ঢাকা , বৃহস্পতিবার, ১২ ডিসেম্বর ২০২৪, ২৭ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

দেশে পত্রিকার সংখ্যা ২৮৫৫টি

বর্তমানে দেশে দৈনিক, সাপ্তাহিক, পাক্ষিক, মাসিক, ত্রৈ-মাসিক ও যান্মাসিক পত্রিকার সংখ্যা দুই হাজার ৮৫৫টি। গত সাত বছরে এক হাজার ৬৪৭টি পত্রিকার রেজিস্ট্রেশন দেয়া হয়েছে।

আজ বুধবার জাতীয় সংসদ অধিবেশনে নির্ধারিত প্রশ্নোত্তর পর্বে সরকারি দলের সদস্য সেলিনা বেগমের এক প্রশ্নের জবাবে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এ কথা জানিয়েছেন।

প্রশ্নোত্তরে প্রধানমন্ত্রী বলেন, বর্তমান সরকার প্রিন্ট ও ইলেকট্রনিক গণমাধ্যমের স্বাধীনতা, বিকাশ ও উন্নয়নের জন্য বিভিন্ন পদক্ষেপ গ্রহণ করেছে। সাংবিধানিকভাবেই গণমাধ্যমের স্বাধীনতা নিশ্চিত করা হয়েছে। বাংলাদেশের সংবিধানের ৩৯ (২) (খ) অনুচ্ছেদে সংবাদক্ষেত্রের স্বাধীনতার নিশ্চয়তা প্রদান করা হয়েছে।

তিনি বলেন, সরকার গণমাধ্যমের স্বাধীনতায় সম্পূর্ণভাবে বিশ্বাস করে। অবাধ তথ্য প্রবাহ নিশ্চিত করার লক্ষ্যে বর্তমান সরকার ‘তথ্য অধিকার আইন, ২০০৯’ প্রণয়ন করেছে।

শেখ হাসিনা বলেন, বর্তমান সরকার নির্বাচনী অঙ্গীকার অনুযায়ী তথ্যের অবাধ প্রবাহ নিশ্চিত করার লক্ষ্যে ৩১টি বেসরকারি স্যাটেলাইট টেলিভিশন চ্যানেলসহ ২৪টি এফ.এম বেতার ও ৩২টি কমিউনিটি রেডিও’র লাইসেন্স প্রদান করেছে। সরকারি খাতে তিনটি টেলিভিশন চ্যানেল এবং বেসরকারিখাতে ২৪টি স্যাটেলাইট টেলিভিশন চ্যানেল সম্প্রচার কার্যক্রম পরিচালনার পাশাপাশি ১৬টি এফ.এম বেতার এবং ১৬টি কমিউনিটি রেডিও সম্প্রচার কার্যক্রম পরিচালনা করছে।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, বর্তমানে প্রিন্ট ও ইলেকট্রনিক গণমাধ্যম সংবাদ ও মত প্রকাশের ক্ষেত্রে সম্পূর্ণ স্বাধীনতা ভোগ করছে এবং একটি মুখর খাত হিসেবে পরিচালিত হচ্ছে।

শেখ হাসিনা বলেন, সরকার গণমাধ্যমের স্বাধীনতা ও অবাধ তথ্য প্রবাহে বিশ্বাসী। দেশের সরকারি ও বেসরকারি স্যাটেলাইট টেলিভিশন চ্যানেলসমূহ নিরপেক্ষ ও স্বাধীনভাবে সংবাদ প্রচার করছে। সরকার এক্ষেত্রে কোনো ধরনের বিধি নিষেধ আরোপ করা হয়নি। বেসরকারি ব্যবস্থাপনায় পরিচালিত ইলেকট্রনিক গণমাধ্যমসমূহ অনাপত্তির শর্ত ও দেশের প্রচলিত বিধি-বিধানের সীমারেখার মধ্যে থেকে সংবাদ প্রচারের ক্ষেত্রে সম্পূর্ণ স্বাধীন। তবে সংবাদ পরিবেশনের ক্ষেত্রে সকল প্রিন্ট ও ইলেকট্রনিক গণমাধ্যমের দায়বদ্ধতা রয়েছে।

