ক্ষমতার ছায়ায় ক্ষমা পেলেও পালা পরিবর্তনে শ্রমজীবী মানুষের প্রতি ফোঁটা রক্তের হিসাব নেবে জনগণ বলে মন্তব্য করেছেন ২০ দলীয় জোটনেতা ও জাতীয় গণতান্ত্রিক পার্টির সভাপতি শফিউল আলম প্রধান।
রোববার বিকেলে আসাদগেটের দলীয় কার্যালয়ে রানা প্লাজা ট্র্যাজেডির-৩ বছরেও ইনসাফ মেলেনি শীর্ষক আলোচনা সভায় তিনি এ মন্তব্য করেন।
জাগপা মজদুর লীগ এ আলোচনা সভার আয়োজন করে।
শফিউল আলম বলেন, স্বাধীন চেতা জাতি আর মৃত্যুর জানাজা পাঠ করতে প্রস্তুত নয়। কবরেরও ঘুম ভাঙে এমন আওয়াজ শুনতে চায় জনগণ। রানা প্লাজা ট্র্যাজেডিস্থলে নির্মিত হবে শহীদদের স্মরণে এক স্মৃতিসৌধ। সেই স্মৃতিসৌধ জানান দেবে এক ভয়ঙ্কর
দানবীয় শাসনে হাজার হাজার শ্রমিককে লাশ হতে হয়েছে। বিচারের বাণী চিৎকার করে কেঁদেছিল কিন্তু বিচার মেলেনি।
তিনি বলেন, ইতিহাসের নির্মম হত্যাকাণ্ডের ৩ বছরেও বিচার ও ইনসাফ জনগণ পায়নি। এদেশে ট্রেজারি লুট হয়, হাজার হাজার কোটি টাকা বিদেশে পাচার হয়, অথচ রানা প্লাজার শ্রমিকদের কান্না থামে না।
শফিউল আলম বলেন, অনেকে নিখোঁজ, অনেকে পঙ্গু, অনেকে মানসিক রোগী, কী অপরাধ করেছিল এদেশের মানুষ?
তিনি বলেন, ইমরান সরকারের ভাষায়- নেতানেত্রীর পরিবার-পরিজন ছাড়া এদেশের কেউ বিচার পায় না। দেশের সম্পদ লুট করে কারা- আর মামলার আসামি হন স্বনামধন্য সাংবাদিক শফিক রেহমান ও মাহমুদুর রহমান। পিলখানায় অফিসারদের হত্যা করল কারা আর ফাঁসিতে ঝুলতে হচ্ছে কাদের।
জাগপা মজদুর লীগের আহ্বায়ক শেখ জামাল উদ্দিনের সভাপতিত্বে এবং মজদুর লীগ নেতা মো. মুছা মিয়ার পরিচালনায় বক্তব্য রাখেন জাগপার সাধারণ সম্পাদক খোন্দকার লুৎফর রহমান, জাগপার সহ-সভাপতি ও চট্টগ্রাম মহানগর সভাপতি আবু মোজাফফর মো. আনাছ, যুব জাগপার সভাপতি আলহাজ্ব ফায়জুর রহমান, সাধারণ সম্পাদক শেখ ফরিদউদ্দিন, সহ-সভাপতি সাইদুজ্জামান কবির, মাহিদুর রহমান বাবলা, যুগ্ম-সম্পাদক ইব্রাহীম জুয়েল, ঢাকা মহানগর যুব জাগপা সাধারণ সম্পাদক নজরুল ইসলাম বাবলু, জাগপা ছাত্রলীগের নগর সাধারণ সম্পাদক ফয়সাল অরণ্য প্রমুখ।