বাঙালী কণ্ঠ নিউজঃ প্রতিনিয়ত প্রযুক্তি নির্ভর হয়ে পড়ছে মানুষ। আধুনিক বিশ্বে জীবন, যোগাযোগ, রাজনীতি, প্রশাসনিক ব্যবস্থা আর কাজের গতি— সম্পর্ক সবই পাল্টে দিয়েছে মোবাইল ফোন। কিন্তু এই ফোনই আবার মানুষের জীবনের জন্য হুমকি হয়ে উঠেছে। ইতালির ইভ্রিয়া শহরের একটি আদালত রায় দিয়েছে দেশটির এক বাসিন্দার মোবাইল ফোনের কারণে ব্রেন টিউমার হয়েছে। এই রায়ের ফলে রবার্ট রোমিও নামের ওই ব্যক্তি প্রতি মাসে বাংলাদেশি মুদ্রায় প্রায় ৪৫ ০০০ টাকা ক্ষতিপূরণ পাবেন।
এই টাকাটি কর্ম ক্ষেত্রে আঘাতপ্রাপ্তদের ক্ষতিপূরণ দেয়ার জন্য গঠিত রাষ্ট্রীয় একটি সংস্থা দেবে। এই রায়ের বিরুদ্ধে আপিল হতে পারে। কোর্টের এই সিদ্ধান্তের পেছনে আইনগত কারণ আগামী কয়েকদিনের মধ্যে জানানোরও কোনো সম্ভাবনা নেই।
ব্রিটেন টিউমার চ্যারিটির প্রধান বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা ডেভিড জেঙ্কিন্সন বলেন, ‘আমরা জানি যে অনেকেই মোবাইল ফোন ব্যবহার ও ব্রেন টিউমারের মধ্যে একটি সম্ভাব্য যোগসূত্র নিয়ে উদ্বিগ্ন। কিন্তু এ পর্যন্ত বিশ্বব্যাপী যত গবেষণা পরিচালিত হয়েছে, যাতে কয়েকশ থেকে শুরু করে কয়েক হাজার লোক পর্যন্ত জড়িত ছিল, তাতে পর্যাপ্ত প্রমাণ পাওয়া যায়নি যে মোবাইল ফোন ব্যবহারের ফলে ব্রেন টিউমারের ঝুঁকি বাড়ে’।
ডেভিড যোগ করেন, ‘অবশ্যই, এটাও ঠিক যে গবেষকরা এরকম কোনো যোগসূত্র আছে কি না তা নিয়ে অনুসন্ধান চালিয়ে যাচ্ছেন’।
রোমিও জানান, ১৫ বছরের বেশি সময় ধরে ব্যবসায়িক কাজে প্রতিদিন তিন থেকে চার ঘণ্টা মোবাইল ফোন ব্যবহার করতেন তিনি। তবে রোমিওর পেশা সম্পর্কে কিছু জানানো হয়নি। তিনি বলেন, মোবাইল ফোনের ব্যবহার সম্পর্কে মানুষকে সচেতন করতে চেয়েছিলেন কিন্তু মোবাইলকে অশুভভাবে দেখাতে চাননি।
রোমিওর উকিল স্তেফানো বারটোন বিবিসিকে জানান তার মক্কেলের বর্তমানে কোনো নির্দিষ্ট মোবাইল উত্পাদনকারী প্রতিষ্ঠান বা পুরো মোবাইল শিল্পের বিরুদ্ধে মামলা করার পরিকল্পনা নেই। তিনি যে ল-ফার্মে কাজ করেন তা ইতালির বিভিন্ন প্রান্তে এরকম আরো কেস পেয়েছে বলে জানান।
স্তেফানো বারটোন বলেন, ‘গত ২৪ ঘণ্টায় অসংখ্য লোক আমাদের সঙ্গে যোগাযোগ করে বলেছেন যে তারাও একি অভিজ্ঞতার মধ্য দিয়ে গেছেন। এবং তারা দাবি করেন সব মিলিয়ে ১০০০ ঘণ্টার উপরে মোবাইল ফোন ব্যবহার করেছেন তা দেখাতে পারবেন’।