নির্বাচন কমিশনার রাশেদা সুলতানা জানিয়েছেন, আগামী মে-জুনে মাসে অনুষ্ঠেয় গাজীপুর, খুলনা, রাজশাহী, বরিশাল ও সিলেট সিটি করপোরেশন নির্বাচনে সিসি ক্যামেরা ব্যবহার করা হবে। তবে আগামী সংসদ নির্বাচনে সিসি ক্যামেরা ব্যবহারের বিষয়ে এখনো কিছু চূড়ান্ত হয়নি।
বুধবার (২২ মার্চ) সাংবাদিকদের এসব কথা জানান নির্বাচন কমিশনার রাশেদা সুলতানা।
তিনি বলেন, পাঁচ সিটি নির্বাচনে আমরা সিসি ক্যামেরা ব্যবহার করব। ভোটগ্রহণ করা হবে ইভিএমে।
এসময় সাংবাদিকরা সংসদ নির্বাচনে সিসি ক্যামেরা ব্যবহার হবে কি না জানতে চাইলে তিনি বলেন, জাতীয় নির্বাচনে সিসি ক্যামেরা ব্যবহারে আমাদের ইচ্ছা আছে। তবে সামনে কী হবে, তা এখনই বলতে পারব না।
তিনি বলেন, সাধারণ মানুষের আস্থা অর্জনে সুষ্ঠু নির্বাচনের লক্ষ্যে সব ধরনের পদক্ষেপ নেওয়া হবে।
ইসি রাশেদা বলেন, আস্থা বিষয়টি তো মানসিক। কে কীভাবে আস্থা পাবে, তা তো আমরা বলতে পারব না। তবে আমরা দায়িত্ব নেওয়ার পর এমন কোনো কাজ করিনি যে কেউ আস্থায় আসবে না। আমরা গাইবান্ধার উপ-নির্বাচনে সে প্রমাণ দিয়েছি।
অনিয়মের বিরুদ্ধে কঠোর অবস্থানের প্রতিশ্রুতির কথা জানিয়ে রাশেদা সুলতানা বলেন, নির্বাচনে ভোটাররা তাদের পছন্দের প্রার্থীকে কোনো রকম বাধা ছাড়াই ভোট দিতে পারবেন আমরা সেই নিশ্চয়তা দিচ্ছি। গাইবান্ধার উপ-নির্বাচনে (অনিয়ম দেখে) যেমন ভোট বন্ধ করে দিয়েছি, জাতীয় নির্বাচনেও অনিয়ম হলে ভোট বন্ধ করে দেব।
উল্লেখ্য, ইতোমধ্যে কমিশন সভায় সিদ্ধান্ত হয়েছে যে, ২৩ মে থেকে ২৯ জুনের মধ্যবর্তী সময়ের তিন ধাপে দেশের পাঁচটি সিটি করপোরেশনের ভোট করা হবে। এপ্রিলের মাঝামাঝি সময়ে তফসিল ঘোষণা করবে ইসি।
প্রসঙ্গত, কুমিল্লা সিটি করপোরেশন নির্বাচনে প্রথমবারের মতো সিসি ক্যামেরার ব্যবহার শুরু করেছিল ইসি। গাইবান্ধা উপনির্বাচনে সিসি ক্যামেরা ব্যাপক হয়েছিল। এবার ৫টি সিটি করপোরেশনের আসন্ন নির্বাচনেও ক্যামেরায় নজরদারি চালানোর পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছে।