ঢাকা , শনিবার, ১৬ নভেম্বর ২০২৪, ২ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

অমুসলিম ব্যক্তিকে দান করা ও হাদিয়া দেওয়া কি নিষেধ

বাঙালী কণ্ঠ নিউজঃ কোনো কোনো মানুষ মনে করেন, অমুসলিম ব্যক্তিকে দান করা যাবে না, অমুসলিম ভিক্ষুককে ভিক্ষা দেওয়া যাবে না। তাদের এ ধারণা ভুল। বিধর্মী ভিক্ষুককে যেমন ভিক্ষা দেওয়া যাবে, তেমনি বিধর্মী দরিদ্র ব্যক্তিকে দানও করা যাবে। কারণ, নফল ছদকা এবং সাধারণ দান অমুসলিমকেও দেওয়া যায়। (ফাতাওয়া হিন্দিয়া ৫/৩০০) বিধর্মী ব্যক্তিকে হাদিয়াও দেওয়া যাবে।

সাহাবাগন অমুসলিমদেরও হাদিয়া দিতেন। বিশেষত সে অমুসলিম প্রতিবেশী হলে তার হকের প্রতি সবিশেষ লক্ষ্য রাখতেন। হযরত আবদুল্লাহ ইবনে আমর (রা.) এর বাড়িতে একবার একটি বকরি জবাই করা হল। যখন তিনি বাড়িতে ফিরলেন জিজ্ঞেস করলেন, তোমরা কি আমাদের ইহুদী প্রতিবেশীকে এ গোশত হাদিয়া পাঠিয়েছ? এভাবে দুইবার জিজ্ঞেস করলেন। (জামে তিরমিযী, হাদীস ১৯৪৩)

সুতরাং অমুসলিমদেরকে হাদিয়া দেওয়া যাবে।

আল্লাহ তাআলা ইরশাদ করেন-

لَا یَنْهٰىكُمُ اللهُ عَنِ الَّذِیْنَ لَمْ یُقَاتِلُوْكُمْ فِی الدِّیْنِ وَ لَمْ یُخْرِجُوْكُمْ مِّنْ دِیَارِكُمْ اَنْ تَبَرُّوْهُمْ وَ تُقْسِطُوْۤا اِلَیْهِمْ

দ্বীনের ব্যাপারে যারা তোমাদের বিরুদ্ধে যুদ্ধ করেনি এবং তোমাদেরকে স্বদেশ হতে বের করে দেয়নি তাদের প্রতি মহানুভবতা প্রদর্শন ও ন্যায়বিচার করতে আল্লাহ তোমাদেরকে নিষেধ করেন না। আল্লাহ তো ন্যায়পরায়ণদের ভালোবাসেন।

আল্লাহ কেবল তাদের সাথে বন্ধুত্ব করতে নিষেধ করেন, যারা দ্বীনের ব্যাপারে তোমাদের বিরুদ্ধে যুদ্ধ করেছে, তোমাদেরকে স্বদেশ হতে বের করে দিয়েছে এবং তোমাদেরকে বের করার কাজে সহায়তা করেছে। তাদের সাথে যারা বন্ধুত্ব করে তারা তো জালেম। (সূরা মুমতাহিনা: ৮-৯)

Tag :
আপলোডকারীর তথ্য

অমুসলিম ব্যক্তিকে দান করা ও হাদিয়া দেওয়া কি নিষেধ

আপডেট টাইম : ১২:৫৪ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ৭ সেপ্টেম্বর ২০১৮

বাঙালী কণ্ঠ নিউজঃ কোনো কোনো মানুষ মনে করেন, অমুসলিম ব্যক্তিকে দান করা যাবে না, অমুসলিম ভিক্ষুককে ভিক্ষা দেওয়া যাবে না। তাদের এ ধারণা ভুল। বিধর্মী ভিক্ষুককে যেমন ভিক্ষা দেওয়া যাবে, তেমনি বিধর্মী দরিদ্র ব্যক্তিকে দানও করা যাবে। কারণ, নফল ছদকা এবং সাধারণ দান অমুসলিমকেও দেওয়া যায়। (ফাতাওয়া হিন্দিয়া ৫/৩০০) বিধর্মী ব্যক্তিকে হাদিয়াও দেওয়া যাবে।

সাহাবাগন অমুসলিমদেরও হাদিয়া দিতেন। বিশেষত সে অমুসলিম প্রতিবেশী হলে তার হকের প্রতি সবিশেষ লক্ষ্য রাখতেন। হযরত আবদুল্লাহ ইবনে আমর (রা.) এর বাড়িতে একবার একটি বকরি জবাই করা হল। যখন তিনি বাড়িতে ফিরলেন জিজ্ঞেস করলেন, তোমরা কি আমাদের ইহুদী প্রতিবেশীকে এ গোশত হাদিয়া পাঠিয়েছ? এভাবে দুইবার জিজ্ঞেস করলেন। (জামে তিরমিযী, হাদীস ১৯৪৩)

সুতরাং অমুসলিমদেরকে হাদিয়া দেওয়া যাবে।

আল্লাহ তাআলা ইরশাদ করেন-

لَا یَنْهٰىكُمُ اللهُ عَنِ الَّذِیْنَ لَمْ یُقَاتِلُوْكُمْ فِی الدِّیْنِ وَ لَمْ یُخْرِجُوْكُمْ مِّنْ دِیَارِكُمْ اَنْ تَبَرُّوْهُمْ وَ تُقْسِطُوْۤا اِلَیْهِمْ

দ্বীনের ব্যাপারে যারা তোমাদের বিরুদ্ধে যুদ্ধ করেনি এবং তোমাদেরকে স্বদেশ হতে বের করে দেয়নি তাদের প্রতি মহানুভবতা প্রদর্শন ও ন্যায়বিচার করতে আল্লাহ তোমাদেরকে নিষেধ করেন না। আল্লাহ তো ন্যায়পরায়ণদের ভালোবাসেন।

আল্লাহ কেবল তাদের সাথে বন্ধুত্ব করতে নিষেধ করেন, যারা দ্বীনের ব্যাপারে তোমাদের বিরুদ্ধে যুদ্ধ করেছে, তোমাদেরকে স্বদেশ হতে বের করে দিয়েছে এবং তোমাদেরকে বের করার কাজে সহায়তা করেছে। তাদের সাথে যারা বন্ধুত্ব করে তারা তো জালেম। (সূরা মুমতাহিনা: ৮-৯)