ঢাকা , সোমবার, ২৩ ডিসেম্বর ২০২৪, ৯ পৌষ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম :
দ. আফ্রিকাকে হোয়াইটওয়াশ করে ইতিহাস গড়ল পাকিস্তান ঢাকা-মাওয়া এক্সপ্রেসওয়েতে আজও দুই গাড়ির সংঘর্ষ, নিহত ১ পররাষ্ট্র উপদেষ্টা বর্ডারে দুর্নীতির কারণে ঠেকানো যাচ্ছে না ‘রোহিঙ্গা অনুপ্রবেশ আব্রাম না থাকলে তাকে আমার যোগ্য বলেও মনে করতাম না ওমরাহ শেষে গ্রামে ফিরে খেজুর-জমজমের পানি বিতরণ করল শিশু রিফাত বিদেশে প্রশিক্ষণে ঘুরে-ফিরে একই ব্যক্তি নয়, জুনিয়রদের অগ্রাধিকার কর্মবিরতির ঘোষণা দিয়ে সড়ক ছাড়লেন চিকিৎসকরা রেমিট্যান্সে জোয়ার, ২১ দিনে এলো ২ বিলিয়ন ডলার গণমাধ্যমের পাঠক-দর্শক-শ্রোতার মতামত জরিপ জানুয়ারিতে বুয়েট শিক্ষার্থী নিহতের ঘটনায় গ্রেপ্তার ৩ আসামি রিমান্ডে

ভোটাররা কাঁদতে কাঁদতে ফিরে গেছেন বাড়িতে : রিজভী

বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী বলেছেন, তৃতীয় ধাপের ইউপি নির্বাচনে র‍্যাব, পুলিশ, বিজিবি ও নির্বাচনী কর্মকর্তাদের সহযোগিতায় প্রকাশ্যে সিল মেরেছে আওয়ামী লীগ, ছাত্রলীগ ও যুবলীগ সন্ত্রাসীরা।  সাধারণ ভোটাররা ভোট দিতে না পেরে কেন্দ্র থেকে কাঁদতে কাঁদতে ফিরে গেছেন বাড়িতে।

সোমবার দুপুরে রাজধানীর নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে  এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এসব কথা বলেন।

রিজভী বলেন, নির্বাচনে দায়িত্বরত প্রিজাইডিং অফিসার, র‌্যাব, পুলিশ, বিজিবি, কোনো কোনো স্থানে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটরাও নৌকা প্রতীকে সিল মারতে সহায়তা করেছেন।  বিএনপি ও বিরোধী দলের এজেন্টদের


বের করে দিয়েছে।

তিনি বলেন, বোমা বিস্ফোরণ, কেন্দ্র দখল করে ক্ষমতাসীন দলের সন্ত্রাসীরা লাইন ধরে নৌকা প্রতীকে সিল মেরেছে।  দেশজুড়ে চলছে আওয়ামী সন্ত্রাসীদের সশস্ত্র তাণ্ডব।  সারাদেশেই এখন বিএনপি নেতাকর্মীদের বাড়িতে হামলা, ভা১চুর ও লুটপাট চলছে।

রিজভী বলেন, শনিবার দেশব্যাপী ৪৮ জেলার ৬১৪টি ইউনিয়নের ভোট কেন্দ্র ও আশপাশের এলাকায় সহিংস সংঘাত ও আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর গুলিতে নিহত হয়েছে আরো ৫ জন।  গুলিবিদ্ধ হয়েছে অর্ধশতাধিক লোক।  দু’বারের মতো প্রাণহানির ঘটনার মধ্যদিয়ে তৃতীয় দফার নির্বাচন হয়েছে।

তিনি বলেন, আওয়ামী লীগ নেতা হানিফ নির্বাচন কমিশনের সাথে বৈঠক করে বের হয়ে সাংবাদিকদের বলেছিলেন- প্রধানমন্ত্রী নির্বাচন কমিশনকে কঠোর হতে বলেছেন।  নির্বাচন কমিশনও প্রধানমন্ত্রীর কথা অক্ষরে অক্ষরে পালন করেছেন।  আগে ভোট ডাকাতি করতো আওয়ামী সন্ত্রাসী ও নির্বাচনী কর্মকর্তারা।  এবার প্রধানমন্ত্রীর কঠোর হওয়ার নির্দেশের পর আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সাথে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটরাও ভোট ডাকাতিতে অংশগ্রহণ করেন।

