ঢাকা , শনিবার, ২৮ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ১৩ আশ্বিন ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম :
যত দ্রুত নির্বাচন, ততই দেশের মঙ্গল: মির্জা ফখরুল ২৯ সেপ্টেম্বর থেকে দেখা যাবে দ্বিতীয় চাঁদ এক পদে দুইবারের বেশি কেউ নয়: আসিফ কলকাতায় চড়া দামে বিক্রি হচ্ছে বাংলাদেশি ইলিশ ভারী বৃষ্টির কারণে উত্তরাঞ্চলে বন্যার আশঙ্কা, দ্রুত বাড়ছে নদ-নদীর পানি সাম্প্রদায়িক-জাতিগত সংঘাতের সুযোগ বাংলাদেশে নেই: খেলাফত মজলিস হিজবুল্লাহ প্রধানকে লক্ষ্য করে বিমান হামলা বাংলাদেশের প্রতি সমর্থন ও সহযোগিতা বাড়াতে বিশ্ব সম্প্রদায়ের প্রতি ড. ইউনূসের আহ্বান যে সরকার কোরআনকে জঙ্গি কিতাব বলে, সে সরকার মুসলমানদের নয়: মুজিবুর জাতিসংঘে বাংলায় ভাষণ ড. ইউনূস ‘তরুণরা যে প্রজ্ঞা, সাহস ও প্রত্যয় দেখিয়েছে তা আমাদের অভিভূত করেছে’

বিশ্বের বৃহত্তম সুইমিং পুল সম্পর্কে কিছু অজানা তথ্য

বাঙালী কণ্ঠ নিউজঃ চিলির সান আলফোনসো দেল মার রিসর্টে রয়েছে বিশ্বের বৃহত্তম সুইমিং পুলটি। প্রায় ২০ একর এলাকাজুড়ে একটি জলাশয় এটি। দৈর্ঘ্য প্রায় ৩,৩২৪ ফুট। জেনে নিন এই বৃহত্তম সুইমিং পুলটি সম্পর্কে কিছু অজানা তথ্য।

১. ২০০৬ সালের ডিসেম্বরে গিনেস বুক অফ ওয়ার্ল্ড রেকর্ডসের পক্ষ থেকে চিলির এই পুলটিকে বৃহত্তম বলে ঘোষণা করা হয়েছে।

২. এই পুলটিতে প্রায় ২৫ কোটি লিটার পানি সংরক্ষণ করা যায়। পর্যটকরদের জন্য আল গাররোবো শহরের এই পুলে নৌকাবিহারের ব্যবস্থাও রয়েছে।

৩. ৬০০০টা ৮মিটার লম্বা পুলের চেয়েও বড় এই সুইমিং পুল।

৪. চিলির রাজধানী সান্তিয়াগো থেকে প্রায় ৯০ কিমি দূরে সাল আলফোনসো দেল মার। সমুদ্রতটের পাশে অবস্থিত এই রিসর্টের সুইমিং পুল সবচেয়ে বড় আকর্ষণ। কিন্তু সমুদ্রের পাশে আবার সুইমিং পুল তৈরির প্রয়োজন হল কেন?

১৯৯৭ সালে ফের্নান্দো ফিসম্যান নামে এক রিয়্যাল এস্টেট ব্যবসায়ী-গবেষক এই পুলের কথা ভাবেন। কারণ চিলির সেন্ট্রাল কোস্টের (মধ্য উপকূল) সমুদ্র পর্যটকদের জন্য বেশ বিপজ্জনক। আর পানিও মারাত্মক ঠান্ডা। সেই থেকেই সমুদ্রের পাশে পুল তৈরির ভাবনা।

৫. সমুদ্রের পাশেই তাই একটি লেগুন বা উপহ্রদ তৈরি করা হয়। এখানে ওয়াটার স্পোর্টসেরও ব্যবস্থা রয়েছে। পরিষ্কার ও স্বচ্ছ নীল জলের কারণে খুব তাড়াতাড়িই এটি জনপ্রিয় হয়ে ওঠে।

৬. ১১৫ ফুট গভীর এই সুইমিং পুলটি ক্রিস্টাল লেগুনস টেকনোলজি নামের একটি সংস্থা তৈরি করেছে। সমুদ্রের পানি পরিশুদ্ধ করেই সংরক্ষণ করা হয়েছে এই পুলে। সমুদ্রের পানির তুলনায় কমপক্ষে নয় ডিগ্রি বেশি তাপমাত্রা (২৬ ডিগ্রি) যাতে থাকে, তা বিশেষ অপরেটিং সিস্টেমের মাধ্যমে লক্ষ্য রাখা হয়।

