বাঙালী কণ্ঠ নিউজঃ কাল ২৭ এপ্রিল থেকে ৬ মে পর্যন্ত নয় দিনের মধ্যে সাত দিনই ছুটি। ২৭ ও ২৮ এপ্রিল শুক্র-শনিবার সাপ্তাহিক ছুটি। ২৯ এপ্রিল রোববার আছে বুদ্ধপূর্ণিমার সরকারি ছুটি। ১ মে মঙ্গলবার মহান মে দিবস। পরদিন ২ মে বুধবার রয়েছে শবে বরাতের ছুটি।
কেবল ৩০ এপ্রিল ও ৩ মে খোলা থাকবে অফিস-আদালত। এই দুদিন ছুটি পাওয়া গেলেই নয় দিনের লম্বা ছুটি। আজ বৃহস্পতিবার শেষ কর্মদিবসের পর রাজধানী ঢাকাসহ দেশের বড় নগরগুলো হয়ে যাবে বেশ ফাঁকা। কেউ হয়তো নাড়ির টান অনুভব করে ফিরবেন আপন ঠিকানায়। কেউবা বেড়াতে যাবেন দূরে।
ভ্রমণপিপাসু মানুষের কপালে চিন্তার ভাঁজ কিছুটা বৈশাখ মাসের ঝঞ্ঝাবিক্ষুব্ধ আবহাওয়া। কারণ, প্রায় সপ্তাহ দু-এক ধরে দুপুর গড়িয়ে বিকেল হতেই আকাশ থেকে জমছে কালো মেঘ। বইছে কালবৈশাখী। কোনো কোনো দিন সকাল কিংবা মধ্যরাতে লাগছে কালবৈশাখীর ঝাপটা। এর সঙ্গে শিলাবৃষ্টি আর বজ্রপাত তো আছেই। আসছে কয়েক দিন প্রকৃতি এমন আচরণ করবেই বলে জানিয়েছেন আবহাওয়াবিদেরা। তবে মে মাসের প্রথম দিকে আসতে পারে দাবদাহ।
আবহাওয়াবিদ আবুল কালাম মল্লিক বাঙালী কণ্ঠকে বলেন, বৃহস্পতিবারের পর এপ্রিল মাসের রয়েছে কেবল চার দিন। এই কদিন দেশের কোথাও না কোথাও কালবৈশাখীসহ বজ্রবৃষ্টির হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে। তবে মে মাসের প্রথম সপ্তাহ থেকে তাপমাত্রা বৃদ্ধি পাবে। এমনকি কোথাও কোথাও মৃদু দাবদাহ বয়ে যেতে পারে।
দেশের উত্তরাঞ্চল ও মধ্যাঞ্চলে তাপমাত্রা তুলনামূলক বেশি হতে পারে জানিয়ে তিনি বলেন, রাজশাহী, সিরাজগঞ্জ, পাবনা, কুষ্টিয়া, মেহেরপুর, যশোর, খুলনা, সাতক্ষীরা তাপমাত্রা ৩৬ ডিগ্রি সেলসিয়াসের ওপর চলে যেতে পারে।
গতকাল কালবৈশাখীর কারণে ঢাকাসহ দেশের অনেক এলাকায় বৃষ্টি হয়েছে। গতকাল সকাল ছয়টা থেকে আজ সকাল ছয়টা পর্যন্ত ২৪ ঘণ্টায় সবচেয়ে বেশি ৩৯ মিলিমিটার বৃষ্টি হয়েছে কুমারখালিতে। এ ছাড়া রংপুরে ৩০, ঢাকায় ২৬, টাঙ্গাইলে ২৪, নিকলীতে ২৯ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত হয়েছে।
আজ সকালে আবহাওয়া অধিদপ্তরের পূর্বাভাসে বলা হয়েছে, ঝড়-বৃষ্টির এই ধারা আগামী তিন দিন থাকতে পারে। তবে ঢাকা, রংপুর, দিনাজপুর, রাজশাহী, পাবনা, বগুড়া, টাঙ্গাইল, ময়মনসিংহ, ফরিদপুর, যশোর, কুষ্টিয়া, খুলনা, বরিশাল, পটুয়াখালী, নোয়াখালী, কুমিল্লা, চট্টগ্রাম, কক্সবাজার, সিলেটের ওপর দিয়ে ঘণ্টায় ৪৫ থেকে ৬০ কিলোমিটার বেগে দমকা হাওয়াসহ বৃষ্টি অথবা বজ্রবৃষ্টি হতে পারে। এ জন্য আজ সন্ধ্যা ছয়টা পর্যন্ত এসব এলাকার নৌবন্দরগুলোকে ১ নম্বর নৌ হুঁশিয়ারি সংকেত দেখিয়ে যেতে বলা হয়েছে।