বাঙালী কণ্ঠ নিউজঃ রোগটি মোটেও ছোঁয়াচে নয়, মশার কামড়ের মাধ্যমে হয়। আক্রান্ত রোগীর সাথে থাকলে, এক বিছানায় ঘুমালে, একসাথে খাওয়া-দাওয়া করলে রোগ ছড়ায় না। তবে আক্রান্তের ৭ দিনের মধ্যে মশা কামড়িয়ে সাথে সাথে পাশের আরেকজনকে কামড়ালে রোগ ছড়াতে পারে।
মৃত্যু-ঝুঁকি নেই-কথাটি কতটুকু সত্য :চিকুনগুনিয়ার মৃত্যু-ঝুঁকি নেই। তবে যারা অন্যান্য রোগে ভোগেন যেমন-ডায়াবেটিস, কিডনী, লিভারের রোগ, হূদরোগ, ক্যান্সার, হাঁপানি ইত্যাদি তাদের বেলায় রোগটি ঝুঁকিপূর্ণ।
প্রতিরোধ: চিকুনগুনিয়া জ্বরের কোনো প্রতিষেধক, ভ্যাকসিন বা টিকা এখনো আবিষ্কার হয়নি। এই রোগ থেকে পরিত্রাণের জন্য প্রতিরোধের গুরুত্বটাই বেশি। রোগ থেকে উদ্ধার পাওয়ার একটাই উপায় মশার কামড় থেকে নিজেকে রক্ষা করা এবং এডিস মশার বংশ বিস্তার রোধ করার জন্য মশার আবাসস্থল এবং আশেপাশের প্রজনন ক্ষেত্রে ধ্বংস করা। ব্যক্তিগত সতর্কতা এবং মশা প্রতিরোধই জরুরি।
ব্যক্তিগত সতর্কতা: এডিস মশা মূলত দিনের বেলা কামড়ায়, তবে রাত্রে বেশি আলো হলেও কামড়াতে পারে। মশার কামড় থেকে বাঁচার উপায় হলো শরীরের বেশিরভাগ অংশ ঢেকে রাখা যেমন ফুলহাতা শার্ট এবং ফুলপ্যান্ট পরা, দিনে ঘুমালে মশারি ব্যবহার করা, স্প্রে, লোশন, ক্রিম, রিপোল্যান্ট ব্যবহার এবং দরজা-জানালায় নেট লাগানো ইত্যাদি।
মশা নিধন : যে কোনো পাত্র, ফুলের টব, বাথরুম, ফ্রিজ বা এসির নিচে, বারান্দায় বা ছাদে জমে থাকা পানি ৩ থেকে ৫ দিন পরপর পরিষ্কার করলে এডিস মশার লাভা মরে যায়। পাত্রের গায়ে লেগে থাকা মশার ডিম অপসারণে পাত্রটি ঘঁষে পরিষ্কার করলে ভালো। অব্যবহূত পাত্র উল্টে রাখা উচিত যাতে পানি জমতে না পারে।
লেখক: ডিন, মেডিসিন অনুষদ, অধ্যাপক, মেডিসিন বিভাগ, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয়