ঢাকা , শুক্রবার, ১০ জানুয়ারী ২০২৫, ২৬ পৌষ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম :
ফেক ছবি শনাক্তে হোয়াটসঅ্যাপের নতুন ফিচার ফ্যাসিস্ট হাসিনার দোসর শামীম ওসমানের দাঁড়ি-গোফ যুক্ত ছবি ভাইরাল, যা বলছে ফ্যাক্টচেক ঢাকায় যানজট নিরসনে দ্রুত পদক্ষেপের নির্দেশ দিলেন প্রধান উপদেষ্টা চার-ছক্কা হাঁকানো ভুলে যাননি সাব্বির হজযাত্রীর সর্বনিম্ন কোটা নির্ধারণে মন্ত্রণালয়ের সংশ্লিষ্টতা নেই : ধর্ম উপদেষ্টা একাত্তরের ভূমিকার জন্য ক্ষমা না চেয়ে জামায়াত উল্টো জাস্টিফাই করছে: মেজর হাফিজ ‘আল্লাহকে ধন্যবাদ’ পিএইচডি করে ১৯ সন্তানের মা আগামী মাসের মধ্যে পাঠ্যপুস্তক সবাই হাতে পাবে : প্রেস সচিব নিক্কেই এশিয়াকে ড. মুহাম্মদ ইউনূস তিন মেয়াদে ভুয়া নির্বাচন মঞ্চস্থ করেছেন হাসিনা ৪২২ উপজেলায় মিলবে ওএমএসের চাল

পিস হি‌সে‌বে তরমুজ বি‌ক্রি হচ্ছে কে‌জি দ‌রে, ঠকছে ক্রেতারা

বাঙালী কণ্ঠ ডেস্কঃ রোজার সময় প্রতি বছরই ফলের কদর বাড়ে। ফল ছাড়া ইফতার কল্পনাই করা যায় না। এদিকে গ্রীষ্মকাল শুরু হলেও পরিপক্ব না হওয়ায় বাজারে এখনো আসেনি চাহিদা অনুযায়ী মৌসুমি ফল। যার কারণে গ্রীষ্মকালীন ফল তরমুজের ওপর ক্রেতাদের আগ্রহ বেশি। আর এ সুযোগটিকে কাজে লাগাচ্ছেন ব্যবসায়ীরা। পুষ্টিগুণে সমৃদ্ধ এই তরমুজ এখন রাজধানীসহ বিভিন্ন বিভাগীয় শহরে কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে। এই সুযোগে বিক্রেতাদের মুনাফা চরমে।

পিসের পরিবর্তে অধিক মুনাফার আশায় তারা এখন তরমুজ বিক্রি করছেন কেজি দরে। গত এপ্রিলের শুরুতে যে তরমুজের কেজি ছিল ৩০ থেকে ৩৫ টাকা এখন তা বাড়িয়ে বিক্রি হচ্ছে ৬০ থেকে ৮০ টাকায়। ফলে সরকার ও ব্যবসায়ীদের পক্ষ থেকে রমজানে দ্রব্যমূল্য সহনশীল রাখার ঘোষণা দেয়া হলেও রোজা শুরুর আগেই সেই প্রতিশ্রুতি মুখথুবড়ে পড়েছে। অথচ এই তরমুজের দাম ১৫০ টাকার বেশি হওয়ার কথা নয়। প্রতি তরমুজ কমপক্ষে ১০০ টাকা বেশিতে বিক্রি হচ্ছে

তরমুজের দাম বেড়ে যাওয়া নিয়ে রাজধানীবাসী মনে করছেন, কেজি দরে বিক্রির কারণেই এমন দাম উঠেছে। এতো ভারী একটি ফল ছোট পরিবারের জন্য কিনতে গেলেও ৫ কেজির নিচে হয় না। এর মধ্যে রমজান আর বৈশাখের খরতাপকে কেন্দ্র করে সবুজ তরমুজেও আগুন লেগেছে। যে আগুনে নিম্মমধ্যবিত্ত তো দূরের কথা, মধ্যবিত্তরাই পুড়ে ছারখার। অথচ দেশজুড়ে চলমান তীব্র তাপদাহে ইফতারের প্রধান উপকরণ হওয়ার কথা তরমুজ। পুষ্টিগুণে সমৃদ্ধ এই তরমুজ এখন রাজধানীসহ বিভিন্ন বিভাগীয় শহরে কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে। এই সুযোগে বিক্রেতাদের মুনাফা চরমে।