তিনি বলেন, বাংলাদেশ বেতারের প্রচার কার্যক্রম উন্নয়নের লক্ষ্যে ১৭৫ কোটি টাকা ব্যয়ে চারটি প্রকল্প বাস্তবায়িত হয়েছে।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, ১৬০ কোটি ৫৬ লাখ টাকা ব্যয়ে বাংলাদেশ টেলিভিশন উন্নয়ন চ্যানেল প্রবর্তনসহ চারটি উন্নয়ন প্রকল্পের কার্যক্রম বাস্তবায়িত হচ্ছে।

শেখ হাসিনা বলেন, তথ্য মন্ত্রণালয় প্রিন্ট ও ইলেকট্রনিক গণমাধ্যমে কর্মরত সাংবাদিকদের পেশাগত দক্ষতা বৃদ্ধি এবং উৎকর্ষের জন্য বিভিন্ন কার্যক্রম গ্রহণ করেছে।

তিনি বলেন, স্বাধীন, বহুমুখী, দায়বদ্ধ ও দায়িত্বশীল সম্প্রচার ব্যবস্থা গড়ে তোলার জন্য এবং এ কার্যক্রমকে আইনী কাঠামোয় আনয়নের লক্ষ্যে ‘জাতীয় সম্প্রচার নীতিমালা-২০১৪’ জারি করা হয়েছে। সরকার সংবাদপত্রকে ‘সেবা শিল্প’ খাত হিসেবে ঘোষণা করেছে। এর ফলে অপরাপর শিল্পের ন্যায় মুলধনী যন্ত্রপাতিসহ অন্যান্য উপকরণ আমদানির ক্ষেত্রে শুল্ক রেয়াতসহ অন্যান্য আর্থিক সুবিধা লাভ করবে।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, সংবাদপত্রের জন্য বিদেশ হতে শতকরা ৫ ভাগ শুল্কে নিউজপ্রিন্ট আমদানির সুযোগ প্রদান করায় এ পদক্ষেপ প্রিন্ট গণমাধ্যমের বিকাশের ক্ষেত্রে সহায়ক ভূমিকা পালন করছে।

শেখ হাসিনা বলেন, বেসরকারি স্যাটেলাইট টেলিভিশন চ্যানেল সম্প্রচারের ক্ষেত্রে অধিকতর শৃঙ্খলা ও দায়বদ্ধতা প্রতিষ্ঠার জন্য ‘জাতীয় সম্প্রচার নীতিমালা, ২০১৪’ প্রণয়ন করা হয়েছে। সরকার সাংবাদিক-কর্মকর্তা-কর্মচারীদের কল্যাণে ‘৮ম সংবাদপত্র মজুরি বোর্ড রোয়েদাদ-২০১৩ ঘোষণাসহ ঘোষিত মজুরি বোর্ড রোয়েদাদ বাস্তবায়নের অংশ হিসেবে পত্রিকার সরকারি বিজ্ঞাপন হার দ্বিগুণ বৃদ্ধি করেছে।

তিনি বলেন, সাংবাদিকদের পেশাগত দায়িত্ব পালনের সুবিধার্থে তথ্য অধিদপ্তর জানুয়ারি-২০০৯ হতে এপ্রিল-২০১৬ পর্যন্ত প্রিন্ট ও ইলেকট্রনিক গণমাধ্যমে কর্মরত তিন হাজার ৪৫ জন সাংবাদিকদের অনুকূলে এক্রিডিটেশন কার্ড ইস্যুসহ ৭ হাজার ৫২১টি এক্রিডিটেশন কার্ড নবায়ন করা হয়েছে।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, সংবাদকর্মীদের পেশাগত দায়িত্ব পালনের সুবিধার্থে তথ্য অধিদপ্তরের তত্ত্বাবধানে বাংলাদেশ সচিবালয়ে সাংবাদিকদের জন্য মিডিয়া কক্ষ স্থাপন করা হয়েছে। সাংবাদিকদের সংবাদ প্রেরণের সুবিধার্থে সেখানে কম্পিউটার, টিভিসহ অন্যান্য সরঞ্জাম প্রদান করা হয়েছে। সেখানে মন্ত্রীরা সাংবাদিকদের সাথে প্রয়োজনে মতবিনিময় সভায় মিলিত হতে পারেন।

