নিম্নবিত্ত মানুষের জন্য ট্রাকে কম দামে পণ্য বিক্রির জন্য বিশেষ ওএমএস কার্যক্রম আপাতত বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার। ক্রয় সংক্রান্ত উপদেষ্টা কমিটির বৈঠকে এ সিদ্ধান্ত হয়েছে বলে জানিয়েছেন অর্থ উপদেষ্টা সালেহ উদ্দিন আহমেদ।
আজ মঙ্গলবার সচিবালয়ে ক্রয় সংক্রান্ত উপদেষ্টা কমিটির বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। এতে সভাপতিত্ব করেন অর্থ উপদেষ্টা ড. সালেহ উদ্দিন আহমেদ। সেখানে কৃষিপণ্য কম মূল্যে বিক্রির বিশেষ ওএমএস কার্যক্রম নিয়ে আলোচনা হয়েছে। এই কার্যক্রমের সুবিধাভোগী ছিল প্রায় ৮ লাখ মানুষ।
অর্থ উপদেষ্টা বলেন, ‘গত ডিসেম্বর পর্যন্ত বিশেষ ওএমএসের সময়সীমা ছিল। সেটি আর না বাড়ানোর সিদ্ধান্ত হয়েছে। কারণ সবজিসহ কিছু পণ্য এতো কম মূল্যে দেওয়া হতো যে সেটা আর দেওয়া যায় না। এখন পণ্যের সরবরাহও আছে।’
তিনি বলেন, ‘কার্ডের মাধ্যমে সাশ্রয়ী মূল্যে দেওয়া সাধারণ ওএমএস কার্যক্রম চলবে।’ এ সময় অর্থ উপদেষ্টা চালের দাম কিছুটা কমেছে বলে দাবি করেছেন।
উপদেষ্টা আরও বলেন, ‘অন্যান্য পণ্যের দামও নিয়ন্ত্রণে আছে। সম্প্রতি যেসব সেবা ও পণ্যের ভ্যাট ও কর বাড়ানো হয়েছে তা আগামী বাজেটে সমন্বয় করা হবে।’ তবে সার্বিকভাবে ভ্যাট বৃদ্ধিতে বাজারে প্রভাব পরেনি বলে আবারও দাবি করেন অর্থ উপদেষ্টা। সারের সংকট যেন না হয়, সে জন্য সার কেনার সিদ্ধান্তও হয়েছে ক্রয় সংক্রান্ত উপদেষ্টা কমিটির বৈঠকে।
তিনি বলেন, ‘বিশেষ ওএমএসের মাধ্যমে ৬৫০ টাকায় যে ১০টি কৃষিপণ্যের প্যাকেজ দেওয়া হত তা স্থগিত করা হয়েছে।’
গত অক্টোবরে রাজধানীতে পাইলট প্রকল্প হিসেবে নিম্ন আয়ের মানুষের জন্য ভর্তুকি মূল্যে সবজিসহ কৃষিপণ্য বিক্রি শুরু হয়। প্রতিদিন ঢাকার ২০টি এলাকায় এসব পণ্য বিক্রি করা হয়। সরকারের কৃষি বিপণন অধিদপ্তর এই উদ্যোগ বাস্তবায়ন করে। এর আওতায় ৬৫০ টাকা প্যাকেজে দেওয়া হচ্ছিল ১০টি পণ্য। এর মধ্যে ছিল ডিম এক ডজন, আলু এক কেজি, পেঁয়াজ এক কেজি, পেঁপে এক কেজি, কুমড়া এক টুকরো, করলা এক কেজি, পটল এক কেজি, লাউ একটি, কচুরমুখি এক কেজি ও কাঁচা মরিচ এক কেজি।