বিষয়টি সম্পর্কে জানতে চাইলে নানান অজুহাত দিচ্ছেন ব্যবসায়ীরা। তারা বলছেন, এ বছর তরমুজের ফলন ভালো হয়নি। এর ওপর চৈত্রের শুরুতেই প্রচণ্ড গরম পড়তে শুরু করায় বেশি দাম পাওয়ার আশায় পরিপক্ক হওয়ার আগেই মাঠ থেকে তরমুজ তুলে বিক্রি করেছেন কৃষকরা। তারা বলছেন, এখন আর মাঠে তরমুজ নেই। তাই বাজারে তরমুজের সরবরাহ কমেছে। আর তাই দামও বেড়েছে। আর ‘লকডাউনের’ কারণে দেশের বেশির ভাগ তরমুজ উৎপাদন হওয়া বরগুনা, ভোলা, পটুয়াখালী থেকে পর্যাপ্ত পরিমাণে তরমুজ আসতে পারছে না। এজন্য দাম বেশি।

ত‌বে দাম বে‌শি কম যাই হোক, গরমের এই মৌসু‌মে তরমুজ খেলে বহুমুখী উপকার হয় ব‌লে জানালেন ল্যাবএইড হাসপাতা‌লের মে‌ডি‌সিন বিশেষজ্ঞ অধ্যাপক মনজুর রহমান গা‌লিব। তি‌নি ব‌লেন, ‘সর্দি-কাশি, জ্বর ও ইউরিনের সমস্যায় ‌তরমুজ খুবই উপকারী। ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণেও কাজ ক‌রে। শরীরের জরুরি কিছু অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট পাওয়া যায় এই তরমুজ থেকে। বিভিন্ন ধরনের ক্যান্সারের ঝুঁকিও কমায় তরমুজ।’ তি‌নি আরও ব‌লেন, ‘তরমুজের ম‌ধ্যে ম্যাগনেসিয়াম, পটাসিয়ামসহ বিভিন্ন ভিটামিন থাকে। যা হৃদরোগ প্রতিরোধ করে। এছাড়া, তরমুজে ভিটামিন এ এবং সি থাকায় ত্বক ও চুল প্রাকৃতিকভাবে সুন্দর রাখে।’

Tag :
আপলোডকারীর তথ্য

Bangal Kantha

ফেক ছবি শনাক্তে হোয়াটসঅ্যাপের নতুন ফিচার

পিস হি‌সে‌বে তরমুজ বি‌ক্রি হচ্ছে কে‌জি দ‌রে, ঠকছে ক্রেতারা

আপডেট টাইম : ০৬:২২ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৭ এপ্রিল ২০২১

বাঙালী কণ্ঠ ডেস্কঃ রোজার সময় প্রতি বছরই ফলের কদর বাড়ে। ফল ছাড়া ইফতার কল্পনাই করা যায় না। এদিকে গ্রীষ্মকাল শুরু হলেও পরিপক্ব না হওয়ায় বাজারে এখনো আসেনি চাহিদা অনুযায়ী মৌসুমি ফল। যার কারণে গ্রীষ্মকালীন ফল তরমুজের ওপর ক্রেতাদের আগ্রহ বেশি। আর এ সুযোগটিকে কাজে লাগাচ্ছেন ব্যবসায়ীরা। পুষ্টিগুণে সমৃদ্ধ এই তরমুজ এখন রাজধানীসহ বিভিন্ন বিভাগীয় শহরে কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে। এই সুযোগে বিক্রেতাদের মুনাফা চরমে।

