ঢাকা , মঙ্গলবার, ১৯ নভেম্বর ২০২৪, ৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম :

গোসলের সময় বিচ্ছিন্ন করা হল মায়ের বুকে জড়ানো সন্তান

বাঙালী কণ্ঠ ডেস্কঃ নারায়ণগঞ্জের শীতলক্ষ্যা নদীতে লঞ্চডুবির ১৮ ঘণ্টা পর মুন্সীগঞ্জ সদর উপজেলার রমজানবেগ খাসকান্দি এলাকায় বিথী আক্তার (২৫) ও তার মেয়ে আরিফার (১) মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে।

এ সময় দেখা যায়, মৃত মা বিথী বেগম বুকে জড়িয়ে ধরে রেখেছেন তার মেয়ে আরিফাকে।

সোমবার দুপুর ১টার দিকে স্বজনদের কাছে মা-মেয়ের লাশ বুঝিয়ে দেন উদ্ধারকারীরা। পরে ২টার দিকে তাদের লাশ নিয়ে আসা হয় মুন্সিগঞ্জ সদর উপজেলার খাসকান্দি রমজানবেগ গ্রামে।

এ সময় স্বজনদের কান্নায় পরিবেশ ভারী হয়ে ওঠে। পরে গোসল করানোর সময় মা ও মেয়েকে আলাদা করেন স্বজনরা।

নিহত বিথী আক্তার ওই গ্রামের আরিফ কাজির স্ত্রী। আরিফ ডেকোরেটরের লাইট মিস্ত্রির কাজ করেন। তিনি স্ত্রী, সন্তান ও শাশুড়িকে হারিয়ে এখন পাগলপ্রায়।

এলাকার চর মাশুরা কবরস্থানে নিহত বিথী ও তার মেয়ে আরিফাকে দাফন করা হয়েছে বিথীর মা পাকিজা বেগমের পাশে। এর আগে পাকিজা বেগমকে দাফন করা হয়। একই লঞ্চে ডুবে পাকিজা বেগমও নিহত হন।

রোববার সন্ধ্যার কিছু আগে এসকেএল-৩ নামের একটি কোস্টার জাহাজ পেছন থেকে ধাক্কা দিয়ে অন্তত ২০০ মিটার লঞ্চটিকে টেনে নিয়ে যায়। এরপর লঞ্চটি যাত্রীসহ ডুবে যায়। আশপাশে কোনো নৌকা না থাকায় অনেকেই রক্ষা পাননি। ডুবে যাওয়া যাত্রীবাহী লঞ্চটি উদ্ধার করেছে উদ্ধারকারী জাহাজ প্রত্যয়। রোববার রাত থেকে মঙ্গলবার দুপুর পর্যন্ত শিশু ও নারীসহ মোট ৩৫টি লাশ উদ্ধার করা হয়েছে।

Tag :
আপলোডকারীর তথ্য

Bangal Kantha

ভয়াবহ বায়ুদূষণে বিপর্যস্ত দিল্লি, স্বস্তি নেই ঢাকার বাতাসে

গোসলের সময় বিচ্ছিন্ন করা হল মায়ের বুকে জড়ানো সন্তান

আপডেট টাইম : ১০:৪৮ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ৭ এপ্রিল ২০২১

বাঙালী কণ্ঠ ডেস্কঃ নারায়ণগঞ্জের শীতলক্ষ্যা নদীতে লঞ্চডুবির ১৮ ঘণ্টা পর মুন্সীগঞ্জ সদর উপজেলার রমজানবেগ খাসকান্দি এলাকায় বিথী আক্তার (২৫) ও তার মেয়ে আরিফার (১) মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে।

এ সময় দেখা যায়, মৃত মা বিথী বেগম বুকে জড়িয়ে ধরে রেখেছেন তার মেয়ে আরিফাকে।

সোমবার দুপুর ১টার দিকে স্বজনদের কাছে মা-মেয়ের লাশ বুঝিয়ে দেন উদ্ধারকারীরা। পরে ২টার দিকে তাদের লাশ নিয়ে আসা হয় মুন্সিগঞ্জ সদর উপজেলার খাসকান্দি রমজানবেগ গ্রামে।

এ সময় স্বজনদের কান্নায় পরিবেশ ভারী হয়ে ওঠে। পরে গোসল করানোর সময় মা ও মেয়েকে আলাদা করেন স্বজনরা।

নিহত বিথী আক্তার ওই গ্রামের আরিফ কাজির স্ত্রী। আরিফ ডেকোরেটরের লাইট মিস্ত্রির কাজ করেন। তিনি স্ত্রী, সন্তান ও শাশুড়িকে হারিয়ে এখন পাগলপ্রায়।

এলাকার চর মাশুরা কবরস্থানে নিহত বিথী ও তার মেয়ে আরিফাকে দাফন করা হয়েছে বিথীর মা পাকিজা বেগমের পাশে। এর আগে পাকিজা বেগমকে দাফন করা হয়। একই লঞ্চে ডুবে পাকিজা বেগমও নিহত হন।

রোববার সন্ধ্যার কিছু আগে এসকেএল-৩ নামের একটি কোস্টার জাহাজ পেছন থেকে ধাক্কা দিয়ে অন্তত ২০০ মিটার লঞ্চটিকে টেনে নিয়ে যায়। এরপর লঞ্চটি যাত্রীসহ ডুবে যায়। আশপাশে কোনো নৌকা না থাকায় অনেকেই রক্ষা পাননি। ডুবে যাওয়া যাত্রীবাহী লঞ্চটি উদ্ধার করেছে উদ্ধারকারী জাহাজ প্রত্যয়। রোববার রাত থেকে মঙ্গলবার দুপুর পর্যন্ত শিশু ও নারীসহ মোট ৩৫টি লাশ উদ্ধার করা হয়েছে।