ঢাকা , বৃহস্পতিবার, ০৯ জানুয়ারী ২০২৫, ২৬ পৌষ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

করোনাকালে ঠাণ্ডা খাবার ও পানীয় খাবেন না

বাঙালী কণ্ঠ ডেস্কঃ ষড়ঋতুর দেশে এখন চলছে বর্ষাকাল। এ সময়ে জ্বর, ঠাণ্ডা-কাশি, গলাব্যথা, চর্মরোগসহ বিভিন্ন ধরনের রোগবালাই হয়ে থাকে।

অন্যদিকে চলছে করোনাকাল। বৈশ্বিক মহামারীর এই সময়ে অন্য সময়ে চেয়ে একটু বেশি সতর্ক থাকতে হবে।

করোনাভাইরাসের প্রধান উপসর্গগুলোর অন্যতম হচ্ছে- ঠাণ্ডা-কাশি, গলাব্যথা, জ্বর, স্বাদ ও গন্ধ না পাওয়া। তাই এ সময়ে ঠাণ্ডাজাতীয় খাবার ও পানীয় খাওয়া থেকে বিরত থাকতে হবে।

করোনাভাইরাস শ্বাসনালির মধ্য দিয়ে ঢুকে ফুসফুসে প্রবেশ করে এবং শ্বাসনালির কর্মক্ষমতা ধীরে ধীরে নষ্ট করে দেয়। ফলে দেখা দেয় শ্বাসকষ্ট। ঠাণ্ডা খেলে শ্বাসকষ্টের সমস্যা আরও বেড়ে যায়।

শ্বাসকষ্ট, ঠাণ্ডা এবং জ্বরে ঠাণ্ডা খাবার ও পানীয় খাওয়া যাবে না। ঈদে মাংস ও চর্বিজাতীয় খাবার বেশি খাওয়া হয়ে থাকে। এর সঙ্গে অনেকে ঠাণ্ডা কোমল পানীয় খেয়ে থাকেন, যা উচিত নয়।

এখন যেহেতু করোনা সংক্রণের সময়, তাই ঠাণ্ডা খাবার ও পানীয় খাওয়া থেকে বিরত থাকুন।

এ সময়ে সুস্থ থাকতে কী করবেন?
১. এ সময়ে খাবার সবসময় গরম করে খাবেন। এ ছাড়া আদা ও লেবু দিয়ে তৈরি চা খেতে পারেন। আর গরম দুধ আপনার পুষ্টির চাহিদা পূরণ করে শরীরে শক্তি জোগাবে।

২. আর যদি হালকা ঠাণ্ডা-কাশি হয়ে থাকে, তবে কুসুম লবণপানিতে গড়গড়া করতে করবেন ও কুসুম গরম পানি পান করতে পারেন।

৩. এ সময় ফ্রিজের খাবার গরম করে খেতে হবে ও ঠাণ্ডা পানীয় খাওয়া যাবে না।

৪. বাজার করে ঘরে ফেরার পর ফল, সবজি ও মাছ-মাংস লবণপানি দিয়ে ধুয়ে নিন। এর পর পানি ঝরিয়ে ফ্রিজে রাখুন। এ ছাড়া এক মাস পর পর ফ্রিজ পরিষ্কার করুন।

Tag :
আপলোডকারীর তথ্য

Bangal Kantha

করোনাকালে ঠাণ্ডা খাবার ও পানীয় খাবেন না

আপডেট টাইম : ০৮:৪১ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৮ জুলাই ২০২০

বাঙালী কণ্ঠ ডেস্কঃ ষড়ঋতুর দেশে এখন চলছে বর্ষাকাল। এ সময়ে জ্বর, ঠাণ্ডা-কাশি, গলাব্যথা, চর্মরোগসহ বিভিন্ন ধরনের রোগবালাই হয়ে থাকে।

অন্যদিকে চলছে করোনাকাল। বৈশ্বিক মহামারীর এই সময়ে অন্য সময়ে চেয়ে একটু বেশি সতর্ক থাকতে হবে।

করোনাভাইরাসের প্রধান উপসর্গগুলোর অন্যতম হচ্ছে- ঠাণ্ডা-কাশি, গলাব্যথা, জ্বর, স্বাদ ও গন্ধ না পাওয়া। তাই এ সময়ে ঠাণ্ডাজাতীয় খাবার ও পানীয় খাওয়া থেকে বিরত থাকতে হবে।

করোনাভাইরাস শ্বাসনালির মধ্য দিয়ে ঢুকে ফুসফুসে প্রবেশ করে এবং শ্বাসনালির কর্মক্ষমতা ধীরে ধীরে নষ্ট করে দেয়। ফলে দেখা দেয় শ্বাসকষ্ট। ঠাণ্ডা খেলে শ্বাসকষ্টের সমস্যা আরও বেড়ে যায়।

শ্বাসকষ্ট, ঠাণ্ডা এবং জ্বরে ঠাণ্ডা খাবার ও পানীয় খাওয়া যাবে না। ঈদে মাংস ও চর্বিজাতীয় খাবার বেশি খাওয়া হয়ে থাকে। এর সঙ্গে অনেকে ঠাণ্ডা কোমল পানীয় খেয়ে থাকেন, যা উচিত নয়।

এখন যেহেতু করোনা সংক্রণের সময়, তাই ঠাণ্ডা খাবার ও পানীয় খাওয়া থেকে বিরত থাকুন।

এ সময়ে সুস্থ থাকতে কী করবেন?
১. এ সময়ে খাবার সবসময় গরম করে খাবেন। এ ছাড়া আদা ও লেবু দিয়ে তৈরি চা খেতে পারেন। আর গরম দুধ আপনার পুষ্টির চাহিদা পূরণ করে শরীরে শক্তি জোগাবে।

২. আর যদি হালকা ঠাণ্ডা-কাশি হয়ে থাকে, তবে কুসুম লবণপানিতে গড়গড়া করতে করবেন ও কুসুম গরম পানি পান করতে পারেন।

৩. এ সময় ফ্রিজের খাবার গরম করে খেতে হবে ও ঠাণ্ডা পানীয় খাওয়া যাবে না।

৪. বাজার করে ঘরে ফেরার পর ফল, সবজি ও মাছ-মাংস লবণপানি দিয়ে ধুয়ে নিন। এর পর পানি ঝরিয়ে ফ্রিজে রাখুন। এ ছাড়া এক মাস পর পর ফ্রিজ পরিষ্কার করুন।