কাতার বিশ্বকাপ স্বপ্নের মতোই কাটছে মরক্কোর। প্রথমবারের মতো কোয়ার্টার ফাইনালে ওঠা দলটি পর্তুগালের মতো শক্তিশালী দলকে হারিয়ে ইতিহাস গড়েছে।
জিতলে সেমিফাইনাল নিশ্চিত। হারলে বিদায়। এমন কঠিন সমীকরণের কোয়ার্টার ফাইনালে পর্তুগালকে ১-০ হারিয়ে সেমিফাইনালের টিকিট নিশ্চিত করেছে মরক্কো।
এ বিজয়কে স্মরণীয় করে রাখতে তাই খেলা শেষেই একযোগে সবাই মাঠের ভেতরেই লুটিয়ে পড়েন সিজদায়।অবনত মস্তকে আল্লাহর কাছে কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন আফ্রিকার মুসলিম দেশ মরক্কোর খেলোয়াড়রা।
এবারের বিশ্বকাপে এখন পর্যন্ত প্রতিপক্ষের কোনো ফুটবলার তাদের বিপক্ষে গোল করতে পারেননি। একমাত্র গোলটি তারা খেয়েছে আত্মঘাতী গোল হিসবে। এখন পর্যন্ত কোন দলই তাদেরকে হারাতে পারেনি।
তাই বিশ্বকাপের প্রতিটি ম্যাচ শেষে সিজদার মাধ্যমে আল্লাহর কাছে কৃতজ্ঞতা জানান মরক্কোর খেলোয়াড়রা। এবার ইতিহাস গড়ার ম্যাচে পর্তুগালকে হারিয়েও একইভাবে কৃতজ্ঞতা জানালেন তারা।
শনিবার দোহার আল থুমামা স্টেডিয়ামে খেলার ৪২তম মিনিটে দুর্দান্ত এক হেডে পর্তুগালের জালে বল জড়িয়ে দেন মরক্কোর ইউসুফ এন-নেসিরি।
খেলার শুরুর একাদশে মাঠে নামনো হয়নি পর্তুগালের সুপারস্টার ক্রিশ্চিয়ানো রোনালদোকে। খেলার ৫২ মিনিটে রুবেন নেভাসের জায়গায় মাঠে নামানো হয় রোনালদোকে।
৬৫ মিনিটে আবারো গোলের সুযোগ পায় পর্তুগাল। কিন্তু ব্রুনো ফার্নান্দেজের দুর্দান্ত শট গোলবারের সামান্য উপর দিয়ে চলে যায়। হতাশায় মুষড়ে পড়েন ব্রুনো।
৮৩ মিনিটে মরক্কোকে নিশ্চিত গোল খাওয়ার হাত থেকে রক্ষা করেন মরক্কোর গোলরক্ষক আগের ম্যাচের নাত্যক বুনু। ডি বক্সের সামান্য ভেতরে থেকে হোয়াও ফেলিক্স বা পায়ের দুর্দান্ত বাকানো শট নিলে ডান দিকে ঝাপিয়ে পড়ে কর্নারের বিনিময়ে রক্ষা করেন বুনু।
৯০ মিনিটে ডিবক্সের ভেতর থেকে রোনালদোর ডান পায়ের জোড়ালো শট রুখে দেন বুনু। ৯২ মিনিটে মরক্কোর চেদিরা দ্বিতীয় হলুদ কার্ড পেলে ১০ জনের দলে পরিণত হয় আফ্রিকান দলটি।
৯৫ মিনিটে গোলের সুবর্ণ সুযোগ মিস করেন মরক্কোর আবুখলিল। পর্তুগিজ গোলরক্ষককে একা পেয়েও গোল দিতে পারেননি তিনি। ৯৭ মিনিটে পেপের দুর্দান্ত হেড গোলবার ঘেষে চলে গেলে গোলবঞ্চিত হয় পর্তুগাল।
ম্যাচের একদম শেষ দিকে আরো দুটি গোলের সুযোগ তৈরি করলেও গোল দিতে পারেনি পর্তুগাল। ফলে বিশ্বকাপ থেকে খালি হাতেই বিদায় নিল পর্তুগাল। আর ইতিহাস গড়ে বিশ্বকাপের সেমিফাইনালে উঠলো মরক্কো।