বাঙালী কণ্ঠ ডেস্কঃ রাজশাহীর বিভিন্ন উপজেলার মাঠে হলুদের বাহার কমতে শুরু করেছে। হলুদের গায়ে গাঢ় সবুজ রং লেপটে যাচ্ছে দিন দিন। ফুলের ডিম্বককে আগলে রাখা লম্বা ফলে সরষে দানা পুষ্ট হয়ে উঠছে ক্রমেই।
জেলা কৃষি অফিস বলছে, সরষের দানা বাধার সময় শীত জেঁকে বসেছে। শীত যতই বৃদ্ধি পায় সরষের ফলনও তত ভালো হয়। এ বছরে আবহাওয়া অনুকূলে থাকায় সরষের বাম্পার ফলনের আশা করছেন এখানকার চাষিরা।
রাজশাহী জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের তথ্য মতে, চলতি মৌসুমে জেলায় ২৪ হাজার ৯৫০ হেক্টর জমিতে সরিষা চাষের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে। এতে উৎপাদন লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছে ৩৬ হাজার ১৭৮ মেট্রিক টন সরষে। প্রতি হেক্টরে উৎপাদন ধরা হয়েছে এক দশমিক ৪৬ মেট্রিক টন। তবে, রাজশাহীতে অতিরিক্ত বৃষ্টির কারণে মাটিতে জো-আসতে দেরী হওয়ায় লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে কম সরিষা চাষ হচ্ছে।
সংশ্লিষ্টরা জানিয়েছেন, গত মৌসুমে রাজশাহীতে ২৪ হাজার ২৫২ হেক্টর জমিতে সরিষা চাষের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হলেও চাষ হয়েছিল ২৩ হাজার ১৯৯ হেক্টর জমিতে। সে বছর হেক্টর প্রতি গড় ফলন ছিলো ১ দশমিক ৪৫ মেট্রিক টন।
রাজশাহী জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপপরিচালক সামছুল হক এগ্রিকেয়ার২৪.কমকে বলেন, রাজশাহীতে উচ্চফলনশীল জাতের বারি-১৪ ও বারি-১৫ জাতের সরিষা চাষ হচ্ছে। অন্য ফসলের মতো সরষে চাষ বেশ লাভজনক। খুববেশি যত্ন ছাড়াই অন্য ফসল রোপনের মাঝখানের সময়ে এই ফসল পাওয়া যায়। বাড়তি ফসল হিসেবে এ অঞ্চলে সরিষা চাষ বেশ জনপ্রিয় হয়ে উঠছে। সরষে চাষ করে অনেক কৃষক লাভবান হচ্ছেন।
তিনি আরোও বলেন, এবছর বৃষ্টির কারণে নিচু জমিতে সরিষা চাষ করতে পারেন নি অনেক কৃষক। তবে, গতবছরের চেয়ে বেশি সরিষা চাষ হচ্ছে। জেলার সবচেয়ে বেশি সরিষা চাষ হয় গোদাগাড়ীতে। পবা, বাগমারাতেও সরিষার ফলন ভালো হয়।
কৃষি বিভাগের সহযোগিতা অব্যাহত থাকলে এগিয়ে যাবেন কৃষকরা। সেইসাথে ভালো দাম পেলে রাজশাহী অঞ্চলে সরষে চাষের পরিধি আরও বৃদ্ধি পাবে বলে আশা করছেন চাষিরা।
বাগমারা উপজেলার আউচপাড়া ইউনিয়নের কৃষক শাহ্ শামিম হোসেন এগ্রিকেয়ার২৪.কমকে বলেন, আবহাওয়া মোটামুটি ভালো। এবার দুই বিঘা জমিতে সরিষা চাষ করেছি। বেশ ভালো হয়েছে। বীজ বোনার দুই মাসের মধ্যে সরিষার ফসল ঘরে তোলা যায়। সামান্য ইউরিয়া ছাড়া আর কোনো সারের প্রয়োজন হয় না সরিষায়। আসা করা যায় বাম্পার ফলন হবে।