ঢাকা , সোমবার, ০৭ অক্টোবর ২০২৪, ২২ আশ্বিন ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

এসে গেল রোবট কৃষক

বাঙালী কণ্ঠ নিউজঃ ধীরে ধীরে সব রোবটের দখলে চলে যাবে। তার কিছু নমুনা এখনই দেখা যাচ্ছে। আমেরিকাতে দিনমজুর পাওয়া খুব দুষ্কর। আর যাও পাওয়া যায় তাদের মজুরি অনেক বেশি। ফলে আমেরিকার মূল শহরের কাছাকাছি এলাকায় কৃষি কাজ করার মতো মানুষ পাওয়া যায়না। এসব এলাকায় দূর দূরান্ত থেকে সবজি আসে। এমনকি পাশের দেশ মেক্সিকো থেকেও সবজি আসে এখানে। ক্যালিফোর্নিয়া, অ্যারিজোনা এসব এলাকা থেকে মেট্রোসিটিতে সবজি যায়। ফলে কখনো কখনো এক সপ্তাহ পুরোনো সবজিই খেতে হয়।

এ কারণে গুগল থেকে শুরু করে অনেকেই গ্রিন হাউস প্রজেক্ট করে সবজি উৎপাদনের প্রকল্প হাতে নিয়েছিল। কিন্তু সেই অর্থে কেউই সফল হয়নি। উৎপাদন খরচ বেশি হওয়ায় মুখ থুবড়ে পরেছে সেসব প্রকল্প।

এবার নতুন একটি স্টার্টআপ প্রতিষ্ঠান মাঠে এসেছে। ‘আয়রন অক্স’ নামের এই প্রতিষ্ঠান নামেই বুঝিয়ে দিচ্ছে তারা কারা? মানে লৌহ ষাঁড়! হ্যাঁ। যদিও তাদের তৈরি রোবটগুলো দেখতে কোনো কোণ থেকেই ষাঁড়ের ধারে কাছেও লাগেনা। বরং বীজতলার মতোই মনে হয়, তবুও কৃষি কাজে ষাঁড়ের বিকল্প রোবট ব্যবহারের জন্যই এমন নামকরণ হয়তো। সালাদ জাতীয় সবজি যেমন তুলসি পাতা, পালং শাক, ধনে পাতা, লেটুস পাতা ইত্যাদি উৎপাদন করে আয়রন অক্স। তারা শুধু জায়গা এবং দিনমজুর বাঁচায় না, একই সঙ্গে বজায় রাখে সবজির গুণ ও মান। এমনকি তাদের ভাষায়, রোবট কৃষকের মাধ্যমে সবচেয়ে মজাদার এবং বিশুদ্ধ সবজি উৎপাদন করে তারা।

ব্র্যান্ডন আলেকজেন্ডার, যিনি আয়রন অক্সের কর্ণধার, তিনি ৬ মিলিয়ন ডলার বিনিয়োগ করে দুই বছরের গবেষণায় গড়ে তুলেছেন এই প্রতিষ্ঠান। তিনি তার প্রকল্পে কৃত্রিম আলোর গ্রীন হাউসের বদলে সূর্যের ওপরই নির্ভর থেকেছেন। কেননা কৃত্রিম আলোর গ্রীন হাউস অনেক ব্যয়বহুল এবং শক্তির অপচয় করে।

রোবট কৃষকের নাম হচ্ছে ‘আঙ্গাস’। সে যেমন বীজ বপন করতে পারে, তেমনি পারে পাতা তুলতে গাছ থেকে। এক জায়গা থেকে অন্য জায়গায় বীজতলা সরাতে পারে। পারে এক বীজতলা থেকে অন্য বীজতলায় চারা রোপন করতে। আয়রন অক্স ৮০০০ স্কয়ার ফিটের ওয়ার হাউজ নিয়েছে সান ফ্র্যান্সিস্কো থেকে ২৫ মাইল দূরের সান কার্লোসে। আয়রন অক্সের ইচ্ছা আগামী ২ বছরের ভেতর তারা আমেরিকার মূল শহরগুলোয় তাদের কার্যক্রম সম্প্রসারণ করবে। এতে করে আমেরিকাবাসী পাবে টাটকা সবজির স্বাদ।

বর্তমানে কিছুটা ক্ষতি মেনে নিয়ে তারা সবজি বিক্রি করছে পরিচিতির জন্য। তাদের আশা পুরোদমে উৎপাদন শুরু হলে কয়েক বছরের ভেতর লাভের মুখ দেখবে রোবট কৃষকের প্রতিষ্ঠান আয়রন অক্স।