রিজভী বলেন, ভোটাররা ভোট দেয়ার জন্য কেন্দ্রে দাঁড়িয়ে কাঁদে, ভোট দেয় সন্ত্রাসী ও নির্বাচনে দায়িত্বরত কর্মকর্তারা।  ভোটের অধিকার প্রতিষ্ঠিত করতে গ্রাম থেকেই প্রতিবাদী মানুষ এখন জেগে উঠছে।  শিগগিরই এই দুঃশাসনের অবসান ঘটবে।

Tag :
আপলোডকারীর তথ্য

Bangal Kantha

জনপ্রিয় সংবাদ

দ. আফ্রিকাকে হোয়াইটওয়াশ করে ইতিহাস গড়ল পাকিস্তান

ভোটাররা কাঁদতে কাঁদতে ফিরে গেছেন বাড়িতে : রিজভী

আপডেট টাইম : ০৫:১৭ অপরাহ্ন, সোমবার, ২৫ এপ্রিল ২০১৬

বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী বলেছেন, তৃতীয় ধাপের ইউপি নির্বাচনে র‍্যাব, পুলিশ, বিজিবি ও নির্বাচনী কর্মকর্তাদের সহযোগিতায় প্রকাশ্যে সিল মেরেছে আওয়ামী লীগ, ছাত্রলীগ ও যুবলীগ সন্ত্রাসীরা।  সাধারণ ভোটাররা ভোট দিতে না পেরে কেন্দ্র থেকে কাঁদতে কাঁদতে ফিরে গেছেন বাড়িতে।

সোমবার দুপুরে রাজধানীর নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে  এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এসব কথা বলেন।

রিজভী বলেন, নির্বাচনে দায়িত্বরত প্রিজাইডিং অফিসার, র‌্যাব, পুলিশ, বিজিবি, কোনো কোনো স্থানে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটরাও নৌকা প্রতীকে সিল মারতে সহায়তা করেছেন।  বিএনপি ও বিরোধী দলের এজেন্টদের


বের করে দিয়েছে।

তিনি বলেন, বোমা বিস্ফোরণ, কেন্দ্র দখল করে ক্ষমতাসীন দলের সন্ত্রাসীরা লাইন ধরে নৌকা প্রতীকে সিল মেরেছে।  দেশজুড়ে চলছে আওয়ামী সন্ত্রাসীদের সশস্ত্র তাণ্ডব।  সারাদেশেই এখন বিএনপি নেতাকর্মীদের বাড়িতে হামলা, ভা১চুর ও লুটপাট চলছে।

রিজভী বলেন, শনিবার দেশব্যাপী ৪৮ জেলার ৬১৪টি ইউনিয়নের ভোট কেন্দ্র ও আশপাশের এলাকায় সহিংস সংঘাত ও আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর গুলিতে নিহত হয়েছে আরো ৫ জন।  গুলিবিদ্ধ হয়েছে অর্ধশতাধিক লোক।  দু’বারের মতো প্রাণহানির ঘটনার মধ্যদিয়ে তৃতীয় দফার নির্বাচন হয়েছে।

তিনি বলেন, আওয়ামী লীগ নেতা হানিফ নির্বাচন কমিশনের সাথে বৈঠক করে বের হয়ে সাংবাদিকদের বলেছিলেন- প্রধানমন্ত্রী নির্বাচন কমিশনকে কঠোর হতে বলেছেন।  নির্বাচন কমিশনও প্রধানমন্ত্রীর কথা অক্ষরে অক্ষরে পালন করেছেন।  আগে ভোট ডাকাতি করতো আওয়ামী সন্ত্রাসী ও নির্বাচনী কর্মকর্তারা।  এবার প্রধানমন্ত্রীর কঠোর হওয়ার নির্দেশের পর আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সাথে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটরাও ভোট ডাকাতিতে অংশগ্রহণ করেন।

রিজভী বলেন, ভোটাররা ভোট দেয়ার জন্য কেন্দ্রে দাঁড়িয়ে কাঁদে, ভোট দেয় সন্ত্রাসী ও নির্বাচনে দায়িত্বরত কর্মকর্তারা।  ভোটের অধিকার প্রতিষ্ঠিত করতে গ্রাম থেকেই প্রতিবাদী মানুষ এখন জেগে উঠছে।  শিগগিরই এই দুঃশাসনের অবসান ঘটবে।