ঢাকা , শনিবার, ২৩ নভেম্বর ২০২৪, ৯ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

জয়ের ব্যাপারে আশাবাদী টাইগাররা

ভারতের বিপক্ষে দুই ম্যাচের টেস্ট সিরিজ ২-০ ব্যবধানে হারের পর এবার টি-টোয়েন্টির যুদ্ধে মাঠে নামছে বাংলাদেশ দল। গোয়ালিয়রে আজ রবিবার ভারত ও বাংলাদেশের প্রথম টি-টোয়েন্টি ম্যাচ দিয়ে মাঠে গড়াচ্ছে সিরিজ। তবে টেস্ট সিরিজ হারলেও টি-টোয়েন্টিতে ভালো করার আশায় সাকিবহীন বাংলাদেশ।

গতকাল ম্যাচপূর্ব সংবাদ সম্মেলনে বাংলাদেশের প্রতিনিধি হয়ে আসা তাওহিদ হৃদয় বলেন, ‘অবশ্যই আমরা এখানে জিততে এসেছি। আমরা ভালোভাবে প্রস্তুত। আশা করছি ভালো করব। আমাদের লক্ষ্য আছে সিরিজ জয়ের এবং ভালো খেলার।’

আন্তর্জাতিক টি-টোয়েন্টিতে ভারতের বিপক্ষে ১৪ বার মুখোমুখি হয়েছে বাংলাদেশ দল। তাতে জয় মাত্র একটি। সেটি এসেছিল ২০১৯ সালে, দিল্লিতে। সবশেষ ২০২৪ টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে দেখা হয়েছিল তাদের। ওয়েস্ট ইন্ডিজের নর্থ সাউন্ডে সে ম্যাচে ৫০ রানে হেরেছিল বাংলাদেশ। আর ভারতের মাটিতে ২০১৯ সালের পর ফের মুখোমুখি হচ্ছে দুদল।

তবে এবার ‘অচেনা’ ভেন্যু মধ্যপ্রদেশ ক্রিকেট অ্যাসোসিয়েশনের (এমপিসিএ) মাঠ শ্রীমন্ত মাধবরাও সিন্ধিয়া ক্রিকেট স্টেডিয়াম বা গোয়ালিয়র আন্তর্জাতিক ক্রিকেট স্টেডিয়ামে। ভারত-বাংলাদেশ ম্যাচ দিয়ে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে অভিষেক হতে যাচ্ছে এ মাঠের। এই শহরে সর্বশেষ আন্তর্জাতিক ওয়ানডে ক্রিকেট হয়েছে ২০১০ সালে ভারত ও সাউথ আফ্রিকার মধ্যে। প্রায় ১৪ বছর পর গোয়ালিয়রে আন্তর্জাতিক ক্রিকেট ফিরছে। প্রথম টি-টোয়েন্টির আগে এখানে অনুশীলন করে নিজেদের প্রস্তুত করে নিয়েছেন বাংলাদেশের ক্রিকেটাররা। তবে দীর্ঘদিন আন্তর্জাতিক ক্রিকেটের বাইরে থাকায় এখানকার উইকেটের আচরণ কেমন হবে সে সম্পর্কে পরিষ্কার ধারণা নেই কারোরই!

তাওহিদ হৃদয় বলেন, ‘এখানে আন্তর্জাতিক ম্যাচ এখনো হয়নি। ঘরোয়া ক্রিকেটের খেলা এবং আন্তর্জাতিক ম্যাচ আলাদা ব্যাপার। আমি মনে করি, এখানে খেলাটা শুরু হলে বুঝতে পারব। উইকেটটা কেমন হয়…। অনুশীলনে উইকেট দেখে বুঝেছি, এখানে উইকেট মন্থর ও নিচু বাউন্সের। এ রকম উইকেটে বড় রানের ম্যাচ খুব কমই হয়। আইপিএলের খেলাও এখানে হয়নি। দেখা যাক, শেষ পর্যন্ত কী হয়।’

টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের পর ভারত ম্যাচ দিয়েই এই সংস্করণে মাঠে নামছে বাংলাদেশ। সবশেষ খেলা ৩ ম্যাচেই হারের তেতো স্বাদ পেয়েছেন টাইগাররা। তবে এবার হারের বৃত্ত ভাঙতে চান তাওহিদ। ভারত দলে নেই রোহিত শর্মা, বিরাট কোহলি। এ সংস্করণ থেকে তারা টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ শেষে অবসর নিয়েছেন। এ ছাড়া বিশ্রাম দেওয়া হয়েছে যশস্বী জয়সোয়াল, ঋষভ পন্ত, মোহাম্মদ সিরাজ, শুভমান গিল, অক্ষর প্যাটেলদের মতো টি-টোয়েন্টি দলের নিয়মিত সদস্যদের। সূর্যকুমার যাদবের নেতৃত্বে টি-টোয়েন্টি সিরিজের ভারত দলে আছেন অভিষেক শর্মা, সঞ্জু স্যামসন, রিংকু সিং, হার্দিক পান্ডিয়া, রিয়ান পরাগ, নীতিশ কুমার, শিবম দুবে, ওয়াশিংটন সুন্দর, রবি বিঞ্চয়, বরুণ চক্রবর্তী, জিতেশ শর্মা, অর্শদীপ সিং, হারশিত রানা ও মায়াঙ্ক যাদব।

তবে প্রতিপক্ষ দলে কে আছেন, কে নেই এসব নিয়ে ভাবছে না তাওহিদ হৃদয়। জয়কে পাখির চোখ করেই মাঠে নামবেন তারা। তিনি বলেন, ‘ তাদের হারানোর সুযোগ আছে, এমন না আমরা ওদের বড় দলকে হারাইনি। টি-২০ তে বড় দল ছোট দল নাই। যে ভালো করবে সেই জিতবে।’ প্রসঙ্গত, ৯ অক্টোবর দিল্লিতে দ্বিতীয় এবং হায়দরাবাদে ১২ অক্টোবর সিরিজের শেষ টি-টোয়েন্টি ম্যাচ অনুষ্ঠিত হবে।

বাংলাদেশের টি-টোয়েন্টি স্কোয়াড : নাজমুল হোসেন শান্ত (অধিনায়ক), লিটন দাস, মেহেদী হাসান মিরাজ, তানজিদ হাসান, তানজিম হাসান, পারভেজ হোসেন ইমন, মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ, জাকের আলী, মোস্তাফিজুর রহমান, তাওহিদ হৃদয়, শেখ মেহেদী হাসান, রিশাদ হোসেন, তাসকিন আহমেদ, শরীফুল ইসলাম ও রাকিবুল হাসান।

Tag :
আপলোডকারীর তথ্য

Bangal Kantha

জয়ের ব্যাপারে আশাবাদী টাইগাররা

আপডেট টাইম : ০৪:২৯ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ৬ অক্টোবর ২০২৪

ভারতের বিপক্ষে দুই ম্যাচের টেস্ট সিরিজ ২-০ ব্যবধানে হারের পর এবার টি-টোয়েন্টির যুদ্ধে মাঠে নামছে বাংলাদেশ দল। গোয়ালিয়রে আজ রবিবার ভারত ও বাংলাদেশের প্রথম টি-টোয়েন্টি ম্যাচ দিয়ে মাঠে গড়াচ্ছে সিরিজ। তবে টেস্ট সিরিজ হারলেও টি-টোয়েন্টিতে ভালো করার আশায় সাকিবহীন বাংলাদেশ।

গতকাল ম্যাচপূর্ব সংবাদ সম্মেলনে বাংলাদেশের প্রতিনিধি হয়ে আসা তাওহিদ হৃদয় বলেন, ‘অবশ্যই আমরা এখানে জিততে এসেছি। আমরা ভালোভাবে প্রস্তুত। আশা করছি ভালো করব। আমাদের লক্ষ্য আছে সিরিজ জয়ের এবং ভালো খেলার।’

আন্তর্জাতিক টি-টোয়েন্টিতে ভারতের বিপক্ষে ১৪ বার মুখোমুখি হয়েছে বাংলাদেশ দল। তাতে জয় মাত্র একটি। সেটি এসেছিল ২০১৯ সালে, দিল্লিতে। সবশেষ ২০২৪ টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে দেখা হয়েছিল তাদের। ওয়েস্ট ইন্ডিজের নর্থ সাউন্ডে সে ম্যাচে ৫০ রানে হেরেছিল বাংলাদেশ। আর ভারতের মাটিতে ২০১৯ সালের পর ফের মুখোমুখি হচ্ছে দুদল।