শেখ হাসিনা বলেন, সরকার ‘কোড অব ক্রিমিনাল প্রসিডিউর, ১৯৯৮ (অ্যাক্ট নং, ভি অব ১৮৯৮)-এর সিডিউল ওও এর কলাম ও এর সেকশন ৫০০-এর বিপরীত অর্থাৎ মানহানি মামলার ক্ষেত্রে ‘গ্রেফতারি পরোয়ানা’র পরিবর্তে ‘সমন’ জারি বিধান করে আইন সংশোধন করেছে।

তিনি বলেন, বাংলাদেশ প্রেস ইনস্টিটিউট সাংবাদিকতা তথা গণমাধ্যমের ব্যবহারের জন্য হ্যান্ডবুক/প্রকাশনা বই আকারে প্রকাশ করেছে।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, প্রিন্ট ও ইলেকট্রনিক গণমাধ্যমে কর্মরত সাংবাদিকদের জন্য উচ্চতর প্রাতিষ্ঠানিক ডিগ্রি অর্জনের সুযোগ করে দেয়ার জন্য বাংলাদেশ প্রেস ইনস্টিটিউট ২ বছর মেয়াদী ‘সাংবাদিকতায় মাস্টার্স ডিগ্রি’ কোর্স চালুর বিষয়টি বর্তমানে প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।

শেখ হাসিনা বলেন, ‘জাতীয় সম্প্রচার নীতিমালা, ২০১৪’ যথাযথ প্রয়োগ ও বাস্তবায়নের জন্য ‘সম্প্রচার আইন, ২০১৫’ প্রণয়নের উদ্যোগ গ্রহণ করা হয়েছে। ‘সম্প্রচার আইন, ২০১৫’ এর খসড়া প্রণয়ন কার্যক্রম বর্তমানে চূড়ান্ত পর্যায়ে রয়েছে। ওই আইনের আওতায় একটি ‘সম্প্রচার কমিশন’ গঠন করা হবে।

Tag :
আপলোডকারীর তথ্য

Bangal Kantha

জনপ্রিয় সংবাদ

দেশে পত্রিকার সংখ্যা ২৮৫৫টি

আপডেট টাইম : ০৭:০৫ অপরাহ্ন, বুধবার, ৮ জুন ২০১৬

বর্তমানে দেশে দৈনিক, সাপ্তাহিক, পাক্ষিক, মাসিক, ত্রৈ-মাসিক ও যান্মাসিক পত্রিকার সংখ্যা দুই হাজার ৮৫৫টি। গত সাত বছরে এক হাজার ৬৪৭টি পত্রিকার রেজিস্ট্রেশন দেয়া হয়েছে।

আজ বুধবার জাতীয় সংসদ অধিবেশনে নির্ধারিত প্রশ্নোত্তর পর্বে সরকারি দলের সদস্য সেলিনা বেগমের এক প্রশ্নের জবাবে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এ কথা জানিয়েছেন।

প্রশ্নোত্তরে প্রধানমন্ত্রী বলেন, বর্তমান সরকার প্রিন্ট ও ইলেকট্রনিক গণমাধ্যমের স্বাধীনতা, বিকাশ ও উন্নয়নের জন্য বিভিন্ন পদক্ষেপ গ্রহণ করেছে। সাংবিধানিকভাবেই গণমাধ্যমের স্বাধীনতা নিশ্চিত করা হয়েছে। বাংলাদেশের সংবিধানের ৩৯ (২) (খ) অনুচ্ছেদে সংবাদক্ষেত্রের স্বাধীনতার নিশ্চয়তা প্রদান করা হয়েছে।

তিনি বলেন, সরকার গণমাধ্যমের স্বাধীনতায় সম্পূর্ণভাবে বিশ্বাস করে। অবাধ তথ্য প্রবাহ নিশ্চিত করার লক্ষ্যে বর্তমান সরকার ‘তথ্য অধিকার আইন, ২০০৯’ প্রণয়ন করেছে।

