ঢাকা , শুক্রবার, ২৭ ডিসেম্বর ২০২৪, ১২ পৌষ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

সোনার জন্মসূত্রের সন্ধান

বাঙালী কণ্ঠ নিউজঃ ১৩ কোটি বছর আগে এক মহাজাগতিক সংঘাতে সৃষ্টি হয় সোনা, রুপা ও প্লাটিনামের মতো ভারী ধাতু। এমনটাই জানিয়েছেন একদল বিজ্ঞানী। সেই সংঘাতের তরঙ্গের সংকেত পেয়েছেন বিজ্ঞানীরা।

বিজ্ঞানীদের দাবি, এমন একটি তরঙ্গ গত আগস্টে পৃথিবীতে পৌঁছেছে। সেটি প্রত্যক্ষ করেছেন বিশ্বের বেশ কয়েকটি দেশের জ্যোতির্বিজ্ঞানীরা। তাঁরা বলছেন, হাইড্রা নক্ষত্রপুঞ্জের ‘এনজিসি ৪৯৯৩’ নামে একটি গ্যালাক্সির অন্তর্ভুক্ত দুটি নিউট্রনের নক্ষত্রের সংঘর্ষ হয়েছিল ১৩ কোটি বছর আগে। তখন মহাবিশ্বজুড়ে মহাজাগতিক তরঙ্গের ঢেউ আছড়ে পড়ে। সেই তরঙ্গ আছড়ে পড়ে পৃথিবীতেও।

গত আগস্টে যুক্তরাষ্ট্রের লেজার ইনটারফেরোমিটার গ্র্যাভিশনাল-ওয়েভ অবজারভেটরিস (লাইগো) এবং ইতালির ভাইগ্রো নামের ডিটেক্টর সেই তরঙ্গ চিহ্নিত করে।

ক্যালিফোর্নিয়া ইনস্টিটিউট অব টেকনোলজির বিজ্ঞানী ডেভিড রেইটজ বলেন, এটি মহাবিশ্বের সবচেয়ে বড় আতসবাজির খেলা। এই দুই নক্ষত্রের সংঘর্ষে গামা রশ্মি তৈরি হয়; তৈরি হয় সোনা, রূপা, প্লাটিনাম ও ইউরেনিয়ামের মতো ভারী ধাতু।

উল্লেখ্য, ১৯১৬ সালে এমনই মহাকর্ষ তরঙ্গের ইঙ্গিত দিয়েছিলেন আইনস্টাইন। আপেক্ষিকতাবাদ তত্ত্বে এই তরঙ্গের পূর্বাভাস দেন জার্মান বিজ্ঞানী। দু’বছর আগে ম্যাসাচুসেট ইনস্টিটিউট অব টেকনোলজি এবং ক্যালিফোর্নিয়া ইনস্টিটিউট অব টেকনোলজির বিজ্ঞানীরা দুটি ব্ল্যাক হোল থেকে তৈরি হওয়া মহাকর্ষ তরঙ্গ শনাক্ত করেন। ওই গবেষণায় যুক্ত তিন মার্কিন বিজ্ঞানীই নোবেল পান এ বছর।

Tag :
আপলোডকারীর তথ্য

Bangal Kantha

জনপ্রিয় সংবাদ

সোনার জন্মসূত্রের সন্ধান

আপডেট টাইম : ০৫:০২ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ২০ অক্টোবর ২০১৭

বাঙালী কণ্ঠ নিউজঃ ১৩ কোটি বছর আগে এক মহাজাগতিক সংঘাতে সৃষ্টি হয় সোনা, রুপা ও প্লাটিনামের মতো ভারী ধাতু। এমনটাই জানিয়েছেন একদল বিজ্ঞানী। সেই সংঘাতের তরঙ্গের সংকেত পেয়েছেন বিজ্ঞানীরা।

বিজ্ঞানীদের দাবি, এমন একটি তরঙ্গ গত আগস্টে পৃথিবীতে পৌঁছেছে। সেটি প্রত্যক্ষ করেছেন বিশ্বের বেশ কয়েকটি দেশের জ্যোতির্বিজ্ঞানীরা। তাঁরা বলছেন, হাইড্রা নক্ষত্রপুঞ্জের ‘এনজিসি ৪৯৯৩’ নামে একটি গ্যালাক্সির অন্তর্ভুক্ত দুটি নিউট্রনের নক্ষত্রের সংঘর্ষ হয়েছিল ১৩ কোটি বছর আগে। তখন মহাবিশ্বজুড়ে মহাজাগতিক তরঙ্গের ঢেউ আছড়ে পড়ে। সেই তরঙ্গ আছড়ে পড়ে পৃথিবীতেও।

গত আগস্টে যুক্তরাষ্ট্রের লেজার ইনটারফেরোমিটার গ্র্যাভিশনাল-ওয়েভ অবজারভেটরিস (লাইগো) এবং ইতালির ভাইগ্রো নামের ডিটেক্টর সেই তরঙ্গ চিহ্নিত করে।

ক্যালিফোর্নিয়া ইনস্টিটিউট অব টেকনোলজির বিজ্ঞানী ডেভিড রেইটজ বলেন, এটি মহাবিশ্বের সবচেয়ে বড় আতসবাজির খেলা। এই দুই নক্ষত্রের সংঘর্ষে গামা রশ্মি তৈরি হয়; তৈরি হয় সোনা, রূপা, প্লাটিনাম ও ইউরেনিয়ামের মতো ভারী ধাতু।

উল্লেখ্য, ১৯১৬ সালে এমনই মহাকর্ষ তরঙ্গের ইঙ্গিত দিয়েছিলেন আইনস্টাইন। আপেক্ষিকতাবাদ তত্ত্বে এই তরঙ্গের পূর্বাভাস দেন জার্মান বিজ্ঞানী। দু’বছর আগে ম্যাসাচুসেট ইনস্টিটিউট অব টেকনোলজি এবং ক্যালিফোর্নিয়া ইনস্টিটিউট অব টেকনোলজির বিজ্ঞানীরা দুটি ব্ল্যাক হোল থেকে তৈরি হওয়া মহাকর্ষ তরঙ্গ শনাক্ত করেন। ওই গবেষণায় যুক্ত তিন মার্কিন বিজ্ঞানীই নোবেল পান এ বছর।