ঢাকা , শনিবার, ২৮ ডিসেম্বর ২০২৪, ১৪ পৌষ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

পুরুষের বন্ধ্যত্বের সমস্যা কেন বাড়ছে, যা করা জরুরি

বাঙালী কণ্ঠ ডেস্কঃ বর্তমান সময়ে নারীদের পাশাপাশি পুরুষের বন্ধ্যত্বের সমস্যা আগের চেয়ে বেড়েছে। স্বাভাবিক জীবনযাত্রায় নিয়ম না মানাসহ বিভিন্ন কারণে এ সমস্যা বাড়ছে।

পুরুষের বন্ধ্যত্বের সমস্যা কেন বাড়ছে 

আগের তুলনায় এখন পুরুষের বন্ধ্যত্বের সমস্যা বেড়েছে। মদপান, ধূমপান, অতিরিক্ত ওজন, ব্যায়াম ও হাঁটাচলা না করা, খাবারে ভেজাল, কর্মস্থলে বিষাক্ত পদার্থ থাকলে, বয়স ৪০ পেরিয়ে গেলে,  আঁটসাঁট আন্ডারওয়ে পরলে।

এ ছাড়া সন্তান উৎপাদনে অক্ষম হলে অনেকে অবসাদে ভোগেন। সন্তান উৎপাদনের জন্য নির্দিষ্ট পরিমাণে সুস্থ স্বাভাবিক ও গতিশীল শুক্রাণুর প্রয়োজন। শুক্রাণুর অভাবেই সন্তান হতে অসুবিধা হয়।

শুক্রাণুর কাউন্ট কেন কমে যায়?

পুরুষের বয়স বেশি হলে তার শুক্রাণুর পরিমাণ কমে যায় ও ৩০ বা ৩৫ বছর বয়সের মতো সন্তান উৎপাদনের সক্ষমতা থাকে না।

অতিরিক্ত ওজন ও ভুঁড়ি থাকলেও শুক্রাণুর কাউন্ট কমে যেতে পারে। ধূমপান, মদ্যপানসহ অন্যান্য নেশা করলে সন্তান উৎপাদনে সমস্যা সৃষ্টি হতে পারে। এ ছাড়া চোট আঘাত ও কিছু ওষুধ ব্যবহারেও শুক্রাণুর কাউন্ট কমে যেতে পারে।
কী করবেন

মদপান, ধূমপান ত্যাগ করা ও অতিরিক্ত ওজন থাকলে অবশ্যই কমিয়ে ফেলতে হবে এবং পুষ্টিকর খাবার খাওয়া উচিত। এ ছাড়া ঢিলেঢালা আন্ডারওয়ে পরা ও সঠিক সময়ে বিয়ের সিদ্ধান্ত নিতে হবে।

পর্যাপ্ত পানি পান ও ঠিক সময়ে শৌচাগার যাওয়া দরকার। প্রস্রাব চেপে রাখলে সংক্রমণ এবং তার থেকে শুক্রাণুর সমস্যা হওয়ার সম্ভাবনা বাড়ে।
নারী-পুরুষ সবারই বন্ধ্যত্বের সমস্যায় চিকিৎসা প্রয়োজন। যত দ্রুত চিকিৎসা শুরু করা যাবে, জটিলতা কম হবে

লেখক: ডা. নুসরাত জাহান, সহযোগী অধ্যাপক (অবস-গাইনি), ইম্পোরিয়াল হাসপাতাল, চট্টগ্রাম। 

Tag :
আপলোডকারীর তথ্য

Bangal Kantha

জনপ্রিয় সংবাদ

পুরুষের বন্ধ্যত্বের সমস্যা কেন বাড়ছে, যা করা জরুরি

আপডেট টাইম : ১০:০৭ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ২৮ অক্টোবর ২০২০

বাঙালী কণ্ঠ ডেস্কঃ বর্তমান সময়ে নারীদের পাশাপাশি পুরুষের বন্ধ্যত্বের সমস্যা আগের চেয়ে বেড়েছে। স্বাভাবিক জীবনযাত্রায় নিয়ম না মানাসহ বিভিন্ন কারণে এ সমস্যা বাড়ছে।

পুরুষের বন্ধ্যত্বের সমস্যা কেন বাড়ছে 

আগের তুলনায় এখন পুরুষের বন্ধ্যত্বের সমস্যা বেড়েছে। মদপান, ধূমপান, অতিরিক্ত ওজন, ব্যায়াম ও হাঁটাচলা না করা, খাবারে ভেজাল, কর্মস্থলে বিষাক্ত পদার্থ থাকলে, বয়স ৪০ পেরিয়ে গেলে,  আঁটসাঁট আন্ডারওয়ে পরলে।

এ ছাড়া সন্তান উৎপাদনে অক্ষম হলে অনেকে অবসাদে ভোগেন। সন্তান উৎপাদনের জন্য নির্দিষ্ট পরিমাণে সুস্থ স্বাভাবিক ও গতিশীল শুক্রাণুর প্রয়োজন। শুক্রাণুর অভাবেই সন্তান হতে অসুবিধা হয়।

শুক্রাণুর কাউন্ট কেন কমে যায়?

পুরুষের বয়স বেশি হলে তার শুক্রাণুর পরিমাণ কমে যায় ও ৩০ বা ৩৫ বছর বয়সের মতো সন্তান উৎপাদনের সক্ষমতা থাকে না।

অতিরিক্ত ওজন ও ভুঁড়ি থাকলেও শুক্রাণুর কাউন্ট কমে যেতে পারে। ধূমপান, মদ্যপানসহ অন্যান্য নেশা করলে সন্তান উৎপাদনে সমস্যা সৃষ্টি হতে পারে। এ ছাড়া চোট আঘাত ও কিছু ওষুধ ব্যবহারেও শুক্রাণুর কাউন্ট কমে যেতে পারে।
কী করবেন

মদপান, ধূমপান ত্যাগ করা ও অতিরিক্ত ওজন থাকলে অবশ্যই কমিয়ে ফেলতে হবে এবং পুষ্টিকর খাবার খাওয়া উচিত। এ ছাড়া ঢিলেঢালা আন্ডারওয়ে পরা ও সঠিক সময়ে বিয়ের সিদ্ধান্ত নিতে হবে।

পর্যাপ্ত পানি পান ও ঠিক সময়ে শৌচাগার যাওয়া দরকার। প্রস্রাব চেপে রাখলে সংক্রমণ এবং তার থেকে শুক্রাণুর সমস্যা হওয়ার সম্ভাবনা বাড়ে।
নারী-পুরুষ সবারই বন্ধ্যত্বের সমস্যায় চিকিৎসা প্রয়োজন। যত দ্রুত চিকিৎসা শুরু করা যাবে, জটিলতা কম হবে

লেখক: ডা. নুসরাত জাহান, সহযোগী অধ্যাপক (অবস-গাইনি), ইম্পোরিয়াল হাসপাতাল, চট্টগ্রাম।