তবে এবার ‘অচেনা’ ভেন্যু মধ্যপ্রদেশ ক্রিকেট অ্যাসোসিয়েশনের (এমপিসিএ) মাঠ শ্রীমন্ত মাধবরাও সিন্ধিয়া ক্রিকেট স্টেডিয়াম বা গোয়ালিয়র আন্তর্জাতিক ক্রিকেট স্টেডিয়ামে। ভারত-বাংলাদেশ ম্যাচ দিয়ে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে অভিষেক হতে যাচ্ছে এ মাঠের। এই শহরে সর্বশেষ আন্তর্জাতিক ওয়ানডে ক্রিকেট হয়েছে ২০১০ সালে ভারত ও সাউথ আফ্রিকার মধ্যে। প্রায় ১৪ বছর পর গোয়ালিয়রে আন্তর্জাতিক ক্রিকেট ফিরছে। প্রথম টি-টোয়েন্টির আগে এখানে অনুশীলন করে নিজেদের প্রস্তুত করে নিয়েছেন বাংলাদেশের ক্রিকেটাররা। তবে দীর্ঘদিন আন্তর্জাতিক ক্রিকেটের বাইরে থাকায় এখানকার উইকেটের আচরণ কেমন হবে সে সম্পর্কে পরিষ্কার ধারণা নেই কারোরই!

তাওহিদ হৃদয় বলেন, ‘এখানে আন্তর্জাতিক ম্যাচ এখনো হয়নি। ঘরোয়া ক্রিকেটের খেলা এবং আন্তর্জাতিক ম্যাচ আলাদা ব্যাপার। আমি মনে করি, এখানে খেলাটা শুরু হলে বুঝতে পারব। উইকেটটা কেমন হয়…। অনুশীলনে উইকেট দেখে বুঝেছি, এখানে উইকেট মন্থর ও নিচু বাউন্সের। এ রকম উইকেটে বড় রানের ম্যাচ খুব কমই হয়। আইপিএলের খেলাও এখানে হয়নি। দেখা যাক, শেষ পর্যন্ত কী হয়।’

টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের পর ভারত ম্যাচ দিয়েই এই সংস্করণে মাঠে নামছে বাংলাদেশ। সবশেষ খেলা ৩ ম্যাচেই হারের তেতো স্বাদ পেয়েছেন টাইগাররা। তবে এবার হারের বৃত্ত ভাঙতে চান তাওহিদ। ভারত দলে নেই রোহিত শর্মা, বিরাট কোহলি। এ সংস্করণ থেকে তারা টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ শেষে অবসর নিয়েছেন। এ ছাড়া বিশ্রাম দেওয়া হয়েছে যশস্বী জয়সোয়াল, ঋষভ পন্ত, মোহাম্মদ সিরাজ, শুভমান গিল, অক্ষর প্যাটেলদের মতো টি-টোয়েন্টি দলের নিয়মিত সদস্যদের। সূর্যকুমার যাদবের নেতৃত্বে টি-টোয়েন্টি সিরিজের ভারত দলে আছেন অভিষেক শর্মা, সঞ্জু স্যামসন, রিংকু সিং, হার্দিক পান্ডিয়া, রিয়ান পরাগ, নীতিশ কুমার, শিবম দুবে, ওয়াশিংটন সুন্দর, রবি বিঞ্চয়, বরুণ চক্রবর্তী, জিতেশ শর্মা, অর্শদীপ সিং, হারশিত রানা ও মায়াঙ্ক যাদব।

তবে প্রতিপক্ষ দলে কে আছেন, কে নেই এসব নিয়ে ভাবছে না তাওহিদ হৃদয়। জয়কে পাখির চোখ করেই মাঠে নামবেন তারা। তিনি বলেন, ‘ তাদের হারানোর সুযোগ আছে, এমন না আমরা ওদের বড় দলকে হারাইনি। টি-২০ তে বড় দল ছোট দল নাই। যে ভালো করবে সেই জিতবে।’ প্রসঙ্গত, ৯ অক্টোবর দিল্লিতে দ্বিতীয় এবং হায়দরাবাদে ১২ অক্টোবর সিরিজের শেষ টি-টোয়েন্টি ম্যাচ অনুষ্ঠিত হবে।

বাংলাদেশের টি-টোয়েন্টি স্কোয়াড : নাজমুল হোসেন শান্ত (অধিনায়ক), লিটন দাস, মেহেদী হাসান মিরাজ, তানজিদ হাসান, তানজিম হাসান, পারভেজ হোসেন ইমন, মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ, জাকের আলী, মোস্তাফিজুর রহমান, তাওহিদ হৃদয়, শেখ মেহেদী হাসান, রিশাদ হোসেন, তাসকিন আহমেদ, শরীফুল ইসলাম ও রাকিবুল হাসান।