ঢাকা , বৃহস্পতিবার, ০৯ জানুয়ারী ২০২৫, ২৬ পৌষ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

আওয়ামী লীগ মানবাধিকার লঙ্ঘন করে না, সুরক্ষা দেয়: প্রধানমন্ত্রী

প্রধানমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনা বলেছেন, আওয়ামী লীগ কখনও মানবাধিকার লঙ্ঘন করে না, সুরক্ষা দেয়। মানবাধিকার নিশ্চিত করে।

এ সময় খুনিদের আশ্রয় দেওয়ায় আমেরিকা ও কানাডার সমালোচনা করে তিনি বলেন, জাতির পিতার সাজাপ্রাপ্ত খুনিদের ফেরতে দিতে বলি, তারা দেয় না। মানবাধিকার লঙ্ঘনকারীর মানবাধিকার রক্ষা করছে তারা।

বুধবার (১৪ ডিসেম্বর) বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে শহিদ বুদ্ধিজীবী দিবস উপলক্ষে আওয়ামী লীগ আয়োজিত আলোচনা সভায় সভাপতির বক্তব্যে এ কথা বলেন তিনি।

বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা জিয়াউর রহমান গুম-খুনের সংস্কৃতি শুরু করেছিল উল্লেখ করে শেখ হাসিনা বলেন, এদেশে গুম-খুনের কালচার তো শুরু করেছে জিয়াউর রহমান। আমাদের শত শত নেতাকর্মীকে গুম করেছে। ফাঁসি দেওয়ার সংস্কৃতিও তার। এক দিনে দশ জনকে ফাঁসি দিয়েছে।

তিনি বলেন, এক বিমান বাহিনীর ৫৬২ জন, সেনা ২ হাজার অফিসার ও সৈনিক। সে পরিবারগুলো আজও তাদের আপনজনের জন্য কেঁদে ফেরে। মরদেহের খবরটাও তো পায়নি। এরপর কোন মুখে বিএনপি গুম-খুন নিয়ে কথা বলে?

বিএনপি ক্ষমতায় থাকাকালে খুনিদের বিভিন্নভাবে পুরস্কৃত করেছে উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, তারা জাতির পিতার খুনিদের দূতাবাসে চাকরি দিয়েছি। তখন মানবাধিকার লঙ্ঘন হয়নি?

এ সময় বুদ্ধিজীবী দিবসে বিএনপি কোনও কর্মসূচি না থাকার সমালোচনা করে শেখ হাসিনা বলেন, এতে কী বুঝা যায়! জিয়া-এরশাদ-খালেদা স্বাধীনতাবিরোধীদের বিভিন্ন পদ দিয়েছে।

আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের, সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য শেখ ফজলুল করিম সেলিম, ড. আব্দুর রাজ্জাক, আব্দুর রহমান, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহবুব উল আলম হানিফ, আ ফ ম বাহাউদ্দিন নাছিম প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।

Tag :
আপলোডকারীর তথ্য

Bangal Kantha

আওয়ামী লীগ মানবাধিকার লঙ্ঘন করে না, সুরক্ষা দেয়: প্রধানমন্ত্রী

আপডেট টাইম : ০৬:১৭ অপরাহ্ন, বুধবার, ১৪ ডিসেম্বর ২০২২

প্রধানমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনা বলেছেন, আওয়ামী লীগ কখনও মানবাধিকার লঙ্ঘন করে না, সুরক্ষা দেয়। মানবাধিকার নিশ্চিত করে।

এ সময় খুনিদের আশ্রয় দেওয়ায় আমেরিকা ও কানাডার সমালোচনা করে তিনি বলেন, জাতির পিতার সাজাপ্রাপ্ত খুনিদের ফেরতে দিতে বলি, তারা দেয় না। মানবাধিকার লঙ্ঘনকারীর মানবাধিকার রক্ষা করছে তারা।

বুধবার (১৪ ডিসেম্বর) বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে শহিদ বুদ্ধিজীবী দিবস উপলক্ষে আওয়ামী লীগ আয়োজিত আলোচনা সভায় সভাপতির বক্তব্যে এ কথা বলেন তিনি।

বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা জিয়াউর রহমান গুম-খুনের সংস্কৃতি শুরু করেছিল উল্লেখ করে শেখ হাসিনা বলেন, এদেশে গুম-খুনের কালচার তো শুরু করেছে জিয়াউর রহমান। আমাদের শত শত নেতাকর্মীকে গুম করেছে। ফাঁসি দেওয়ার সংস্কৃতিও তার। এক দিনে দশ জনকে ফাঁসি দিয়েছে।

তিনি বলেন, এক বিমান বাহিনীর ৫৬২ জন, সেনা ২ হাজার অফিসার ও সৈনিক। সে পরিবারগুলো আজও তাদের আপনজনের জন্য কেঁদে ফেরে। মরদেহের খবরটাও তো পায়নি। এরপর কোন মুখে বিএনপি গুম-খুন নিয়ে কথা বলে?

বিএনপি ক্ষমতায় থাকাকালে খুনিদের বিভিন্নভাবে পুরস্কৃত করেছে উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, তারা জাতির পিতার খুনিদের দূতাবাসে চাকরি দিয়েছি। তখন মানবাধিকার লঙ্ঘন হয়নি?

এ সময় বুদ্ধিজীবী দিবসে বিএনপি কোনও কর্মসূচি না থাকার সমালোচনা করে শেখ হাসিনা বলেন, এতে কী বুঝা যায়! জিয়া-এরশাদ-খালেদা স্বাধীনতাবিরোধীদের বিভিন্ন পদ দিয়েছে।

আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের, সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য শেখ ফজলুল করিম সেলিম, ড. আব্দুর রাজ্জাক, আব্দুর রহমান, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহবুব উল আলম হানিফ, আ ফ ম বাহাউদ্দিন নাছিম প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।