দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে টাঙ্গাইলের মোট ৮টি সংসদীয় আসনের ৪টি আসনে সংসদ সদস্য (এমপি) প্রার্থী হিসেবে নির্বাচন করতে মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন সিদ্দিকী পরিবারের আপন তিন ভাই। এরা হলেন- বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের বহিষ্কৃত সভাপতি মন্ডলির সদস্য ও সাবেক মন্ত্রী আব্দুল লতিফ সিদ্দিকী, কৃষক শ্রমিক জনতা লীগের প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি ও বীর উত্তম বঙ্গবীর কাদের সিদ্দিকী এবং তাদের ছোট ভাই সাবেক ছাত্র নেতা মুরাদ সিদ্দিকী।
আব্দুল লতিফ সিদ্দিকী টাঙ্গাইল-৪ (কালিহাতী) আসন থেকে নির্বাচনে অংশ নেবেন। বঙ্গবীর কাদের সিদ্দিকী টাঙ্গাইল-৩ (ঘাটাইল) ও টাঙ্গাইল-৮ (বাসাইল-সখীপুর) আসন থেকে প্রার্থী হচ্ছেন এবং তার ছোট ভাই মুরাদ সিদ্দিকী টাঙ্গাইল-৪ (কালিহাতী) ও টাঙ্গাইল-৫ (সদর) আসন থেকে স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে অংশ নিচ্ছেন। তবে টাঙ্গাইল-৪ (কালিহাতী) আসনে আপন দুই ভাই আব্দুল লতিফ সিদ্দিকী এবং মুরাদ সিদ্দিকী নির্বাচনে একে অপরের প্রতিদ্বন্দ্বী হচ্ছেন।
২০১৪ সালে যুক্তরাষ্ট্রে গিয়ে একটি সভায় হজ, তাবলিগ জামাত ও প্রধানমন্ত্রীর ছেলে সজীব ওয়াজেদ জয় সম্পর্কে নেতিবাচক মন্তব্য করে মন্ত্রীত্ব হারিয়েছিলেন লতিফ সিদ্দিকী। তখন তাকে আওয়ামী লীগ থেকে বহিষ্কার করা হয়। দেশে ফেরার পর তাকে কারাগারে যেতে হয়। পরে তিনি সংসদ থেকে পদত্যাগ করেন।
১৯৯৯ সালে কাদের সিদ্দিকী আওয়ামী লীগ ত্যাগ করে কৃষক শ্রমিক জনতা লীগ গঠন করেন। কাদের সিদ্দিকীর সঙ্গে তখন মুরাদ সিদ্দিকীও ওই দলে যোগ দেন। ২০০৮ সালের জাতীয় সংসদ নির্বাচনের পর মুরাদ সিদ্দিকী কৃষক শ্রমিক জনতা লীগ থেকে নিজেকে গুটিয়ে নেন। ২০০৯ সাল থেকে মুরাদ সিদ্দিকী আওয়ামী লীগে যোগ দেওয়ার চেষ্টা করছেন। ২০১৫ সালে তার সহযোগী অনেকে আওয়ামী লীগে যোগ দেন। সম্প্রতি জেলা আওয়ামী লীগের কমিটিতে প্রবেশের জোর লবিং করেও ব্যর্থ হন তিনি। এ বছর তিনি আওয়ামী লীগের মনোনয়ন চেয়েও পাননি। টাঙ্গাইল-৪ (কালিহাতী) ও টাঙ্গাইল-৫ (সদর) আসন থেকে স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে মনোনয়নপত্র দাখিল করেছেন। টাঙ্গাইল-৫ (সদর) আসনে আওয়ামী লীগের মনোনয়ন পেয়েছেন যুবলীগের কেন্দ্রীয় নেতা মামুনুর রশীদ।
অপরদিকে, কৃষক শ্রমিক জনতা লীগের প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি কাদের সিদ্দিকী বীর উত্তম টাঙ্গাইল-৮ (বাসাইল-সখিপুর) ও টাঙ্গাইল-৩ (ঘাটাইল) আসনে মনোনয়নপত্র দাখিল করেছেন। ১৯৯৬ সালে আওয়ামী লীগের প্রার্থী হিসেবে এই আসনে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন কাদের সিদ্দিকী। দলের সঙ্গে বনিবনা না হওয়ায় ১৯৯৯ সালে জাতীয় সংসদ থেকে পদত্যাগ করেন। এরপর নিজ দল কৃষক শ্রমিক জনতা লীগ থেকে ২০০১ সালে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন।