ঢাকা , বুধবার, ২০ নভেম্বর ২০২৪, ৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

মেঘনায় বিলীন ৩৫ ঘরবাড়ি

বাঙালী কণ্ঠ নিউজঃ  নরসিংদীর রায়পুরায় চানপুর কালিকাপুর মেঘনা নদী ভাঙনে ৩৫টি ঘরবাড়ি বিলীন হয়ে গেছে। বাড়িঘর গাছপালা হাঁসমুরগি নদীগর্ভে বিলীন হওয়ার ফলে খোলা মাঠে আশ্রয় নিয়েছে এসব পরিবার। স্থানীয় ইউনিয়ন যুবলীগ সেক্রেটারি ক্ষতিগ্রস্ত নাছির মিয়া জানান, নরসিংদীর রায়পুরা উপজেলার চাঁনপুর ইউনিয়নের কালিকাপুর দক্ষিণ পাড়া গ্রামে মেঘনার ভাঙনে ২০১৫ সালে একই এলাকায় ৬৪টি পরিবার একই স্থানে মেঘনা নদী ভাঙনে বিলীন হয়ে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছিল। এবারের মেঘনা নদীর ভাঙনে আরো ৩৫টি বাড়িঘর নদীগর্ভে বিলীন হয়ে যাওয়ায় পরিবারগুলো আশ্রয়হীন হয়ে পড়েছে। এ পর্যন্ত ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারগুলোর কেউ খোঁজখবরও নেয়নি এবং সরকারি সাহায্য সহযোগিতাও পায়নি। চাঁনপুর ইউনিয়ন আওয়ামী লীগ সেক্রেটারি মো. বাবুল মিয়া বলেন, কালিকাপুর দক্ষিণ পাড়া গ্রামের মেঘনা নদী ভাঙনের ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারের মাঝে রাজিউদ্দিন আহমেদ রাজু এমপির মাধ্যমে সরকারি সাহায্য সহযোগিতা করার দাবি করেন, আমি গত কোরবানির ঈদে নদী ভাঙনের জন্য তাদের মাঝে ত্রাণসামগ্রী বিতরণ করেছিলাম আবার ত্রাণসামগ্রী বিতরণ করব। চাঁনপুর ইউনিয়ন চেয়ারম্যান মোমেন সরকার বলেন, বি-বাড়ীয়া জেলার নবীনগর উপজেলার বীরগাঁও ইউনিয়নের চেয়ারম্যান কবির মিয়া আমাদের সীমানার প্রকৃত মেঘনা নদীটি উপর বাঁধ দিয়ে নদী ভরাট করায় প্রতিদিন চাঁনপুরের কালিকাপুর, সদাগরকান্দি লঞ্চঘাট, মোহনীপুরসহ কয়েক কি.মি. এলাকার বাড়িঘর ও ফসলি জমি মেঘনাগর্ভে বিলীন হয়ে যাচ্ছে। এ উপজেলার মৌজায় চর জাগলেও ঐ পাড়ের লোকজন জোরপূর্বক চর দখল করে নিয়ে যাওয়ার পাঁয়তারা করছে। নদী ভাঙন রোধ ও সরকারি সীমানা নির্ধারণ করার জন্য ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের  নিকট একাধিকবার লেখালেখি করা হয়েছে। এ ব্যাপারে মেঘনা নদী ভাঙনের ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারের মাঝে সরকারি সাহায্য সহযোগিতা করার জোর দাবি তালিকা প্রেরণ করেন। উপজেলা চেয়ারম্যান মিজানুর রহমান চৌধুরী বলেন, ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারের তালিকা পাওয়ার পর প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হবে।

Tag :
আপলোডকারীর তথ্য

Bangal Kantha

মেঘনায় বিলীন ৩৫ ঘরবাড়ি

আপডেট টাইম : ০৩:৪৮ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৮ জুলাই ২০১৭

বাঙালী কণ্ঠ নিউজঃ  নরসিংদীর রায়পুরায় চানপুর কালিকাপুর মেঘনা নদী ভাঙনে ৩৫টি ঘরবাড়ি বিলীন হয়ে গেছে। বাড়িঘর গাছপালা হাঁসমুরগি নদীগর্ভে বিলীন হওয়ার ফলে খোলা মাঠে আশ্রয় নিয়েছে এসব পরিবার। স্থানীয় ইউনিয়ন যুবলীগ সেক্রেটারি ক্ষতিগ্রস্ত নাছির মিয়া জানান, নরসিংদীর রায়পুরা উপজেলার চাঁনপুর ইউনিয়নের কালিকাপুর দক্ষিণ পাড়া গ্রামে মেঘনার ভাঙনে ২০১৫ সালে একই এলাকায় ৬৪টি পরিবার একই স্থানে মেঘনা নদী ভাঙনে বিলীন হয়ে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছিল। এবারের মেঘনা নদীর ভাঙনে আরো ৩৫টি বাড়িঘর নদীগর্ভে বিলীন হয়ে যাওয়ায় পরিবারগুলো আশ্রয়হীন হয়ে পড়েছে। এ পর্যন্ত ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারগুলোর কেউ খোঁজখবরও নেয়নি এবং সরকারি সাহায্য সহযোগিতাও পায়নি। চাঁনপুর ইউনিয়ন আওয়ামী লীগ সেক্রেটারি মো. বাবুল মিয়া বলেন, কালিকাপুর দক্ষিণ পাড়া গ্রামের মেঘনা নদী ভাঙনের ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারের মাঝে রাজিউদ্দিন আহমেদ রাজু এমপির মাধ্যমে সরকারি সাহায্য সহযোগিতা করার দাবি করেন, আমি গত কোরবানির ঈদে নদী ভাঙনের জন্য তাদের মাঝে ত্রাণসামগ্রী বিতরণ করেছিলাম আবার ত্রাণসামগ্রী বিতরণ করব। চাঁনপুর ইউনিয়ন চেয়ারম্যান মোমেন সরকার বলেন, বি-বাড়ীয়া জেলার নবীনগর উপজেলার বীরগাঁও ইউনিয়নের চেয়ারম্যান কবির মিয়া আমাদের সীমানার প্রকৃত মেঘনা নদীটি উপর বাঁধ দিয়ে নদী ভরাট করায় প্রতিদিন চাঁনপুরের কালিকাপুর, সদাগরকান্দি লঞ্চঘাট, মোহনীপুরসহ কয়েক কি.মি. এলাকার বাড়িঘর ও ফসলি জমি মেঘনাগর্ভে বিলীন হয়ে যাচ্ছে। এ উপজেলার মৌজায় চর জাগলেও ঐ পাড়ের লোকজন জোরপূর্বক চর দখল করে নিয়ে যাওয়ার পাঁয়তারা করছে। নদী ভাঙন রোধ ও সরকারি সীমানা নির্ধারণ করার জন্য ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের  নিকট একাধিকবার লেখালেখি করা হয়েছে। এ ব্যাপারে মেঘনা নদী ভাঙনের ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারের মাঝে সরকারি সাহায্য সহযোগিতা করার জোর দাবি তালিকা প্রেরণ করেন। উপজেলা চেয়ারম্যান মিজানুর রহমান চৌধুরী বলেন, ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারের তালিকা পাওয়ার পর প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হবে।