ঢাকা , রবিবার, ১৩ অক্টোবর ২০২৪, ২৮ আশ্বিন ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

জিব্রাঈলের (আ.) সাথে সৌদি ইমামের সাক্ষাৎ

ফেরেশতা জিব্রাঈলসহ (আ.) এক দল ফেরেশতার সাথে সাক্ষাৎ ও নামাজ পড়েছেন বলে দাবি করেছেন সৌদি আরবের এক ইমাম।

এমন দাবি করেছেন আছির প্রদেশের খামিশ মুশায়াত শহরের প্রধান ইমাম আহমেদ আল হাওয়াশি।

ইমাম আহমেদ আল হাওয়াশির দাবি, রমজানে জিব্রাঈল আর কয়েকজন ফেরেশতা মসজিদে তার ইমামমিতে তারাবি নামাজ আদায় করেন।

ইমাম বলেছেন, নামাজ শেষে তিনি ফেরেশতাদের আসসালামু আলাইকুম বলে সম্ভাষণ জানান এবং হাতের সাথে করমর্দন করেন।

এ খবর সোস্যাল মিডিয়ার ছড়িয়ে পড়ার পর টনক নড়েছে সর্বোচ্চ


প্রশাসনের।  আছির রাজ্যের আমির প্রিন্স ফয়সাল বিন খালিদ জ্যেষ্ঠ আলেমদের নিয়ে একটি কমিটি করে ওই ইমামের বিষয়ে তদন্তের নির্দেশ দিয়েছেন।

পরে সরকারের পক্ষ থেকে এক বিবৃতিতে জানানো হয়েছে, লাইলাতুল কদর শেষ রমজানের কোনো এক বেজোড় রাতেই পড়ে।  ওই ইমামের দাবি অনুযায়ী সেই মহিমান্বিত রাত ২৯ রমজানেই পড়ে এমন কোনো বাধ্যবাধতা নেই।

বিবৃতিতে বলা হয়েছে, তদন্ত কমিটি শেষ পর্যন্ত ইমাম আল হাওয়াশিকে বিষয়টি বুঝাতে সক্ষম হয়েছে।  তিনি অঙ্গীকার করেছেন, ভবিষ্যতে এমন কোনো বক্তব্যের পুনরাবৃত্তি করবেন না।

ওই ইমামের বিচ্যুতি সম্পর্কেও বিবৃতিতে উল্লেখ করা হয়।

তবে আল হাওয়াশি জোর দিয়ে বলেছেন, ফেরেশতাদের সাথে সাক্ষাতের বিষয়টি সঠিক।  তার সাথে জিব্রাঈল (আ.) ও আরো কয়েকজন ফেরেশতার সাক্ষাৎ হয়েছে।  তিনি তাদের সাথে মুসাফাহাও করেছেন।  ইসলামে ফেরেশতাদের সঙ্গে সাক্ষাৎ অনুমতি আছে।

প্রমাণ হিসেবে ইমাম উল্লেখ করেছেন, রাসুলের (সা.) সাথে সাক্ষাৎ করতে আসা জিব্রাঈলকে তার সহচররা (সাহাবী) সম্ভাষণ জানাতেন।  তথ্যসূত্র : সৌদি গ্যাজেট

Tag :
আপলোডকারীর তথ্য

Bangal Kantha

জিব্রাঈলের (আ.) সাথে সৌদি ইমামের সাক্ষাৎ

আপডেট টাইম : ০৫:৩৯ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৪ জুলাই ২০১৬

ফেরেশতা জিব্রাঈলসহ (আ.) এক দল ফেরেশতার সাথে সাক্ষাৎ ও নামাজ পড়েছেন বলে দাবি করেছেন সৌদি আরবের এক ইমাম।

এমন দাবি করেছেন আছির প্রদেশের খামিশ মুশায়াত শহরের প্রধান ইমাম আহমেদ আল হাওয়াশি।

ইমাম আহমেদ আল হাওয়াশির দাবি, রমজানে জিব্রাঈল আর কয়েকজন ফেরেশতা মসজিদে তার ইমামমিতে তারাবি নামাজ আদায় করেন।

ইমাম বলেছেন, নামাজ শেষে তিনি ফেরেশতাদের আসসালামু আলাইকুম বলে সম্ভাষণ জানান এবং হাতের সাথে করমর্দন করেন।

এ খবর সোস্যাল মিডিয়ার ছড়িয়ে পড়ার পর টনক নড়েছে সর্বোচ্চ


প্রশাসনের।  আছির রাজ্যের আমির প্রিন্স ফয়সাল বিন খালিদ জ্যেষ্ঠ আলেমদের নিয়ে একটি কমিটি করে ওই ইমামের বিষয়ে তদন্তের নির্দেশ দিয়েছেন।

পরে সরকারের পক্ষ থেকে এক বিবৃতিতে জানানো হয়েছে, লাইলাতুল কদর শেষ রমজানের কোনো এক বেজোড় রাতেই পড়ে।  ওই ইমামের দাবি অনুযায়ী সেই মহিমান্বিত রাত ২৯ রমজানেই পড়ে এমন কোনো বাধ্যবাধতা নেই।

বিবৃতিতে বলা হয়েছে, তদন্ত কমিটি শেষ পর্যন্ত ইমাম আল হাওয়াশিকে বিষয়টি বুঝাতে সক্ষম হয়েছে।  তিনি অঙ্গীকার করেছেন, ভবিষ্যতে এমন কোনো বক্তব্যের পুনরাবৃত্তি করবেন না।

ওই ইমামের বিচ্যুতি সম্পর্কেও বিবৃতিতে উল্লেখ করা হয়।

তবে আল হাওয়াশি জোর দিয়ে বলেছেন, ফেরেশতাদের সাথে সাক্ষাতের বিষয়টি সঠিক।  তার সাথে জিব্রাঈল (আ.) ও আরো কয়েকজন ফেরেশতার সাক্ষাৎ হয়েছে।  তিনি তাদের সাথে মুসাফাহাও করেছেন।  ইসলামে ফেরেশতাদের সঙ্গে সাক্ষাৎ অনুমতি আছে।

প্রমাণ হিসেবে ইমাম উল্লেখ করেছেন, রাসুলের (সা.) সাথে সাক্ষাৎ করতে আসা জিব্রাঈলকে তার সহচররা (সাহাবী) সম্ভাষণ জানাতেন।  তথ্যসূত্র : সৌদি গ্যাজেট