ঢাকা , শুক্রবার, ২৭ ডিসেম্বর ২০২৪, ১২ পৌষ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

ছোট গরুর দাম এবার চড়া

পবিত্র ঈদুল আজহার বাকি এক সপ্তাহ। ইতোমধ্যে জমে উঠতে শুরু করেছে পশুর হাট। ঢাকার দুই সিটির মধ্যে মোট ১৯টি পশুর হাট বসবে। ইতোমধ্যে এসব হাটের ইজারাদার ও স্থান ঠিক করেছে উভয় সিটি করপোরেশন।

বৃহস্পতিবার (২২ জুন) গাবতলী পশুর হাটে গিয়ে দেখা যায় কুরবানির পশু আসতে শুরু করেছে। তবে এখনো বড় গরু সেভাবে আসেনি। যেগুলো এসেছে তাও আবার আকাশ ছোঁয়া দাম। তবে হাটে এখনো ক্রেতার সমাগম তেমন নেই। ধারণা করা হচ্ছে আগামী কয়েকদিনের মধ্যে ক্রেতা সমাগম বাড়বে। ধারণা করা হচ্ছে চূড়ান্তভাবে বেচাকেনা শুরু হবে মঙ্গল ও বুধবার।

যারাই এখন হাটে আসছেন তারা দরদামেই ব্যস্ত। তবে যাদের দামে মিলে যাচ্ছে তারা কিনে নিচ্ছেন পছন্দের পশু। এর বাইরে বেশির ভাগই স্কুল-কলেজের শিক্ষার্থী ও টিকটকারদের ভিড় দেখা গেছে।

ছেলে-মেয়ে ও ছেলের বউকে নিয়ে গাবতলীর হাটে গরু দেখতে এসেছেন কামরাঙ্গীরচরের বাসিন্দা তনিমা। হাটে এসে ১৬-১৮টি গরু দেখে ৯৫ হাজার টাকা দিয়ে লাল রঙের গাভি কিনে মহাখুশি তনিমা। তিনি বলেন, এবার গরুর দাম অনেক বেশি। গত বছরের তুলনায় এবার চার মণ ওজনের গরুর দাম ৩০-৩২ হাজার টাকা বেশি চাওয়া হচ্ছে। তবে আল্লাহর নামে কুরবানি দেয়ার জন্য ৯৫ হাজার টাকায় গরু কিনলাম।

গরুর দাম বৃদ্ধির ব্যাপারে ব্যাপারীরা বলছেন, মাংস ও গো-খাদ্যের দাম বেড়ে গেছে। ফলে হাট ও গৃহস্থের বাড়ি থেকে বাড়তি দামে গরু সংগ্রহ করে ঢাকায় আনতে হচ্ছে। সে সঙ্গে পরিবহন খরচও বেশি হওয়ায় গরুর দাম বাড়তি।

ব্যাপারীরা আরও বলেন, গরুর মাংসের ওপর নির্ভর করেই দাম চাওয়া হচ্ছে। গত বছর ৬০০ টাকা কেজি দরে গরুর মাংস বিক্রি হলেও এ বছর তা ২০০ টাকা বেড়ে ৮০০ টাকা হয়েছে। ফলে প্রতি মণ মাংসের দাম বেড়েছে আট হাজার টাকা। এতে করে তিন মণ ওজনের গরু প্রতি দাম বেড়েছে ২৪ হাজার টাকা।

মেহেরপুরের গরু ব্যাপারী আব্দুল জলিল প্রতিবারের মতো ৬০টি গরু নিয়ে গাবতলীর হাটে এসেছেন। গো-খাদ্য ও পরিবহন খরচ বৃদ্ধির কারণে গরুর দাম বেশি দাবি করে তিনি বলেন, কসাইয়ের দরেও হিসাব করলে প্রতি মণ মাংসের দাম বেড়েছে আট হাজার টাকা। গত বছর ৬০০ টাকা কেজি দরের মাংস এখন ৮০০ টাকা। সে হিসাবে তিন মণ ওজনের গরু কুরবানি দিতে চাইলে ২৪-৩০ হাজার টাকা বাড়তি দিতে হবে। আমরা গ্রাম থেকে গরু কিনতে পারছি না। কম দামে গরু না পেলে কীভাবে ঢাকায় বিক্রি করবো?

