ঢাকা , মঙ্গলবার, ০৭ জানুয়ারী ২০২৫, ২৪ পৌষ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম :

চরাঞ্চলের উন্নয়নে প্রাতিষ্ঠানিক কাঠামো দরকার

অর্থনীতিবিদ খোন্দকার ইব্রাহিম খালেদ বলেছেন, দেশের চরাঞ্চলে প্রায় এক কোটি মানুষের বাস। এই বাসিন্দাদের স্থায়িত্বশীল জীবিকা, মর্যাদাপূর্ণ জীবনমান ও চরাঞ্চলের উন্নয়ন নিশ্চিত করতে প্রাতিষ্ঠানিক কাঠামো গড়ে তুলতে হবে।

 

বৃহস্পতিবার দুপুরে ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটির সাগর-রুনি মিলনায়তনে ‘চরের টেকসই উন্নয়নে প্রাতিষ্ঠানিক কাঠামোর প্রয়োজনীয়তা’ শীর্ষক মতবিনিময় সভায় তিনি এসব কথা বলেন।

 

কনসার্ন ওয়ার্ল্ডওয়াইডের চর ইন্ট্রিগ্রেটেড কর্মসূচির আওতায় গবেষণা প্রতিষ্ঠান উন্নয়ন সমন্বয় এ সভার আয়োজন করে।

 

তিনি বলেন, চরাঞ্চলের বাসিন্দাদের দিকে অবশ্যই বাড়তি নজর দিতে হবে। একই সঙ্গে চরবাসীর উন্নয়নে একটি জাতীয় নীতিমালা প্রণয়ন করা দরকার। এছাড়া একটি চর ফাউন্ডেশনের আদলে কার্যকর প্রাতিষ্ঠানিক কাঠামো গড়ে তোলার আহ্বান জানান তিনি।

 

বক্তারা বলেন, দেশের দুর্গম চরাঞ্চলে বহুবিধ সমস্যা বিদ্যমান। খাদ্য, শিক্ষা ও স্বাস্থ্যসেবা থেকে চরবাসী বঞ্চিত। একটু দূরবর্তী অঞ্চল এবং যোগাযোগ ব্যবস্থা দুর্গম হওয়ায় চরাঞ্চলে বাল্যবিবাহ ও মাতৃমৃত্যুর হারও তুলনামূলক বেশি। এসব কিছুকে কমিয়ে আনতে হলে চরের উন্নয়নে একটি প্রাতিষ্ঠানিক কাঠামোর প্রয়োজন রয়েছে।

 

এ সময় ১৪ দফা দাবি উপাস্থাপন করা হয়। এগুলো হলো- চরাঞ্চলের শিশুদের মানসম্মত প্রাথমিক শিক্ষার জন্য বিশেষ মানের অবকাঠামোগত সুবিধা নিশ্চিত করা, স্বাস্থ্যসেবার জন্য বিশেষ বরাদ্দ দেওয়া, নিরাপদ পানি ও স্যানিটেশনের অধিকার প্রতিষ্ঠায় কার্যকর উদ্যোগ নেওয়া, জলবায়ু পরিবর্তনজনিত কারণে সৃষ্ট ঝুঁকি মোকাবিলা এবং এর প্রতিকার সম্পর্কে চরের মানুষকে সচেতন করা, চরাঞ্চলের জন্য বিশেষ ভূমিজরিপ সম্পন্ন করা, ভৌগোলিক ভিন্নতাকে বিবেচনায় নিয়ে সামাজিক নিরাপত্তা কর্মসূচির বরাদ্দ পুনর্বিন্যাস করা, চরে আবাদ উপযোগী উন্নত বীজ এবং এর উৎপাদন প্রক্রিয়া সম্পর্কে চরের মানুষকে অবহিত করা, কর্মক্ষম মানুষের দক্ষতা বিকাশ এবং আত্মকর্মসংস্থানের সুযোগ সৃষ্টির জন্য বিশেষ উদ্যোগ নেওয়া, কৃষিতে ভর্তুকি বাড়ানো।

 

সভায় অন্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন সংসদ সদস্য অ্যাডভোকেট নাভানা আক্তার, বিআইডিএস’র মহাপরিচালক, ড. কেএএস মুরশি, একাত্তর টিভির পরিচালক (বার্তা) সৈয়দ ইশতিয়াক রেজা, কৃষক নেতা জায়েদ ইকবাল খান, সুবল সরকার প্রমুখ।

 

মতবিনিময় সভাটি সঞ্চালনা এবং আলোচনা সভার ওপর সারসংক্ষেপ উপস্থাপন করেন উন্নয়ন সমন্বয়ের কো-অর্ডিনেটর (রিসার্চ ও অ্যাডভোকেসি) হেড অফ প্রোগ্রাম (চর-হাওর) জাহিদ রহমান, জাকির আহমেদ খান প্রমুখ।

 

 