Tag :
আপলোডকারীর তথ্য

এসে গেল রোবট কৃষক

আপডেট টাইম : ০৬:৩৫ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ৮ অক্টোবর ২০১৮

বাঙালী কণ্ঠ নিউজঃ ধীরে ধীরে সব রোবটের দখলে চলে যাবে। তার কিছু নমুনা এখনই দেখা যাচ্ছে। আমেরিকাতে দিনমজুর পাওয়া খুব দুষ্কর। আর যাও পাওয়া যায় তাদের মজুরি অনেক বেশি। ফলে আমেরিকার মূল শহরের কাছাকাছি এলাকায় কৃষি কাজ করার মতো মানুষ পাওয়া যায়না। এসব এলাকায় দূর দূরান্ত থেকে সবজি আসে। এমনকি পাশের দেশ মেক্সিকো থেকেও সবজি আসে এখানে। ক্যালিফোর্নিয়া, অ্যারিজোনা এসব এলাকা থেকে মেট্রোসিটিতে সবজি যায়। ফলে কখনো কখনো এক সপ্তাহ পুরোনো সবজিই খেতে হয়।

এ কারণে গুগল থেকে শুরু করে অনেকেই গ্রিন হাউস প্রজেক্ট করে সবজি উৎপাদনের প্রকল্প হাতে নিয়েছিল। কিন্তু সেই অর্থে কেউই সফল হয়নি। উৎপাদন খরচ বেশি হওয়ায় মুখ থুবড়ে পরেছে সেসব প্রকল্প।

এবার নতুন একটি স্টার্টআপ প্রতিষ্ঠান মাঠে এসেছে। ‘আয়রন অক্স’ নামের এই প্রতিষ্ঠান নামেই বুঝিয়ে দিচ্ছে তারা কারা? মানে লৌহ ষাঁড়! হ্যাঁ। যদিও তাদের তৈরি রোবটগুলো দেখতে কোনো কোণ থেকেই ষাঁড়ের ধারে কাছেও লাগেনা। বরং বীজতলার মতোই মনে হয়, তবুও কৃষি কাজে ষাঁড়ের বিকল্প রোবট ব্যবহারের জন্যই এমন নামকরণ হয়তো। সালাদ জাতীয় সবজি যেমন তুলসি পাতা, পালং শাক, ধনে পাতা, লেটুস পাতা ইত্যাদি উৎপাদন করে আয়রন অক্স। তারা শুধু জায়গা এবং দিনমজুর বাঁচায় না, একই সঙ্গে বজায় রাখে সবজির গুণ ও মান। এমনকি তাদের ভাষায়, রোবট কৃষকের মাধ্যমে সবচেয়ে মজাদার এবং বিশুদ্ধ সবজি উৎপাদন করে তারা।

ব্র্যান্ডন আলেকজেন্ডার, যিনি আয়রন অক্সের কর্ণধার, তিনি ৬ মিলিয়ন ডলার বিনিয়োগ করে দুই বছরের গবেষণায় গড়ে তুলেছেন এই প্রতিষ্ঠান। তিনি তার প্রকল্পে কৃত্রিম আলোর গ্রীন হাউসের বদলে সূর্যের ওপরই নির্ভর থেকেছেন। কেননা কৃত্রিম আলোর গ্রীন হাউস অনেক ব্যয়বহুল এবং শক্তির অপচয় করে।

রোবট কৃষকের নাম হচ্ছে ‘আঙ্গাস’। সে যেমন বীজ বপন করতে পারে, তেমনি পারে পাতা তুলতে গাছ থেকে। এক জায়গা থেকে অন্য জায়গায় বীজতলা সরাতে পারে। পারে এক বীজতলা থেকে অন্য বীজতলায় চারা রোপন করতে। আয়রন অক্স ৮০০০ স্কয়ার ফিটের ওয়ার হাউজ নিয়েছে সান ফ্র্যান্সিস্কো থেকে ২৫ মাইল দূরের সান কার্লোসে। আয়রন অক্সের ইচ্ছা আগামী ২ বছরের ভেতর তারা আমেরিকার মূল শহরগুলোয় তাদের কার্যক্রম সম্প্রসারণ করবে। এতে করে আমেরিকাবাসী পাবে টাটকা সবজির স্বাদ।

বর্তমানে কিছুটা ক্ষতি মেনে নিয়ে তারা সবজি বিক্রি করছে পরিচিতির জন্য। তাদের আশা পুরোদমে উৎপাদন শুরু হলে কয়েক বছরের ভেতর লাভের মুখ দেখবে রোবট কৃষকের প্রতিষ্ঠান আয়রন অক্স।