৭. পাঁচ বছর ধরে এই সুইমিং পুলটি তৈরি করতে ব্যয় হয়েছে প্রায় ৬,৯৮৪ কোটি টাকা।

৮. প্রতি মাসে এই পুলটি রক্ষণাবেক্ষণের খরচ প্রায় ২৩ লক্ষ টাকা।

৯. বৃহত্তম এই পুলটিতে অন্যান্য পুলের তুলনায় অনেক কম রাসায়নিক ব্যবহার করা হয়। এতে পালস পাওয়ার ওয়াটার ট্রিটমেন্ট ব্যবহার করা হয়েছে। এর ফলে তড়িৎচৌম্বকীয় ক্ষেত্র তৈরি করা হয়। পানির তাপমাত্রা ও ব্যাকটিরিয়া-ছত্রাকের বৃদ্ধিও নিয়ন্ত্রণে থাকে।

Tag :
আপলোডকারীর তথ্য

যত দ্রুত নির্বাচন, ততই দেশের মঙ্গল: মির্জা ফখরুল

বিশ্বের বৃহত্তম সুইমিং পুল সম্পর্কে কিছু অজানা তথ্য

আপডেট টাইম : ০৬:৩২ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ১৭ সেপ্টেম্বর ২০১৮

বাঙালী কণ্ঠ নিউজঃ চিলির সান আলফোনসো দেল মার রিসর্টে রয়েছে বিশ্বের বৃহত্তম সুইমিং পুলটি। প্রায় ২০ একর এলাকাজুড়ে একটি জলাশয় এটি। দৈর্ঘ্য প্রায় ৩,৩২৪ ফুট। জেনে নিন এই বৃহত্তম সুইমিং পুলটি সম্পর্কে কিছু অজানা তথ্য।

১. ২০০৬ সালের ডিসেম্বরে গিনেস বুক অফ ওয়ার্ল্ড রেকর্ডসের পক্ষ থেকে চিলির এই পুলটিকে বৃহত্তম বলে ঘোষণা করা হয়েছে।

২. এই পুলটিতে প্রায় ২৫ কোটি লিটার পানি সংরক্ষণ করা যায়। পর্যটকরদের জন্য আল গাররোবো শহরের এই পুলে নৌকাবিহারের ব্যবস্থাও রয়েছে।

৩. ৬০০০টা ৮মিটার লম্বা পুলের চেয়েও বড় এই সুইমিং পুল।

৪. চিলির রাজধানী সান্তিয়াগো থেকে প্রায় ৯০ কিমি দূরে সাল আলফোনসো দেল মার। সমুদ্রতটের পাশে অবস্থিত এই রিসর্টের সুইমিং পুল সবচেয়ে বড় আকর্ষণ। কিন্তু সমুদ্রের পাশে আবার সুইমিং পুল তৈরির প্রয়োজন হল কেন?

১৯৯৭ সালে ফের্নান্দো ফিসম্যান নামে এক রিয়্যাল এস্টেট ব্যবসায়ী-গবেষক এই পুলের কথা ভাবেন। কারণ চিলির সেন্ট্রাল কোস্টের (মধ্য উপকূল) সমুদ্র পর্যটকদের জন্য বেশ বিপজ্জনক। আর পানিও মারাত্মক ঠান্ডা। সেই থেকেই সমুদ্রের পাশে পুল তৈরির ভাবনা।

৫. সমুদ্রের পাশেই তাই একটি লেগুন বা উপহ্রদ তৈরি করা হয়। এখানে ওয়াটার স্পোর্টসেরও ব্যবস্থা রয়েছে। পরিষ্কার ও স্বচ্ছ নীল জলের কারণে খুব তাড়াতাড়িই এটি জনপ্রিয় হয়ে ওঠে।

৬. ১১৫ ফুট গভীর এই সুইমিং পুলটি ক্রিস্টাল লেগুনস টেকনোলজি নামের একটি সংস্থা তৈরি করেছে। সমুদ্রের পানি পরিশুদ্ধ করেই সংরক্ষণ করা হয়েছে এই পুলে। সমুদ্রের পানির তুলনায় কমপক্ষে নয় ডিগ্রি বেশি তাপমাত্রা (২৬ ডিগ্রি) যাতে থাকে, তা বিশেষ অপরেটিং সিস্টেমের মাধ্যমে লক্ষ্য রাখা হয়।

৭. পাঁচ বছর ধরে এই সুইমিং পুলটি তৈরি করতে ব্যয় হয়েছে প্রায় ৬,৯৮৪ কোটি টাকা।

৮. প্রতি মাসে এই পুলটি রক্ষণাবেক্ষণের খরচ প্রায় ২৩ লক্ষ টাকা।

৯. বৃহত্তম এই পুলটিতে অন্যান্য পুলের তুলনায় অনেক কম রাসায়নিক ব্যবহার করা হয়। এতে পালস পাওয়ার ওয়াটার ট্রিটমেন্ট ব্যবহার করা হয়েছে। এর ফলে তড়িৎচৌম্বকীয় ক্ষেত্র তৈরি করা হয়। পানির তাপমাত্রা ও ব্যাকটিরিয়া-ছত্রাকের বৃদ্ধিও নিয়ন্ত্রণে থাকে।