বাঙালী কণ্ঠ নিউজঃ বিজ্ঞাপনের কল্যাণে সারাদেশে বেশ জনপ্রিয়তা পেয়েছে চট্টগ্রামের আঞ্চলিক গান ‘মধু হই হই বিষ খাওয়াইলা’। একই নামে নির্মিত সিনেমায় আইটেম গান হিসেবে ব্যবহৃত হয়েছে ‘মধু হই হই বিষ খাওয়াইলা’, যার ভিডিও প্রকাশে শুরু হয়েছে তুমুল সমালোচনা।
জসিম উদ্দিন জাকির পরিচালিত ‘মধু হই হই বিষ খাওয়াইলা’ মুক্তি পাচ্ছে ২৮ জুলাই। বেশ আগে প্রকাশ হয়েছে ট্রেলার। ওই সময় সিনেমাটির মান নিয়ে প্রশ্ন ওঠে। এবার বিতর্ক চড়িয়ে দিয়েছে আইটেম গান। অনেকের প্রশ্ন, বাংলা সিনেমায় আবারো কি অশ্লীলতা ফিরে এসেছে?
বেশ ঝলমলে সেটে ধারণ করা গানটিতে অংশ নিয়েছেন জেফ ও তিথি। খোলামেলা পোশাকে নায়িকা ও অশালীন অঙ্গভঙ্গিতে গানটি ধারণ করা হয়েছে। গানটির সংগীতায়োজনেও আনা হয়েছে পরিবর্তন। এতে কণ্ঠ দিয়েছেন জুঁই। সংগীত করেছেন জাভেদ আহমেদ কিসলু। উল্লেখ নেই গীতিকার ও সুরকার নূরুল ইসলামের নাম।
ক্লাসিক গানটির এমন নির্মাণ দেখে আশাহত হয়েছে অনেকেই। ইউটিউব ও ফেসবুকের মন্তব্যের ঘরে নেতিবাচক মন্তব্য থেকে সেটি স্পষ্ট। অনেকে আবার সেন্সরের দিকেও আঙ্গুল তুলেছেন।
তবে অশ্লীলতার অভিযোগ মানতে নারাজ নির্মাতা জসিম।
তিনি জানান, পোস্টার বা আইটেম গান দেখে সিনেমাটিকে অশ্লীল বলা ঠিক হচ্ছে না। বরং মৌলিক গল্পে নির্মিত হয়েছে ‘মধু হই হই বিষ খাওয়াইলা’। দর্শক খুশি মনেই সিনেমা দেখে হল থেকে বের হবেন।
এদিকে সপ্তাহখানেক আগে অনলাইনে প্রকাশ হয় জাজ মাল্টিমিডিয়ার নতুন সিনেমা ‘নূর জাহান’র গান ‘সোনা বন্ধু’। ওই গানটি নিয়েও সমালোচনা ওঠেছে। এতে আবদুল গফুর হালীর বিখ্যাত গান ‘সোনা বন্ধু’র প্রথম কয়েকটি লাইন ও সুর ব্যবহার করা হয়েছে। তারপর জুড়ে দেওয়া হয়েছে নতুন কথা। গানটির গায়কী ও সংগীতায়োজনও অপছন্দ করেছেন শ্রোতারা। প্রতিবাদ করেছেন গফুর হালীর গান নিয়ে কাজ করছেন এমন অনেকে।
সব মিলিয়ে মনে হচ্ছে— পুরনো গানের নতুন ভার্সন মধু হয়ে নয়, বিষ হয়ে ঢুকছে শ্রোতাদের কানে।