুট ২ ইঞ্চি) পর্যন্ত লম্বা হতে পারে।

চীনের পিপলস ডেইলি অনলাইনের প্রতিবেদন অনুযায়ী, বিজ্ঞানীরা দাবি করেছেন এই দৈত্যকার ধান গাছে সাধারণ ধানের তুলনায় ৫০ শতাংশ বেশি ধানের ফলন হতে পারে। সংশ্লিষ্ট বিশেষজ্ঞরা জানিয়েছেন, তারা এই ধানের চাষ করার জন্য ১০ বছর সময় ব্যয় করেছেন।

সিনহুয়া নিউজ এজেন্সির উদ্ধৃতি দিয়ে পিপলস ডেইলি অনলাইনের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, চায়নিজ অ্যাকাডেমি অব সায়েন্সের ইনস্টিটিউট অব সাবট্রপিকাল এগ্রিকালচারের গবেষকরা পরীক্ষামূলকভাবে একটি ফিল্ডে দৈত্যকার এই ধান রোপণ ও সংগ্রহ করেছেন। পরীক্ষামূলক ফিল্ডটি কেন্দ্রীয় চীনের হুনান প্রদেশের চেংসা কাউন্টির জিনজিং এলাকায় অবস্থিত।

এই নতুন জাতের ধান গাছ গড়ে ১.৮ মিটার (৫ ফুট ১০ ইঞ্চি) লম্বা হয়, যা সর্বোচ্চ ২.২ মিটার পর্যন্ত হতে পারে।

গবেষণা প্রকল্পটির সঙ্গে জড়িত জিয়া জিনজি নামের একজন গবেষক বলেন, প্রত্যাশা করা হচ্ছে এই দৈত্যকার ধান গাছ থেকে প্রতি হেক্টরে ১১.৫ টন ধানের ফলন সম্ভব হবে। জিয়া বলেন, সাধারণ ধানের ফলনের তুলনায় যা প্রতি হেক্টরে ৫০ শতাংশ বেশি। তিনি বলেন, এই জাতের ধান গাছের প্রতিটি শীষ থেকে ৫শ’র বেশি ধান সংগ্রহ করেছেন তারা।

চীনের বিজ্ঞানীরা জানিয়েছেন, নতুন এই ধান চাষের জন্য তারা বেশি কিছু নতুন প্রযুক্তি ব্যবহার করেছেন, যার মধ্যে রয়েছে পরিবর্তন আনয়ন প্রযুক্তিসহ বিভিন্ন ধরনের বন্য চালের মধ্যে হাইব্রিডাইজেশন।

ক্রমবর্ধমান জনসংখ্যা এবং কৃষকের অভাবের সমস্যায় থাকা চীনে এই দৈত্যকৃতি ধান গাছ ব্যাপকভাবে উপকার বয়ে আনবে বলে প্রত্যাশা করা হয়েছে।

চীনের খ্যাতনামা একজন কৃষিবিজ্ঞানী ইউয়ান লিংপিং গত মাসে পিপলস ডেইলি অনলাইনকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে জানিয়েছিলেন, ‘১৯৯৫ সালের তুলনায় ২০৩০ সালে চীনে ৬০ শতাংশ বেশি চালের উৎপাদনের প্রয়োজন হবে।’

তথ্যসূত্র : ডেইল মেইল