ঢাকা , মঙ্গলবার, ০৮ অক্টোবর ২০২৪, ২৩ আশ্বিন ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

শেষ বলেই শেষ আরেকটি শিরোপার স্বপ্ন

বাঙালী কণ্ঠ নিউজঃ মনে তখন ভয়। আবারও কি একটা দুঃখ গাঁথা অপেক্ষা করছে বাংলাদেশের সামনে। ছোট ছোট ব্যর্থা আবারও মাশরাফিদের মনে ঠাঁই করে নেবে। আবারও একবুক ব্যথায় ভরে যাবে সমর্থকদের হৃদয়। আগের দুই এশিয়া কাপের স্মৃতি; নিদাহাস ট্রফি কিংবা ত্রিদেশীয় সিরিজের ফাইনালের মতো। কিংবা সবমিলিয়ে আগের আটটা নকআউট ম্যাচের মতো শেষ উল্লাস করা হবে না টাইগারদের।

উত্তর মিললো শেষ ওভারে। মিললো শেষ ওভারের শেষ বলে। মাহমুদুল্লাহর কাঁধে পড়লো বাংলাদেশের ভার। সেই ভার সামলে উঠতে পারলেন না তিনি। শেষ বলে জয়ের জন্য ১ রান তুলে নিলো ভারত। এশিয়া কাপ জিতলো ৩ উইকেটে। এবারের ফাইনালেও বাংলাদেশের সঙ্গী হলো হার আর আম্পায়ারের বিতর্কিত সিদ্ধান্তের ক্ষোভ।

বাংলাদেশ এর আগেও চলতি বছরে নিদাহাস ট্রফিতে শেষ বলে হেরে যায়। ২০১২ সালের এশিয়া কাপেও শেষ বলে হার নিয়ে মাঠ ছাড়তে হয়েছিল মাহমুদুল্লাহদের। এবারও তাই। চলতি বছরে বাংলাদেশ মেয়েরা এশিয়া কাপের শিরোপা জিতেছে। সালমা-রুমানারা জয় পেয়েছিল ভারতের বিপক্ষে। সেটাও শেষ ওভারে। মাশরাফিরা সেটার পুনরাবৃত্তি করতে পারলেন না।

শুরুতে টস হেরে ব্যাট করে ২২২ রান তোলে বাংলাদেশ। দলের হয়ে ১২১ রানের দারুণ এক ইনিংস খেলেন লিটন দাস। এছাড়া ওপেনে খেলা মেহেদি মিরাজ ৩২ এবং শেষ দিকে খেলা সৌম্য করেন ৩৩ রান। উদ্বোধনী জুটিতে ১২০ রান পায় বাংলাদেশ। কিন্তু লিটনের সঙ্গে টপ অর্ডার বা মিডল অর্ডারের আর কেউ দাঁড়াতে না পারায় বড় সংগ্রহ হয়নি বাংলাদেশের। শেষ পর্যন্ত ৯ বল বাকি থাকতে ২২২ রানে অলআউট হয়ে যায় মাশরাফি বাহিনী।

জবাবে ঝড়ো শুরু করে ভারত। দুই ওপেনার শুরুর ৫ ওভারে তুলে ফেলে ৩৫ রান। এরপরই দুই উইকেট তুলে নেয় বাংলাদেশ। ভারত ৪৬ রানে ২ উইকেট হারানোর পর ৮৩ রানে ব্যক্তিগত ৪৮ রানে ফেরেন রোহিত শর্মা। এরপর ক্রিজে আসা ধোনী এবং দিনেশ কার্তিক সামলে নিচ্ছিলেন। দু’জনে করে ফেলেন ৫৪ রানের জুটি। সেই জুটি ভেঙে কার্তিককে ভারতের ১৩৭ রানে ফেরান মাহমুদুল্লাহ।

এরপর সেট হওয়া ধোনী নিজের ৩৬ রানে দলীয় ১৬০ রানে ফিরে যান। রিটায়ার্ড হার্ট উঠে যান কেদার যাদব। বাংলাদেশের সামনে ভালো এক সুযোগ চলে আসে। কারণ তখনো ৫৫ রান বাকি ভারতের। ব্যাটে থাকা জাদেজা কিংবা ভুবনেশ্বরের উইকেট নিতে পারলে ম্যাচ ঘুরে যায় বাংলাদেশের দিকে।

কিন্তু কাজটা বাংলাদেশ কিছুতেই যেন করে উঠতে পারছিল না। এরপর নিজের ২৩ রানে ফেরেন জাদেজা। কিন্তু তার আগে ভুবনেশ্বরের সঙ্গে করে ফেলেছেন ৪০ ছাড়ানো জুটি। তার আউটের পর আবার ক্রিজে ফিরে আসেন কেদাব যাদব। জয়ের জন্য ১৬ বলে ১১ রান আটকাতে হবে তখন বাংলাদেশের। এরপর ১১ বলে ৯ রান বাকি থাকতে ভুবনেশ্বরকে ফেরান মুস্তাফিজুর। শেষ পর্যন্ত ভারতের জয়ের রান নেমে আসে ৬ বলে ৬ রানে। বিশেষজ্ঞ কোন বোলার হাতে না থাকায় ম্যাচ একপ্রকার ওই ওভারেই হাত ফসকে বেরিয়ে যায় মাশরাফিদের।

