ঢাকা , মঙ্গলবার, ১৯ নভেম্বর ২০২৪, ৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম :

হাওর বার্তা ডেস্কঃ ২০২০ সালের এইচএসসি ও সমমানের পরীক্ষার ফলাফল ঘোষণা করা হতে পারে আগামী রবিবার (৩১ জানুয়ারি)। পরীক্ষা ছাড়া ফল ঘোষণার আইনি বাধা কেটে যাওয়ায় এ মাসের মধ্যে ফল ঘোষণার কথা জানিয়েছেন শিক্ষামন্ত্রী দীপু মনি।

রেওয়াজ অনুযায়ী, প্রধানমন্ত্রীর কাছে শিক্ষামন্ত্রী ফলাফল হস্তান্তরের পর আনুষ্ঠানিকভাবে ফল প্রকাশ করা হয়।

শিক্ষা মন্ত্রণালয় থেকে আগামী শনিবার (৩০ জানুয়ারি) বা রবিবার (৩১ জানুয়ারি) এইচএসসি ও সমমানের পরীক্ষার ফল প্রকাশের জন্য প্রধানমন্ত্রীর কাছে প্রস্তাবনা পাঠানো হয়েছে। তবে ধারণা করা হচ্ছে রবিবার ফল প্রকাশ করা হবে।

করোনা ভাইরাসের মধ্যে পরীক্ষা নেওয়া সম্ভব না হওয়ায় এইচএসসির ফলাফল প্রস্তুত, প্রকাশ ও সনদ বিতরণের ক্ষমতা শিক্ষা বোর্ডগুলোকে দিয়ে গত মঙ্গলবার (২৬ জানুয়ারি) গেজেট প্রকাশ করেছে সরকার।

এর মাধ্যমে মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা বিভাগ এবং কারিগরি ও মাদ্রাসা শিক্ষা বিভাগ পরামর্শক কমিটির সুপারিশ মোতাবেক নয়টি সাধারণ বোর্ডের সঙ্গে মাদ্রাসা এবং কারিগরি শিক্ষা বোর্ডকে এ ক্ষমতা দেয় সরকার।

গেজেটে বলা হয়েছে, চলমান বৈশ্বিক মহামারি করোনা ভাইরাসজনিত কারণে ২০২০ সালে অনুষ্ঠিতব্য উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষা গ্রহণ করা সম্ভব না হওয়ায় এ সংক্রান্ত আইনগুলো সংশোধন করা হয়েছে।

সংশোধিত আইনের ক্ষমতাবলে এ সংক্রান্ত গঠিত পরামর্শক কমিটির সুপারিশের ভিত্তিতে বোর্ডগুলোকে এ ক্ষমতা দেওয়া হয়েছে।

আন্তঃশিক্ষা বোর্ড জানিয়েছে, ফলফল প্রস্তুত আছে। প্রধানমন্ত্রীর অনুমোদন পেলে ফলাফল প্রকাশের তারিখ চূড়ান্ত করা হবে।

পরীক্ষা ছাড়া উচ্চ মাধ্যমিকের ফল প্রকাশ করতে ‘ইন্টারমিডিয়েট অ্যান্ড সেকেন্ডারি এডুকেশন (অ্যামেন্ডমেন্ট) অ্যাক্ট-২০২১’ ‘বাংলাদেশ কারিগরি শিক্ষা বোর্ড (সংশোধন) অ্যাক্ট-২০২১’, ‘বাংলাদেশ মাদ্রাসা শিক্ষা বোর্ড (সংশোধন) অ্যাক্ট-২০২১’ গেজেট আকারে জারি করে সরকার।