পিসের পরিবর্তে অধিক মুনাফার আশায় তারা এখন তরমুজ বিক্রি করছেন কেজি দরে। গত এপ্রিলের শুরুতে যে তরমুজের কেজি ছিল ৩০ থেকে ৩৫ টাকা এখন তা বাড়িয়ে বিক্রি হচ্ছে ৬০ থেকে ৮০ টাকায়। ফলে সরকার ও ব্যবসায়ীদের পক্ষ থেকে রমজানে দ্রব্যমূল্য সহনশীল রাখার ঘোষণা দেয়া হলেও রোজা শুরুর আগেই সেই প্রতিশ্রুতি মুখথুবড়ে পড়েছে। অথচ এই তরমুজের দাম ১৫০ টাকার বেশি হওয়ার কথা নয়। প্রতি তরমুজ কমপক্ষে ১০০ টাকা বেশিতে বিক্রি হচ্ছে

তরমুজের দাম বেড়ে যাওয়া নিয়ে রাজধানীবাসী মনে করছেন, কেজি দরে বিক্রির কারণেই এমন দাম উঠেছে। এতো ভারী একটি ফল ছোট পরিবারের জন্য কিনতে গেলেও ৫ কেজির নিচে হয় না। এর মধ্যে রমজান আর বৈশাখের খরতাপকে কেন্দ্র করে সবুজ তরমুজেও আগুন লেগেছে। যে আগুনে নিম্মমধ্যবিত্ত তো দূরের কথা, মধ্যবিত্তরাই পুড়ে ছারখার। অথচ দেশজুড়ে চলমান তীব্র তাপদাহে ইফতারের প্রধান উপকরণ হওয়ার কথা তরমুজ। পুষ্টিগুণে সমৃদ্ধ এই তরমুজ এখন রাজধানীসহ বিভিন্ন বিভাগীয় শহরে কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে। এই সুযোগে বিক্রেতাদের মুনাফা চরমে।

বিষয়টি সম্পর্কে জানতে চাইলে নানান অজুহাত দিচ্ছেন ব্যবসায়ীরা। তারা বলছেন, এ বছর তরমুজের ফলন ভালো হয়নি। এর ওপর চৈত্রের শুরুতেই প্রচণ্ড গরম পড়তে শুরু করায় বেশি দাম পাওয়ার আশায় পরিপক্ক হওয়ার আগেই মাঠ থেকে তরমুজ তুলে বিক্রি করেছেন কৃষকরা। তারা বলছেন, এখন আর মাঠে তরমুজ নেই। তাই বাজারে তরমুজের সরবরাহ কমেছে। আর তাই দামও বেড়েছে। আর ‘লকডাউনের’ কারণে দেশের বেশির ভাগ তরমুজ উৎপাদন হওয়া বরগুনা, ভোলা, পটুয়াখালী থেকে পর্যাপ্ত পরিমাণে তরমুজ আসতে পারছে না। এজন্য দাম বেশি।

ত‌বে দাম বে‌শি কম যাই হোক, গরমের এই মৌসু‌মে তরমুজ খেলে বহুমুখী উপকার হয় ব‌লে জানালেন ল্যাবএইড হাসপাতা‌লের মে‌ডি‌সিন বিশেষজ্ঞ অধ্যাপক মনজুর রহমান গা‌লিব। তি‌নি ব‌লেন, ‘সর্দি-কাশি, জ্বর ও ইউরিনের সমস্যায় ‌তরমুজ খুবই উপকারী। ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণেও কাজ ক‌রে। শরীরের জরুরি কিছু অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট পাওয়া যায় এই তরমুজ থেকে। বিভিন্ন ধরনের ক্যান্সারের ঝুঁকিও কমায় তরমুজ।’ তি‌নি আরও ব‌লেন, ‘তরমুজের ম‌ধ্যে ম্যাগনেসিয়াম, পটাসিয়ামসহ বিভিন্ন ভিটামিন থাকে। যা হৃদরোগ প্রতিরোধ করে। এছাড়া, তরমুজে ভিটামিন এ এবং সি থাকায় ত্বক ও চুল প্রাকৃতিকভাবে সুন্দর রাখে।’