Tag :
আপলোডকারীর তথ্য

Bangal Kantha

জনপ্রিয় সংবাদ

ছোট গরুর দাম এবার চড়া

আপডেট টাইম : ০৬:৫৭ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২২ জুন ২০২৩

পবিত্র ঈদুল আজহার বাকি এক সপ্তাহ। ইতোমধ্যে জমে উঠতে শুরু করেছে পশুর হাট। ঢাকার দুই সিটির মধ্যে মোট ১৯টি পশুর হাট বসবে। ইতোমধ্যে এসব হাটের ইজারাদার ও স্থান ঠিক করেছে উভয় সিটি করপোরেশন।

বৃহস্পতিবার (২২ জুন) গাবতলী পশুর হাটে গিয়ে দেখা যায় কুরবানির পশু আসতে শুরু করেছে। তবে এখনো বড় গরু সেভাবে আসেনি। যেগুলো এসেছে তাও আবার আকাশ ছোঁয়া দাম। তবে হাটে এখনো ক্রেতার সমাগম তেমন নেই। ধারণা করা হচ্ছে আগামী কয়েকদিনের মধ্যে ক্রেতা সমাগম বাড়বে। ধারণা করা হচ্ছে চূড়ান্তভাবে বেচাকেনা শুরু হবে মঙ্গল ও বুধবার।

যারাই এখন হাটে আসছেন তারা দরদামেই ব্যস্ত। তবে যাদের দামে মিলে যাচ্ছে তারা কিনে নিচ্ছেন পছন্দের পশু। এর বাইরে বেশির ভাগই স্কুল-কলেজের শিক্ষার্থী ও টিকটকারদের ভিড় দেখা গেছে।

ছেলে-মেয়ে ও ছেলের বউকে নিয়ে গাবতলীর হাটে গরু দেখতে এসেছেন কামরাঙ্গীরচরের বাসিন্দা তনিমা। হাটে এসে ১৬-১৮টি গরু দেখে ৯৫ হাজার টাকা দিয়ে লাল রঙের গাভি কিনে মহাখুশি তনিমা। তিনি বলেন, এবার গরুর দাম অনেক বেশি। গত বছরের তুলনায় এবার চার মণ ওজনের গরুর দাম ৩০-৩২ হাজার টাকা বেশি চাওয়া হচ্ছে। তবে আল্লাহর নামে কুরবানি দেয়ার জন্য ৯৫ হাজার টাকায় গরু কিনলাম।

গরুর দাম বৃদ্ধির ব্যাপারে ব্যাপারীরা বলছেন, মাংস ও গো-খাদ্যের দাম বেড়ে গেছে। ফলে হাট ও গৃহস্থের বাড়ি থেকে বাড়তি দামে গরু সংগ্রহ করে ঢাকায় আনতে হচ্ছে। সে সঙ্গে পরিবহন খরচও বেশি হওয়ায় গরুর দাম বাড়তি।

ব্যাপারীরা আরও বলেন, গরুর মাংসের ওপর নির্ভর করেই দাম চাওয়া হচ্ছে। গত বছর ৬০০ টাকা কেজি দরে গরুর মাংস বিক্রি হলেও এ বছর তা ২০০ টাকা বেড়ে ৮০০ টাকা হয়েছে। ফলে প্রতি মণ মাংসের দাম বেড়েছে আট হাজার টাকা। এতে করে তিন মণ ওজনের গরু প্রতি দাম বেড়েছে ২৪ হাজার টাকা।

মেহেরপুরের গরু ব্যাপারী আব্দুল জলিল প্রতিবারের মতো ৬০টি গরু নিয়ে গাবতলীর হাটে এসেছেন। গো-খাদ্য ও পরিবহন খরচ বৃদ্ধির কারণে গরুর দাম বেশি দাবি করে তিনি বলেন, কসাইয়ের দরেও হিসাব করলে প্রতি মণ মাংসের দাম বেড়েছে আট হাজার টাকা। গত বছর ৬০০ টাকা কেজি দরের মাংস এখন ৮০০ টাকা। সে হিসাবে তিন মণ ওজনের গরু কুরবানি দিতে চাইলে ২৪-৩০ হাজার টাকা বাড়তি দিতে হবে। আমরা গ্রাম থেকে গরু কিনতে পারছি না। কম দামে গরু না পেলে কীভাবে ঢাকায় বিক্রি করবো?