বাঙালী কণ্ঠ নিউজঃ ঘুম বা নিদ্রা হচ্ছে মানুষ এবং অন্যান্য প্রাণীর দৈনন্দিন কর্মকান্ডের ফাঁকে বিশ্রাম নেওয়ার একটি স্বাভাবিক প্রক্রিয়া, যখন সচেতন ক্রিয়া-প্রতিক্রিয়া স্তিমিত থাকে। ঘুম শরীরকে চাঙ্গা করে পরবর্তী দিনের কাজের জন্য আমাদের তৈরি করে। অনেকেই রয়েছেন যাঁরা ঘুম না হওয়ার সমস্যায় ভোগেন। এই সমস্যা অবসাদ ও ক্লান্তি তৈরি করে কর্মোদ্দম কমিয়ে দেয়।
ফোন ছাড়া যেন আমাদের এক মুহূর্তও চলে না। উঠতে বসতে খাইতে ঘুমাতে সব যায়গায় ফোন লাগবেই। এমন এক দিন কল্পনা করতে পারি না আমরা যেখানে ফোন ছাড়া নিজেকে কল্পনা করতে পারি !
একাধিক গবেষণায় দেখা গেছে মোবাইল ফোনের শরীর থেকে উৎপন্ন রেডিয়েশের কারণে ঘুমে ব্যাঘাত ঘটছে। ফলে দিনের পর দিন ঘুমের কোটা পূর্ণ না হওয়ার কারণে হার্ট অ্যাটাক, নানাবিধ হার্টের রোগ, হাই ব্লাড প্রেসার, স্ট্রোক এবং ডায়াবেটিসের মতো রোগে আক্রান্ত হওয়ার আশঙ্কা বাড়ছে। এখানেই শেষ নয়, আরও নানাভাবে মোবাইল ফোন আমাদের শেষ করে দিচ্ছে। যেমন…
ক্যান্সার রোগের প্রকোপ বাড়ছে: বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার প্রকাশিত রিপোর্টে স্পষ্ট বলা হয়েছে মাথার কাছে ফোন রেখে শুলে শরীরে রেডিয়েশনের প্রভাবে কোষেদের বিকাশে বাঁধার সৃষ্টি হয়। ফলে নানাবিধ ক্যান্সারে আক্রান্ত হওয়ার আশঙ্কা মারাত্মক বৃদ্ধি পায়।
সারা রাত ফোন চার্জ দেওয়া চলবে না: মাথার কাছে ফোন রেখে চার্জ দেওয়া বন্ধ করুন। কারণ বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই ঘুমিয়ে পরার কারণে সারা রাত ধরে ফোন চার্জ হতে থাকে। যে কারণে মরাত্মক কিছু বিপদ ঘটে যাওয়ার আশঙ্কা থাকে। যেমন, বেশি মাত্রায় মোবাইল ফোন চার্জ হয়ে গেলে যে কোনও সময় ব্যাটারি বাস্ট করার মতো ঘটনা ঘটতে পারে।
ঘুমানোর সময় তাহলে কোথায় ফোনটা রাখা উচিত? দুটো কাজ করতে পারেন। এক, ফোনটা বন্ধ করে ডাইনিং টেবিলে রেখে নিশ্চিন্তে বেড রুমে ঘুমাতে পারেন। আর যদি বেশি প্রয়োজন হয় ফোনটা অন রেখে কিছুটা দূরে রাখুন। এমনটা করলে অন্তত রেডিয়েশনের বিষ গিলে মরতে হবে না কম বয়সে।
প্রসঙ্গত, গবেষকরা লক্ষ করে দেখেছেন ঘুমনোর সময় শরীর থেকে মোবাইল ফোনটিকে যদি কম করে ৩ ফুট দুরত্বে রাখা যায়, তাহলে ক্ষতি হওয়ার আশঙ্কা অনেকটাই কমে।
ফোনের ক্ষতিকারক প্রভাব থেকে বাঁচতে আরও কিছু উপায়: এক্ষেত্রে যে যে বিষয়গুলি মাথায় রাখাটা একান্ত প্রয়োজন, তা হল…
১. ফোনে কথা বলা কমান। দীর্ঘ ফোন কল এড়ানোর চেষ্টা করুন। আর যদি একান্ত এমনটা সম্ভব না হয়, তাহলে কয়েক মিনিট পর পর এক কান থেকে অন্য কানে ফোনটা নেবেন। এক ভাবে, এক কানে দিয়ে ফোনে কথা বলবেন না।
২. সম্ভব হলে ফোনে কথা বলার সময় হেড ফোন ব্যবহার করুন। এমনটা করলে ফোনের রেডিয়েশনের প্রভাবে মস্তিষ্কের ক্ষতি হওয়ার আশঙ্কা কমে।
৩. সিগনাল যেখানে ভালভাবে আসছে না। সেখানে ভুলেও ফোন কল রিসিভ করবেন না। এমনটা করলে মারাত্মক ক্ষতি হয়। কারণ সিগনাল দুর্বল থাকার সময় ফোন থেকে বেরনো রেডিও ওয়েভের মাত্রা বেড়ে যায়। ফলে ব্রেনের উপর খুব খারাপ প্রভাব পরে।
৪. প্যান্টের পকেটে অথবা বুক পকেটে ভুলেও ফোন রাখবেন না। এতে শরীরের একাধিক অঙ্গের মারাত্মক ক্ষতি হওয়ার আশঙ্কা বেড়ে যায়।