ঢাকা , রবিবার, ২২ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ৬ আশ্বিন ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

এই বিরল প্রজাতির মুরগির রক্তও কালো

বাঙালী কণ্ঠ নিউজঃ এক বিরল প্রজাতির মুরগি ‘অ্যায়াম কেমানি’। সারা শরীর কুচকুচে কালো। কালো ছাড়া অন্য কোনও রঙের ছিঁটেফোটাও নেই শরীরে। বিরল প্রজাতির এই মুরগির দেখা পাওয়া যায় ইন্দোনেশিয়ায়। সোশ্যাল মিডিয়ায় রীতিমতো ভাইরাল এখন এই মুরগি। এক নজরে জেনে নেওয়া যাক অ্যায়াম কেমানি সম্পর্কে কিছু গুরুত্বপূর্ণ তথ্য।

পালক, ঠোঁট, চোখ থেকে পায়ের নখ—এই প্রজাতির মুরগির সব কিছুই কালো। এমনকী তার চামড়া, জিহ্বাও কালো। স্থানীয় বাসিন্দারা জানিয়েছেন তাদের রক্তের র‌ংও কালচে। স্থানীয় বাসিন্দাদের দাবি, এই প্রজাতির মুরগির শরীরের সব অঙ্গসহ হাড়ও কালো। তবে বিশেষজ্ঞেরা বলেন, আসলে ফাইব্রোমেলানোসিস নামে বিরল রোগে আক্রান্ত এই প্রজাতির মুরগি। শরীরে অতিরিক্ত মেলানিন থাকায় তারা এতটা কালো। সংকর প্রজাতির এই মুরগি প্রথম ইন্দোনেশিয়াতেই তৈরি করা হয়। সেদেশে এই মুরগির ব্যাপক চাহিদা রয়েছে। তবে প্রতি দিনের খাবার হিসেবে নয়। ইন্দোনেশিয়ায় বিভিন্ন ধর্মীয় অনুষ্ঠানে উত্সর্গ করে তার পর খাওয়া হয় ওই মুরগি। ইন্দোনেশিয়ার মানুষ মনে করেন, ঘরে কালো মুরগি থাকলে সুখ সমৃদ্ধি বৃদ্ধি পায়। তাই তারা বেশি দাম দিয়ে এই মুরগি কিনে লালন-পালন করেন।

Tag :
আপলোডকারীর তথ্য

এই বিরল প্রজাতির মুরগির রক্তও কালো

আপডেট টাইম : ০৩:২৫ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৭ মে ২০১৮

বাঙালী কণ্ঠ নিউজঃ এক বিরল প্রজাতির মুরগি ‘অ্যায়াম কেমানি’। সারা শরীর কুচকুচে কালো। কালো ছাড়া অন্য কোনও রঙের ছিঁটেফোটাও নেই শরীরে। বিরল প্রজাতির এই মুরগির দেখা পাওয়া যায় ইন্দোনেশিয়ায়। সোশ্যাল মিডিয়ায় রীতিমতো ভাইরাল এখন এই মুরগি। এক নজরে জেনে নেওয়া যাক অ্যায়াম কেমানি সম্পর্কে কিছু গুরুত্বপূর্ণ তথ্য।

পালক, ঠোঁট, চোখ থেকে পায়ের নখ—এই প্রজাতির মুরগির সব কিছুই কালো। এমনকী তার চামড়া, জিহ্বাও কালো। স্থানীয় বাসিন্দারা জানিয়েছেন তাদের রক্তের র‌ংও কালচে। স্থানীয় বাসিন্দাদের দাবি, এই প্রজাতির মুরগির শরীরের সব অঙ্গসহ হাড়ও কালো। তবে বিশেষজ্ঞেরা বলেন, আসলে ফাইব্রোমেলানোসিস নামে বিরল রোগে আক্রান্ত এই প্রজাতির মুরগি। শরীরে অতিরিক্ত মেলানিন থাকায় তারা এতটা কালো। সংকর প্রজাতির এই মুরগি প্রথম ইন্দোনেশিয়াতেই তৈরি করা হয়। সেদেশে এই মুরগির ব্যাপক চাহিদা রয়েছে। তবে প্রতি দিনের খাবার হিসেবে নয়। ইন্দোনেশিয়ায় বিভিন্ন ধর্মীয় অনুষ্ঠানে উত্সর্গ করে তার পর খাওয়া হয় ওই মুরগি। ইন্দোনেশিয়ার মানুষ মনে করেন, ঘরে কালো মুরগি থাকলে সুখ সমৃদ্ধি বৃদ্ধি পায়। তাই তারা বেশি দাম দিয়ে এই মুরগি কিনে লালন-পালন করেন।