ঢাকা , বুধবার, ১৮ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ৩ আশ্বিন ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

বিএনপির সর্বোচ্চ নীতি নির্ধারণী বৈঠকে জামায়াত প্রসঙ্গ

বিএনপির সর্বোচ্চ নীতি নির্ধারণী ফোরাম জাতীয় স্থায়ী কমিটির বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়েছে সোমবার রাতে। ওইদিন চলমান রাজনৈতিক বিষয়বলীর পাশাপাশি জামায়াত প্রসঙ্গও গুরুত্ব পায় বৈঠকে।

বৈঠক সূত্রে জানা যায়, বিএনপির স্থায়ী কমিটির বৈঠকের শুরুতে অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের গত এক মাসের কার্যক্রম নিয়ে পর্যালোচনা করা হয়। সেখানে স্থায়ী কমিটির সদস্যরা তাদের মতামত তুলে ধরেন। কয়েকজন উপদেষ্টার বর্তমান কর্মকাণ্ড ও তাদের বিগত দিনের ফিরিস্তি আলোচনায় উঠে আসে।

কয়েকজন নেতা ক্ষোভ প্রকাশ করেন। একজন উপদেষ্টার পিএসের কর্মকাণ্ডও পর্যবেক্ষণে আনে বিএনপি। গত এক মাসে ডিসি (জেলা প্রশাসক) এবং সচিব পর্যায়ে প্রশাসনিক যে রদবদল করেছে, সেটাতে আপত্তি তোলেন বিএনপির নীতিনির্ধারকরা। জানা যায়, এ ব্যাপারে শিগগিরই বিএনপি তাদের অবস্থান অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের কাছে তুলে ধরবে। একই সঙ্গে দ্রুত প্রাতিষ্ঠানিক সংস্কারের দাবি জানাবে দলটি।

বিএনপির নীতিনির্ধারণী পর্যায়ের একজন দায়িত্বশীল নেতা বলেন, রাষ্ট্র সংস্কারে অন্তর্বর্তী সরকারে বিএনপির সমর্থন রয়েছে। সরকার ইতোমধ্যে এক মাসের বেশি সময় অতিবাহিত করেছে। কিন্তু এখনো সংস্কার কাজ শুরু হয়নি। নির্বাচনি রোডম্যাপের ঘোষণাও আসেনি।

বৈঠক সূত্রে আরও জানা যায়, পরিবর্তিত পরিস্থিতিতে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর কর্মকাণ্ড নিয়েও আলোচনা হয়েছে। সেখানে জামায়াত আমির ডা. শফিকুর রহমানের সাম্প্রতিক কয়েকটি বক্তব্য আলোচনায় আসে।

প্রসঙ্গত, ৫ আগস্ট সরকার পতনের পর জামায়াতের কর্মকাণ্ড বেড়ে গেছে। জামায়াত আমিরসহ দলটির শীর্ষ নেতারা নানা কর্মসূচি নিয়ে দেশের বিভিন্ন জেলা সফর করছেন। সেখানে নেতারা বিভিন্ন বক্তৃতা করছেন।

সম্প্রতি জামায়াত আমির শফিকুর রহমান নির্বাচন প্রসঙ্গে বলেছেন, তারা এত দ্রুত নির্বাচন চান না। অন্তর্বর্তী সরকারকে রাষ্ট্র সংস্কারের জন্য আরও সময় দেওয়ার পক্ষে। তার এই বক্তব্য বিএনপিতে তীব্র প্রতিক্রিয়ার সৃষ্টি করে। কারণ বিএনপি দ্রুত নির্বাচনের পক্ষে।

Tag :
আপলোডকারীর তথ্য

Bangal Kantha

বিএনপির সর্বোচ্চ নীতি নির্ধারণী বৈঠকে জামায়াত প্রসঙ্গ

আপডেট টাইম : ০৪:৩৯ অপরাহ্ন, বুধবার, ১১ সেপ্টেম্বর ২০২৪

বিএনপির সর্বোচ্চ নীতি নির্ধারণী ফোরাম জাতীয় স্থায়ী কমিটির বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়েছে সোমবার রাতে। ওইদিন চলমান রাজনৈতিক বিষয়বলীর পাশাপাশি জামায়াত প্রসঙ্গও গুরুত্ব পায় বৈঠকে।

বৈঠক সূত্রে জানা যায়, বিএনপির স্থায়ী কমিটির বৈঠকের শুরুতে অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের গত এক মাসের কার্যক্রম নিয়ে পর্যালোচনা করা হয়। সেখানে স্থায়ী কমিটির সদস্যরা তাদের মতামত তুলে ধরেন। কয়েকজন উপদেষ্টার বর্তমান কর্মকাণ্ড ও তাদের বিগত দিনের ফিরিস্তি আলোচনায় উঠে আসে।

কয়েকজন নেতা ক্ষোভ প্রকাশ করেন। একজন উপদেষ্টার পিএসের কর্মকাণ্ডও পর্যবেক্ষণে আনে বিএনপি। গত এক মাসে ডিসি (জেলা প্রশাসক) এবং সচিব পর্যায়ে প্রশাসনিক যে রদবদল করেছে, সেটাতে আপত্তি তোলেন বিএনপির নীতিনির্ধারকরা। জানা যায়, এ ব্যাপারে শিগগিরই বিএনপি তাদের অবস্থান অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের কাছে তুলে ধরবে। একই সঙ্গে দ্রুত প্রাতিষ্ঠানিক সংস্কারের দাবি জানাবে দলটি।

বিএনপির নীতিনির্ধারণী পর্যায়ের একজন দায়িত্বশীল নেতা বলেন, রাষ্ট্র সংস্কারে অন্তর্বর্তী সরকারে বিএনপির সমর্থন রয়েছে। সরকার ইতোমধ্যে এক মাসের বেশি সময় অতিবাহিত করেছে। কিন্তু এখনো সংস্কার কাজ শুরু হয়নি। নির্বাচনি রোডম্যাপের ঘোষণাও আসেনি।

বৈঠক সূত্রে আরও জানা যায়, পরিবর্তিত পরিস্থিতিতে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর কর্মকাণ্ড নিয়েও আলোচনা হয়েছে। সেখানে জামায়াত আমির ডা. শফিকুর রহমানের সাম্প্রতিক কয়েকটি বক্তব্য আলোচনায় আসে।

প্রসঙ্গত, ৫ আগস্ট সরকার পতনের পর জামায়াতের কর্মকাণ্ড বেড়ে গেছে। জামায়াত আমিরসহ দলটির শীর্ষ নেতারা নানা কর্মসূচি নিয়ে দেশের বিভিন্ন জেলা সফর করছেন। সেখানে নেতারা বিভিন্ন বক্তৃতা করছেন।

সম্প্রতি জামায়াত আমির শফিকুর রহমান নির্বাচন প্রসঙ্গে বলেছেন, তারা এত দ্রুত নির্বাচন চান না। অন্তর্বর্তী সরকারকে রাষ্ট্র সংস্কারের জন্য আরও সময় দেওয়ার পক্ষে। তার এই বক্তব্য বিএনপিতে তীব্র প্রতিক্রিয়ার সৃষ্টি করে। কারণ বিএনপি দ্রুত নির্বাচনের পক্ষে।