ঢাকা , শুক্রবার, ১৮ এপ্রিল ২০২৫, ৫ বৈশাখ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম :
বৃষ্টি কবে কমবে, জানাল আবহাওয়া অফিস কর্মীদের বিদেশ পাঠানোর ক্ষেত্রে ৮০ ভাগ সমস্যা দেশ থেকেই তৈরি: পররাষ্ট্র উপদেষ্টা কওমি সনদ বাস্তবায়নের দায়িত্ব শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের : ধর্ম উপদেষ্টা টাইম ম্যাগাজিনে হিলারি ক্লিনটনের কলামে ড. ইউনূসকে নিয়ে প্রশংসা বাংলাদেশ-জিম্বাবুয়ে সিরিজ দেখা যাবে যে চ্যানেলে টিপ-কাণ্ডে তিন বছর পর মামলা কেনিয়ায় চা-বাগান নিয়ে স্থানীয় ও বিদেশি এস্টেটগুলোর দ্বন্দ্ব, ক্ষতির মুখে শিল্প প্রতিদিন একটি কলা খাওয়া কাদের জন্য জরুরি মেটার বিরুদ্ধে অ্যান্টিট্রাস্ট মামলা, আলাদা হতে পারে ইনস্টাগ্রাম-হোয়াটসঅ্যাপ বাজারে কাঁকরোলের কেজি ১৪০, বেগুনের সেঞ্চুরি

চিকুনগুনিয়ায় এন্টিবায়োটিক দেওয়া যাবে কি

বাঙালী কণ্ঠ নিউজঃ  চিকুনগুনিয়ায় আক্রান্ত রোগীকে এন্টিবায়োটিক দিলে রোগীর অবস্থা খারাপ হবে এমন ভুল বোঝাবুঝি অনেকের মধ্যে আছে। যেহেতু এই রোগ ভাইরাসজনিত, তাই এন্টিবায়োটিকের প্রয়োজন নেই। তবে অন্য কোনো রোগ যেমন টাইফয়েড, প্রস্রাবের বা বুকের ইনফেকশন বা সংক্রামক ব্যাধিতে আক্রান্ত হলে প্রয়োজনে চিকিৎসক এন্টিবায়োটিক দিতে পারবেন। এতে চিকুনগুনিয়ায় কোনো জটিলতা হবে না।
গর্ভাবস্থায় চিকুনগুনিয়া হলে অন্যান্য উপসর্গ ছাড়াও মুখে ঘা, পাতলা পায়খানা, রক্ত জমে যাওয়া ও রক্তচাপ কমার আশঙ্কা থাকে। এছাড়া রক্তক্ষরণ, অতিরিক্ত বমি, খিঁচুনিসহ অন্যান্য জটিলতা দেখা দিতে পারে। গর্ভের শিশুর ক্ষতি এমনকি গর্ভপাতও হতে পারে। বুকের দুধের মাধ্যমে চিকুনগুনিয়া ছড়ায় না। তাই আক্রান্ত মায়ের শিশুকে বুকের দুধ দিতে কোনো বাধা নেই।
জ্বর সেরে গেলে শরীরে চিকুনগুনিয়ার ভাইরাস সাধারণত এক সপ্তাহ পর্যন্ত রক্তে বিদ্যমান থাকে। এই সময় এডিস মশা রোগীকে কামড় দিলে সেই মশার মাধ্যমে অন্যরাও আক্রান্ত হতে পারে। সংক্রমিত মশা থেকে অন্যদের মধ্যে ভাইরাস ছড়িয়ে পড়তে পারে। ৫-৭ দিন পরে রক্তে ভাইরাসের বিরুদ্ধে এন্টিবডি তৈরি হয়। এর পরে শরীরে আর ভাইরাস থাকে না। (চলবে)
লেখক: ডিন, মেডিসিন অনুষদ, অধ্যাপক, মেডিসিন বিভাগ, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয়।
Tag :
আপলোডকারীর তথ্য

Bangal Kantha

বৃষ্টি কবে কমবে, জানাল আবহাওয়া অফিস

চিকুনগুনিয়ায় এন্টিবায়োটিক দেওয়া যাবে কি

আপডেট টাইম : ০১:২৮ অপরাহ্ন, রবিবার, ২৩ জুলাই ২০১৭
বাঙালী কণ্ঠ নিউজঃ  চিকুনগুনিয়ায় আক্রান্ত রোগীকে এন্টিবায়োটিক দিলে রোগীর অবস্থা খারাপ হবে এমন ভুল বোঝাবুঝি অনেকের মধ্যে আছে। যেহেতু এই রোগ ভাইরাসজনিত, তাই এন্টিবায়োটিকের প্রয়োজন নেই। তবে অন্য কোনো রোগ যেমন টাইফয়েড, প্রস্রাবের বা বুকের ইনফেকশন বা সংক্রামক ব্যাধিতে আক্রান্ত হলে প্রয়োজনে চিকিৎসক এন্টিবায়োটিক দিতে পারবেন। এতে চিকুনগুনিয়ায় কোনো জটিলতা হবে না।
গর্ভাবস্থায় চিকুনগুনিয়া হলে অন্যান্য উপসর্গ ছাড়াও মুখে ঘা, পাতলা পায়খানা, রক্ত জমে যাওয়া ও রক্তচাপ কমার আশঙ্কা থাকে। এছাড়া রক্তক্ষরণ, অতিরিক্ত বমি, খিঁচুনিসহ অন্যান্য জটিলতা দেখা দিতে পারে। গর্ভের শিশুর ক্ষতি এমনকি গর্ভপাতও হতে পারে। বুকের দুধের মাধ্যমে চিকুনগুনিয়া ছড়ায় না। তাই আক্রান্ত মায়ের শিশুকে বুকের দুধ দিতে কোনো বাধা নেই।
জ্বর সেরে গেলে শরীরে চিকুনগুনিয়ার ভাইরাস সাধারণত এক সপ্তাহ পর্যন্ত রক্তে বিদ্যমান থাকে। এই সময় এডিস মশা রোগীকে কামড় দিলে সেই মশার মাধ্যমে অন্যরাও আক্রান্ত হতে পারে। সংক্রমিত মশা থেকে অন্যদের মধ্যে ভাইরাস ছড়িয়ে পড়তে পারে। ৫-৭ দিন পরে রক্তে ভাইরাসের বিরুদ্ধে এন্টিবডি তৈরি হয়। এর পরে শরীরে আর ভাইরাস থাকে না। (চলবে)
লেখক: ডিন, মেডিসিন অনুষদ, অধ্যাপক, মেডিসিন বিভাগ, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয়।