শেখ হাসিনা বলেন, বর্তমান সরকার নির্বাচনী অঙ্গীকার অনুযায়ী তথ্যের অবাধ প্রবাহ নিশ্চিত করার লক্ষ্যে ৩১টি বেসরকারি স্যাটেলাইট টেলিভিশন চ্যানেলসহ ২৪টি এফ.এম বেতার ও ৩২টি কমিউনিটি রেডিও’র লাইসেন্স প্রদান করেছে। সরকারি খাতে তিনটি টেলিভিশন চ্যানেল এবং বেসরকারিখাতে ২৪টি স্যাটেলাইট টেলিভিশন চ্যানেল সম্প্রচার কার্যক্রম পরিচালনার পাশাপাশি ১৬টি এফ.এম বেতার এবং ১৬টি কমিউনিটি রেডিও সম্প্রচার কার্যক্রম পরিচালনা করছে।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, বর্তমানে প্রিন্ট ও ইলেকট্রনিক গণমাধ্যম সংবাদ ও মত প্রকাশের ক্ষেত্রে সম্পূর্ণ স্বাধীনতা ভোগ করছে এবং একটি মুখর খাত হিসেবে পরিচালিত হচ্ছে।

শেখ হাসিনা বলেন, সরকার গণমাধ্যমের স্বাধীনতা ও অবাধ তথ্য প্রবাহে বিশ্বাসী। দেশের সরকারি ও বেসরকারি স্যাটেলাইট টেলিভিশন চ্যানেলসমূহ নিরপেক্ষ ও স্বাধীনভাবে সংবাদ প্রচার করছে। সরকার এক্ষেত্রে কোনো ধরনের বিধি নিষেধ আরোপ করা হয়নি। বেসরকারি ব্যবস্থাপনায় পরিচালিত ইলেকট্রনিক গণমাধ্যমসমূহ অনাপত্তির শর্ত ও দেশের প্রচলিত বিধি-বিধানের সীমারেখার মধ্যে থেকে সংবাদ প্রচারের ক্ষেত্রে সম্পূর্ণ স্বাধীন। তবে সংবাদ পরিবেশনের ক্ষেত্রে সকল প্রিন্ট ও ইলেকট্রনিক গণমাধ্যমের দায়বদ্ধতা রয়েছে।

তিনি বলেন, বাংলাদেশ বেতারের প্রচার কার্যক্রম উন্নয়নের লক্ষ্যে ১৭৫ কোটি টাকা ব্যয়ে চারটি প্রকল্প বাস্তবায়িত হয়েছে।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, ১৬০ কোটি ৫৬ লাখ টাকা ব্যয়ে বাংলাদেশ টেলিভিশন উন্নয়ন চ্যানেল প্রবর্তনসহ চারটি উন্নয়ন প্রকল্পের কার্যক্রম বাস্তবায়িত হচ্ছে।

শেখ হাসিনা বলেন, তথ্য মন্ত্রণালয় প্রিন্ট ও ইলেকট্রনিক গণমাধ্যমে কর্মরত সাংবাদিকদের পেশাগত দক্ষতা বৃদ্ধি এবং উৎকর্ষের জন্য বিভিন্ন কার্যক্রম গ্রহণ করেছে।

তিনি বলেন, স্বাধীন, বহুমুখী, দায়বদ্ধ ও দায়িত্বশীল সম্প্রচার ব্যবস্থা গড়ে তোলার জন্য এবং এ কার্যক্রমকে আইনী কাঠামোয় আনয়নের লক্ষ্যে ‘জাতীয় সম্প্রচার নীতিমালা-২০১৪’ জারি করা হয়েছে। সরকার সংবাদপত্রকে ‘সেবা শিল্প’ খাত হিসেবে ঘোষণা করেছে। এর ফলে অপরাপর শিল্পের ন্যায় মুলধনী যন্ত্রপাতিসহ অন্যান্য উপকরণ আমদানির ক্ষেত্রে শুল্ক রেয়াতসহ অন্যান্য আর্থিক সুবিধা লাভ করবে।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, সংবাদপত্রের জন্য বিদেশ হতে শতকরা ৫ ভাগ শুল্কে নিউজপ্রিন্ট আমদানির সুযোগ প্রদান করায় এ পদক্ষেপ প্রিন্ট গণমাধ্যমের বিকাশের ক্ষেত্রে সহায়ক ভূমিকা পালন করছে।