Tag :
আপলোডকারীর তথ্য

শেষ বলেই শেষ আরেকটি শিরোপার স্বপ্ন

আপডেট টাইম : ০৩:১৩ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ২৯ সেপ্টেম্বর ২০১৮

বাঙালী কণ্ঠ নিউজঃ মনে তখন ভয়। আবারও কি একটা দুঃখ গাঁথা অপেক্ষা করছে বাংলাদেশের সামনে। ছোট ছোট ব্যর্থা আবারও মাশরাফিদের মনে ঠাঁই করে নেবে। আবারও একবুক ব্যথায় ভরে যাবে সমর্থকদের হৃদয়। আগের দুই এশিয়া কাপের স্মৃতি; নিদাহাস ট্রফি কিংবা ত্রিদেশীয় সিরিজের ফাইনালের মতো। কিংবা সবমিলিয়ে আগের আটটা নকআউট ম্যাচের মতো শেষ উল্লাস করা হবে না টাইগারদের।

উত্তর মিললো শেষ ওভারে। মিললো শেষ ওভারের শেষ বলে। মাহমুদুল্লাহর কাঁধে পড়লো বাংলাদেশের ভার। সেই ভার সামলে উঠতে পারলেন না তিনি। শেষ বলে জয়ের জন্য ১ রান তুলে নিলো ভারত। এশিয়া কাপ জিতলো ৩ উইকেটে। এবারের ফাইনালেও বাংলাদেশের সঙ্গী হলো হার আর আম্পায়ারের বিতর্কিত সিদ্ধান্তের ক্ষোভ।

বাংলাদেশ এর আগেও চলতি বছরে নিদাহাস ট্রফিতে শেষ বলে হেরে যায়। ২০১২ সালের এশিয়া কাপেও শেষ বলে হার নিয়ে মাঠ ছাড়তে হয়েছিল মাহমুদুল্লাহদের। এবারও তাই। চলতি বছরে বাংলাদেশ মেয়েরা এশিয়া কাপের শিরোপা জিতেছে। সালমা-রুমানারা জয় পেয়েছিল ভারতের বিপক্ষে। সেটাও শেষ ওভারে। মাশরাফিরা সেটার পুনরাবৃত্তি করতে পারলেন না।

শুরুতে টস হেরে ব্যাট করে ২২২ রান তোলে বাংলাদেশ। দলের হয়ে ১২১ রানের দারুণ এক ইনিংস খেলেন লিটন দাস। এছাড়া ওপেনে খেলা মেহেদি মিরাজ ৩২ এবং শেষ দিকে খেলা সৌম্য করেন ৩৩ রান। উদ্বোধনী জুটিতে ১২০ রান পায় বাংলাদেশ। কিন্তু লিটনের সঙ্গে টপ অর্ডার বা মিডল অর্ডারের আর কেউ দাঁড়াতে না পারায় বড় সংগ্রহ হয়নি বাংলাদেশের। শেষ পর্যন্ত ৯ বল বাকি থাকতে ২২২ রানে অলআউট হয়ে যায় মাশরাফি বাহিনী।

জবাবে ঝড়ো শুরু করে ভারত। দুই ওপেনার শুরুর ৫ ওভারে তুলে ফেলে ৩৫ রান। এরপরই দুই উইকেট তুলে নেয় বাংলাদেশ। ভারত ৪৬ রানে ২ উইকেট হারানোর পর ৮৩ রানে ব্যক্তিগত ৪৮ রানে ফেরেন রোহিত শর্মা। এরপর ক্রিজে আসা ধোনী এবং দিনেশ কার্তিক সামলে নিচ্ছিলেন। দু’জনে করে ফেলেন ৫৪ রানের জুটি। সেই জুটি ভেঙে কার্তিককে ভারতের ১৩৭ রানে ফেরান মাহমুদুল্লাহ।

এরপর সেট হওয়া ধোনী নিজের ৩৬ রানে দলীয় ১৬০ রানে ফিরে যান। রিটায়ার্ড হার্ট উঠে যান কেদার যাদব। বাংলাদেশের সামনে ভালো এক সুযোগ চলে আসে। কারণ তখনো ৫৫ রান বাকি ভারতের। ব্যাটে থাকা জাদেজা কিংবা ভুবনেশ্বরের উইকেট নিতে পারলে ম্যাচ ঘুরে যায় বাংলাদেশের দিকে।

কিন্তু কাজটা বাংলাদেশ কিছুতেই যেন করে উঠতে পারছিল না। এরপর নিজের ২৩ রানে ফেরেন জাদেজা। কিন্তু তার আগে ভুবনেশ্বরের সঙ্গে করে ফেলেছেন ৪০ ছাড়ানো জুটি। তার আউটের পর আবার ক্রিজে ফিরে আসেন কেদাব যাদব। জয়ের জন্য ১৬ বলে ১১ রান আটকাতে হবে তখন বাংলাদেশের। এরপর ১১ বলে ৯ রান বাকি থাকতে ভুবনেশ্বরকে ফেরান মুস্তাফিজুর। শেষ পর্যন্ত ভারতের জয়ের রান নেমে আসে ৬ বলে ৬ রানে। বিশেষজ্ঞ কোন বোলার হাতে না থাকায় ম্যাচ একপ্রকার ওই ওভারেই হাত ফসকে বেরিয়ে যায় মাশরাফিদের।