আইনগুলো সংশোধন হওয়ায় এখন বিশেষ পরিস্থিতে অতিমারী, মহামারি, দৈব দুর্বিপাকের কারণে বা সরকার কর্তৃক সময় সময় নির্ধারিত কোনো অনিবার্য পরিস্থিতিতে কোনো পরীক্ষা গ্রহণ, ফল প্রকাশ এবং সনদ করা সম্ভব না হলে সরকার, সরকারি গেজেটে প্রজ্ঞাপিত আদেশ দ্বারা কোনো বিশেষ বছরে শিক্ষার্থীদের জন্য পরীক্ষা ছাড়াই বা সংক্ষিপ্ত সিলেবাসে পরীক্ষা গ্রহণ করে উক্ত প্রজ্ঞাপনে উল্লিখিত পদ্ধতিতে মূল্যায়ন এবং সনদ প্রদানের জন্য নির্দেশাবলি জারি করতে পারবে।

গত বছরে ১১টি শিক্ষা বোর্ডের ১৩ লাখ ৬৫ হাজার ৭৮৯ জন শিক্ষার্থীর এইচএসসি ও সমমানের পরীক্ষা দেওয়ার কথা ছিল। পরীক্ষা শুরু হওয়ার কথা ছিল ওই বছরের ১ এপ্রিল। কিন্তু করোনাভাইসের প্রকোপ বাড়তে শুরু করলে ১৭ মার্চ থেকে দেশের সব শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধ করে দেওয়া হয়। এরপর গত ৭ অক্টোবর এক সংবাদ সম্মেলনে শিক্ষামন্ত্রী দীপু মনি পঞ্চম ও অষ্টমের সমাপনীর মতো এইচএসসি পরীক্ষাও বাতিলের সিদ্ধান্তের কথা জানান।

শিক্ষামন্ত্রী জানান, জেএসসি এবং এসএসসির ফলাফলের গড় করে ২০২০ সালের এইচএসসির ফল নির্ধারণ করা হবে। জেএসসি-জেডিসির ফলাফলকে ২৫ এবং এসএসসির ফলকে ৭৫ শতাংশ বিবেচনায় নিয়ে উচ্চ মাধ্যমিকের ফল ঘোষিত হবে।

Tag :
আপলোডকারীর তথ্য

Bangal Kantha

ভয়াবহ বায়ুদূষণে বিপর্যস্ত দিল্লি, স্বস্তি নেই ঢাকার বাতাসে

আপডেট টাইম : ০৩:৫৭ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৮ জানুয়ারী ২০২১

হাওর বার্তা ডেস্কঃ ২০২০ সালের এইচএসসি ও সমমানের পরীক্ষার ফলাফল ঘোষণা করা হতে পারে আগামী রবিবার (৩১ জানুয়ারি)। পরীক্ষা ছাড়া ফল ঘোষণার আইনি বাধা কেটে যাওয়ায় এ মাসের মধ্যে ফল ঘোষণার কথা জানিয়েছেন শিক্ষামন্ত্রী দীপু মনি।

রেওয়াজ অনুযায়ী, প্রধানমন্ত্রীর কাছে শিক্ষামন্ত্রী ফলাফল হস্তান্তরের পর আনুষ্ঠানিকভাবে ফল প্রকাশ করা হয়।

শিক্ষা মন্ত্রণালয় থেকে আগামী শনিবার (৩০ জানুয়ারি) বা রবিবার (৩১ জানুয়ারি) এইচএসসি ও সমমানের পরীক্ষার ফল প্রকাশের জন্য প্রধানমন্ত্রীর কাছে প্রস্তাবনা পাঠানো হয়েছে। তবে ধারণা করা হচ্ছে রবিবার ফল প্রকাশ করা হবে।

করোনা ভাইরাসের মধ্যে পরীক্ষা নেওয়া সম্ভব না হওয়ায় এইচএসসির ফলাফল প্রস্তুত, প্রকাশ ও সনদ বিতরণের ক্ষমতা শিক্ষা বোর্ডগুলোকে দিয়ে গত মঙ্গলবার (২৬ জানুয়ারি) গেজেট প্রকাশ করেছে সরকার।