শেখ হাসিনা বলেন, বেসরকারি স্যাটেলাইট টেলিভিশন চ্যানেল সম্প্রচারের ক্ষেত্রে অধিকতর শৃঙ্খলা ও দায়বদ্ধতা প্রতিষ্ঠার জন্য ‘জাতীয় সম্প্রচার নীতিমালা, ২০১৪’ প্রণয়ন করা হয়েছে। সরকার সাংবাদিক-কর্মকর্তা-কর্মচারীদের কল্যাণে ‘৮ম সংবাদপত্র মজুরি বোর্ড রোয়েদাদ-২০১৩ ঘোষণাসহ ঘোষিত মজুরি বোর্ড রোয়েদাদ বাস্তবায়নের অংশ হিসেবে পত্রিকার সরকারি বিজ্ঞাপন হার দ্বিগুণ বৃদ্ধি করেছে।

তিনি বলেন, সাংবাদিকদের পেশাগত দায়িত্ব পালনের সুবিধার্থে তথ্য অধিদপ্তর জানুয়ারি-২০০৯ হতে এপ্রিল-২০১৬ পর্যন্ত প্রিন্ট ও ইলেকট্রনিক গণমাধ্যমে কর্মরত তিন হাজার ৪৫ জন সাংবাদিকদের অনুকূলে এক্রিডিটেশন কার্ড ইস্যুসহ ৭ হাজার ৫২১টি এক্রিডিটেশন কার্ড নবায়ন করা হয়েছে।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, সংবাদকর্মীদের পেশাগত দায়িত্ব পালনের সুবিধার্থে তথ্য অধিদপ্তরের তত্ত্বাবধানে বাংলাদেশ সচিবালয়ে সাংবাদিকদের জন্য মিডিয়া কক্ষ স্থাপন করা হয়েছে। সাংবাদিকদের সংবাদ প্রেরণের সুবিধার্থে সেখানে কম্পিউটার, টিভিসহ অন্যান্য সরঞ্জাম প্রদান করা হয়েছে। সেখানে মন্ত্রীরা সাংবাদিকদের সাথে প্রয়োজনে মতবিনিময় সভায় মিলিত হতে পারেন।

শেখ হাসিনা বলেন, সরকার ‘কোড অব ক্রিমিনাল প্রসিডিউর, ১৯৯৮ (অ্যাক্ট নং, ভি অব ১৮৯৮)-এর সিডিউল ওও এর কলাম ও এর সেকশন ৫০০-এর বিপরীত অর্থাৎ মানহানি মামলার ক্ষেত্রে ‘গ্রেফতারি পরোয়ানা’র পরিবর্তে ‘সমন’ জারি বিধান করে আইন সংশোধন করেছে।

তিনি বলেন, বাংলাদেশ প্রেস ইনস্টিটিউট সাংবাদিকতা তথা গণমাধ্যমের ব্যবহারের জন্য হ্যান্ডবুক/প্রকাশনা বই আকারে প্রকাশ করেছে।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, প্রিন্ট ও ইলেকট্রনিক গণমাধ্যমে কর্মরত সাংবাদিকদের জন্য উচ্চতর প্রাতিষ্ঠানিক ডিগ্রি অর্জনের সুযোগ করে দেয়ার জন্য বাংলাদেশ প্রেস ইনস্টিটিউট ২ বছর মেয়াদী ‘সাংবাদিকতায় মাস্টার্স ডিগ্রি’ কোর্স চালুর বিষয়টি বর্তমানে প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।

শেখ হাসিনা বলেন, ‘জাতীয় সম্প্রচার নীতিমালা, ২০১৪’ যথাযথ প্রয়োগ ও বাস্তবায়নের জন্য ‘সম্প্রচার আইন, ২০১৫’ প্রণয়নের উদ্যোগ গ্রহণ করা হয়েছে। ‘সম্প্রচার আইন, ২০১৫’ এর খসড়া প্রণয়ন কার্যক্রম বর্তমানে চূড়ান্ত পর্যায়ে রয়েছে। ওই আইনের আওতায় একটি ‘সম্প্রচার কমিশন’ গঠন করা হবে।