ঢাকা , শুক্রবার, ১৩ ডিসেম্বর ২০২৪, ২৯ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

অর্থ আত্মসাৎ: ছেলেসহ খালাস পেলেন বিএনপি নেতা মোশাররফ

বাংলাদেশ বিমানের সাড়ে ৪৮ লাখ টাকা অর্থ আত্মসাতের ঘটনায় দুদকের মামলায় বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ও সাবেক স্বাস্থ্যমন্ত্রী ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন, ছেলে খন্দকার মাহবুব হোসেন ও স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের সাবেক লাইন ডিরেক্টর ডা. মাহবুবুর রহমানকে বেকসুর খালাস দিয়েছেন আদালত।

আসামিদের বিরুদ্ধে দুদক অভিযোগ প্রমাণ করতে না পারায় আজ বৃহস্পতিবার ঢাকার এক নম্বর বিশেষ জজ আদালতের বিচারক আবুল কাশেম তাদের খালাসের রায় দেন।

রায় ঘোষণার সময় খন্দকার মোশাররফ হোসেন ও খন্দকার মাহবুব হোসেন আদালতে উপস্থিত ছিলেন। তবে মাহবুবুর রহমান অনুপস্থিত ছিলেন। আসামিপক্ষের আইনজীবী বোরহান উদ্দিন এতথ্য নিশ্চিত করেন।

মামলার অভিযোগ থেকে জানা যায়, আসামিরা পরস্পর যোগসাজসে ক্ষমতার অপব্যবহার করে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের অধীন ও বিশ্ব ব্যাংকের প্রকল্পভুক্ত বিদেশে গমনেচ্ছু কর্মকর্তা বা কর্মচারীদের বিমানের টিকিট সরবরাহের বিষয়ে প্রতারণা, জালিয়াতি ও অস্বচ্ছ প্রক্রিয়ায় সাজানো টেন্ডারের মাধ্যমে সরকারের ৪৮ লাখ ৫১ হাজার ৮০ টাকা ক্ষতি করে নিজেরা লাভবান হন।

ওই ঘটনায় ২০০৮ সালের ১ সেপ্টেম্বর দুদকের উপপরিচালক লুৎফর রহমান মামলাটি করেন। ২০১৭ সালের ১২ এপ্রিল মামলা তদন্ত কর্মকর্তা দুদকের সহকারী পরিচালক মোস্তাফিজুর রহমান আসামিদের বিরুদ্ধে চার্জশিট দাখিল করেন। ২০১৮ সালের ৩০ জুলাই আসামিদের বিরুদ্ধে চার্জগঠন করে বিচার শুরুর আদেশ দেন আদালত।

এর আগে গত ২২ আগস্ট একই আদালত দুদকের বিদেশে অর্থ পাচার (মানিলন্ডারিং) মামলার রায়ে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন খালাস প্রদান করেন।

Tag :
আপলোডকারীর তথ্য

Bangal Kantha

জনপ্রিয় সংবাদ

অর্থ আত্মসাৎ: ছেলেসহ খালাস পেলেন বিএনপি নেতা মোশাররফ

আপডেট টাইম : ১১:৪০ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৮ নভেম্বর ২০২৪

বাংলাদেশ বিমানের সাড়ে ৪৮ লাখ টাকা অর্থ আত্মসাতের ঘটনায় দুদকের মামলায় বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ও সাবেক স্বাস্থ্যমন্ত্রী ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন, ছেলে খন্দকার মাহবুব হোসেন ও স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের সাবেক লাইন ডিরেক্টর ডা. মাহবুবুর রহমানকে বেকসুর খালাস দিয়েছেন আদালত।

আসামিদের বিরুদ্ধে দুদক অভিযোগ প্রমাণ করতে না পারায় আজ বৃহস্পতিবার ঢাকার এক নম্বর বিশেষ জজ আদালতের বিচারক আবুল কাশেম তাদের খালাসের রায় দেন।

রায় ঘোষণার সময় খন্দকার মোশাররফ হোসেন ও খন্দকার মাহবুব হোসেন আদালতে উপস্থিত ছিলেন। তবে মাহবুবুর রহমান অনুপস্থিত ছিলেন। আসামিপক্ষের আইনজীবী বোরহান উদ্দিন এতথ্য নিশ্চিত করেন।

মামলার অভিযোগ থেকে জানা যায়, আসামিরা পরস্পর যোগসাজসে ক্ষমতার অপব্যবহার করে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের অধীন ও বিশ্ব ব্যাংকের প্রকল্পভুক্ত বিদেশে গমনেচ্ছু কর্মকর্তা বা কর্মচারীদের বিমানের টিকিট সরবরাহের বিষয়ে প্রতারণা, জালিয়াতি ও অস্বচ্ছ প্রক্রিয়ায় সাজানো টেন্ডারের মাধ্যমে সরকারের ৪৮ লাখ ৫১ হাজার ৮০ টাকা ক্ষতি করে নিজেরা লাভবান হন।

ওই ঘটনায় ২০০৮ সালের ১ সেপ্টেম্বর দুদকের উপপরিচালক লুৎফর রহমান মামলাটি করেন। ২০১৭ সালের ১২ এপ্রিল মামলা তদন্ত কর্মকর্তা দুদকের সহকারী পরিচালক মোস্তাফিজুর রহমান আসামিদের বিরুদ্ধে চার্জশিট দাখিল করেন। ২০১৮ সালের ৩০ জুলাই আসামিদের বিরুদ্ধে চার্জগঠন করে বিচার শুরুর আদেশ দেন আদালত।

এর আগে গত ২২ আগস্ট একই আদালত দুদকের বিদেশে অর্থ পাচার (মানিলন্ডারিং) মামলার রায়ে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন খালাস প্রদান করেন।