এর মাধ্যমে মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা বিভাগ এবং কারিগরি ও মাদ্রাসা শিক্ষা বিভাগ পরামর্শক কমিটির সুপারিশ মোতাবেক নয়টি সাধারণ বোর্ডের সঙ্গে মাদ্রাসা এবং কারিগরি শিক্ষা বোর্ডকে এ ক্ষমতা দেয় সরকার।

গেজেটে বলা হয়েছে, চলমান বৈশ্বিক মহামারি করোনা ভাইরাসজনিত কারণে ২০২০ সালে অনুষ্ঠিতব্য উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষা গ্রহণ করা সম্ভব না হওয়ায় এ সংক্রান্ত আইনগুলো সংশোধন করা হয়েছে।

সংশোধিত আইনের ক্ষমতাবলে এ সংক্রান্ত গঠিত পরামর্শক কমিটির সুপারিশের ভিত্তিতে বোর্ডগুলোকে এ ক্ষমতা দেওয়া হয়েছে।

আন্তঃশিক্ষা বোর্ড জানিয়েছে, ফলফল প্রস্তুত আছে। প্রধানমন্ত্রীর অনুমোদন পেলে ফলাফল প্রকাশের তারিখ চূড়ান্ত করা হবে।

পরীক্ষা ছাড়া উচ্চ মাধ্যমিকের ফল প্রকাশ করতে ‘ইন্টারমিডিয়েট অ্যান্ড সেকেন্ডারি এডুকেশন (অ্যামেন্ডমেন্ট) অ্যাক্ট-২০২১’ ‘বাংলাদেশ কারিগরি শিক্ষা বোর্ড (সংশোধন) অ্যাক্ট-২০২১’, ‘বাংলাদেশ মাদ্রাসা শিক্ষা বোর্ড (সংশোধন) অ্যাক্ট-২০২১’ গেজেট আকারে জারি করে সরকার।

আইনগুলো সংশোধন হওয়ায় এখন বিশেষ পরিস্থিতে অতিমারী, মহামারি, দৈব দুর্বিপাকের কারণে বা সরকার কর্তৃক সময় সময় নির্ধারিত কোনো অনিবার্য পরিস্থিতিতে কোনো পরীক্ষা গ্রহণ, ফল প্রকাশ এবং সনদ করা সম্ভব না হলে সরকার, সরকারি গেজেটে প্রজ্ঞাপিত আদেশ দ্বারা কোনো বিশেষ বছরে শিক্ষার্থীদের জন্য পরীক্ষা ছাড়াই বা সংক্ষিপ্ত সিলেবাসে পরীক্ষা গ্রহণ করে উক্ত প্রজ্ঞাপনে উল্লিখিত পদ্ধতিতে মূল্যায়ন এবং সনদ প্রদানের জন্য নির্দেশাবলি জারি করতে পারবে।

গত বছরে ১১টি শিক্ষা বোর্ডের ১৩ লাখ ৬৫ হাজার ৭৮৯ জন শিক্ষার্থীর এইচএসসি ও সমমানের পরীক্ষা দেওয়ার কথা ছিল। পরীক্ষা শুরু হওয়ার কথা ছিল ওই বছরের ১ এপ্রিল। কিন্তু করোনাভাইসের প্রকোপ বাড়তে শুরু করলে ১৭ মার্চ থেকে দেশের সব শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধ করে দেওয়া হয়। এরপর গত ৭ অক্টোবর এক সংবাদ সম্মেলনে শিক্ষামন্ত্রী দীপু মনি পঞ্চম ও অষ্টমের সমাপনীর মতো এইচএসসি পরীক্ষাও বাতিলের সিদ্ধান্তের কথা জানান।

শিক্ষামন্ত্রী জানান, জেএসসি এবং এসএসসির ফলাফলের গড় করে ২০২০ সালের এইচএসসির ফল নির্ধারণ করা হবে। জেএসসি-জেডিসির ফলাফলকে ২৫ এবং এসএসসির ফলকে ৭৫ শতাংশ বিবেচনায় নিয়ে উচ্চ মাধ্যমিকের ফল ঘোষিত হবে।