Tag :
আপলোডকারীর তথ্য

Bangal Kantha

চ্যাম্পিয়নস ট্রফিতে একসাথে সাকিব-তামিম

চরাঞ্চলের উন্নয়নে প্রাতিষ্ঠানিক কাঠামো দরকার

আপডেট টাইম : ১০:৩৮ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ৩০ ডিসেম্বর ২০১৬

অর্থনীতিবিদ খোন্দকার ইব্রাহিম খালেদ বলেছেন, দেশের চরাঞ্চলে প্রায় এক কোটি মানুষের বাস। এই বাসিন্দাদের স্থায়িত্বশীল জীবিকা, মর্যাদাপূর্ণ জীবনমান ও চরাঞ্চলের উন্নয়ন নিশ্চিত করতে প্রাতিষ্ঠানিক কাঠামো গড়ে তুলতে হবে।

 

বৃহস্পতিবার দুপুরে ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটির সাগর-রুনি মিলনায়তনে ‘চরের টেকসই উন্নয়নে প্রাতিষ্ঠানিক কাঠামোর প্রয়োজনীয়তা’ শীর্ষক মতবিনিময় সভায় তিনি এসব কথা বলেন।

 

কনসার্ন ওয়ার্ল্ডওয়াইডের চর ইন্ট্রিগ্রেটেড কর্মসূচির আওতায় গবেষণা প্রতিষ্ঠান উন্নয়ন সমন্বয় এ সভার আয়োজন করে।

 

তিনি বলেন, চরাঞ্চলের বাসিন্দাদের দিকে অবশ্যই বাড়তি নজর দিতে হবে। একই সঙ্গে চরবাসীর উন্নয়নে একটি জাতীয় নীতিমালা প্রণয়ন করা দরকার। এছাড়া একটি চর ফাউন্ডেশনের আদলে কার্যকর প্রাতিষ্ঠানিক কাঠামো গড়ে তোলার আহ্বান জানান তিনি।

 

বক্তারা বলেন, দেশের দুর্গম চরাঞ্চলে বহুবিধ সমস্যা বিদ্যমান। খাদ্য, শিক্ষা ও স্বাস্থ্যসেবা থেকে চরবাসী বঞ্চিত। একটু দূরবর্তী অঞ্চল এবং যোগাযোগ ব্যবস্থা দুর্গম হওয়ায় চরাঞ্চলে বাল্যবিবাহ ও মাতৃমৃত্যুর হারও তুলনামূলক বেশি। এসব কিছুকে কমিয়ে আনতে হলে চরের উন্নয়নে একটি প্রাতিষ্ঠানিক কাঠামোর প্রয়োজন রয়েছে।

 

এ সময় ১৪ দফা দাবি উপাস্থাপন করা হয়। এগুলো হলো- চরাঞ্চলের শিশুদের মানসম্মত প্রাথমিক শিক্ষার জন্য বিশেষ মানের অবকাঠামোগত সুবিধা নিশ্চিত করা, স্বাস্থ্যসেবার জন্য বিশেষ বরাদ্দ দেওয়া, নিরাপদ পানি ও স্যানিটেশনের অধিকার প্রতিষ্ঠায় কার্যকর উদ্যোগ নেওয়া, জলবায়ু পরিবর্তনজনিত কারণে সৃষ্ট ঝুঁকি মোকাবিলা এবং এর প্রতিকার সম্পর্কে চরের মানুষকে সচেতন করা, চরাঞ্চলের জন্য বিশেষ ভূমিজরিপ সম্পন্ন করা, ভৌগোলিক ভিন্নতাকে বিবেচনায় নিয়ে সামাজিক নিরাপত্তা কর্মসূচির বরাদ্দ পুনর্বিন্যাস করা, চরে আবাদ উপযোগী উন্নত বীজ এবং এর উৎপাদন প্রক্রিয়া সম্পর্কে চরের মানুষকে অবহিত করা, কর্মক্ষম মানুষের দক্ষতা বিকাশ এবং আত্মকর্মসংস্থানের সুযোগ সৃষ্টির জন্য বিশেষ উদ্যোগ নেওয়া, কৃষিতে ভর্তুকি বাড়ানো।

 

সভায় অন্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন সংসদ সদস্য অ্যাডভোকেট নাভানা আক্তার, বিআইডিএস’র মহাপরিচালক, ড. কেএএস মুরশি, একাত্তর টিভির পরিচালক (বার্তা) সৈয়দ ইশতিয়াক রেজা, কৃষক নেতা জায়েদ ইকবাল খান, সুবল সরকার প্রমুখ।

 

মতবিনিময় সভাটি সঞ্চালনা এবং আলোচনা সভার ওপর সারসংক্ষেপ উপস্থাপন করেন উন্নয়ন সমন্বয়ের কো-অর্ডিনেটর (রিসার্চ ও অ্যাডভোকেসি) হেড অফ প্রোগ্রাম (চর-হাওর) জাহিদ রহমান, জাকির আহমেদ খান প্রমুখ।