বাঙালী কণ্ঠ নিউজঃ সদ্য সমাপ্ত ২০১৬-১৭ অর্থবছরে কৃষিপণ্য রপ্তানিতে আয় হয়েছে ৫৫ কোটি ৩১ লাখ ৭০ হাজার মার্কিন ডলার বা প্রায় ৪ হাজার ৪৭৭ কোটি টাকা; যা এই সময়ের লক্ষ্যমাত্রার তুলনায় ৯ দশমিক ০২ শতাংশ কম। একইসঙ্গে এর আগের ২০১৫-১৬ অর্থবছরে এই খাতে বৈদেশিক আয়ের তুলনায় এই খাতের আয় ৭ দশমিক ২০ শতাংশ কম।
বাংলাদেশ রপ্তানি উন্নয়ন ব্যুরোর (ইপিবি) জুলাই মাসে প্রকাশিত হালনাগাদ প্রতিবেদন থেকে এ তথ্য জানা গেছে। এতে আরও জানানো হয়েছে, ২০১৫-১৬ অর্থবছরে কৃষিপণ্য রপ্তানিতে আয় হয়েছিল ৫৯ কোটি ৬০ লাখ ৬০ হাজার মার্কিন ডলার। চলতি ২০১৬-১৭ অর্থবছরে এ খাতে রপ্তানি আয়ের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে ৬০ কোটি ৮০ লাখ মার্কিন ডলার। ২০১৬-১৭ অর্থবছরের শেষ মাসে অর্থাৎ গত জুন মাসে কৃষিপণ্য রপ্তানিতে আয় হয়েছে ৩ কোটি ৭৪ লাখ ৪০ হাজার মার্কিন ডলার বা প্রায় ৩০৪ কোটি টাকা।
২০১৬-১৭ অর্থবছরে চা রপ্তানিতে আয়ের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছিল ১৫ লাখ মার্কিন ডলার। এর বিপরীতে আয় হয়েছে ৪৪ লাখ ৭০ হাজার মার্কিন ডলার; যা লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে ১৯৮ শতাংশ বেশি। একইসঙ্গে ২০১৫-১৬ অর্থবছরের তুলনায় এই খাতের আয় ১৪৪ দশমিক ২৬ শতাংশ বেড়েছে; আগের অর্থবছরে চা রপ্তানিতে আয় হয়েছিল ১৮ লাখ ৩০ হাজার মার্কিন ডলার।
সমাপ্ত অর্থবছরে সবজি রপ্তানিতে ৯ কোটি মার্কিন ডলার আয়ের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হলেও এই সময়ে আয় হয়েছে ৮ কোটি ১০ লাখ ৩০ হাজার মার্কিন ডলার; যা লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে ৯ দশমিক ৯৭ শতাংশ কম। একইসঙ্গে এর আগের অর্থবছরের তুলনায় এই খাতের রপ্তানি আয় ২২ দশমিক ৩৪ শতাংশ কমেছে। ২০১৫-১৬ অর্থবছরে সবজি রপ্তানিতে আয় হয়েছিল ১০ কোটি ৪৩ লাখ ৪০ হাজার মার্কিন ডলার।
২০১৬-১৭ অর্থবছরে তামাকজাত পণ্য রপ্তানিতে আয় হয়েছে ৪ কোটি ৬৬ লাখ ২০ হাজার মার্কিন ডলার; যা এই সময়ের রপ্তানি আয় লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে ১৬ দশমিক ৭৫ শতাংশ কম। আগের অর্থবছরের তুলনায় এই খাতের আয় ১৫ দশমিক ২১ শতাংশ কমেছে। ২০১৫-১৬ অর্থবছরে তামাক ও তামাকজাত পণ্য রপ্তানিতে আয় হয়েছিল ৫ কোটি ৪৯ লাখ ৮০ হাজার মার্কিন ডলার।
২০১৬-১৭ অর্থবছরে ফল রপ্তানিতে আয় হয়েছে ২৬ লাখ ৯০ হাজার মার্কিন ডলার; যা লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে ৮৭ দশমিক ৪৯ শতাংশ এবং আগের অর্থবছরের একই সময়ের তুলনায় ৮৬ দশমিক ৭০ শতাংশ কম। ২০১৫-১৬ অর্থবছরে ফল রপ্তানিতে আয় হয়েছিল ২ কোটি ২ লাখ ৩০ হাজার মার্কিন ডলার।
আলোচ্য সময়ে মসলা জাতীয় পণ্য রপ্তানি লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছিল ৩ কোটি ৩০ লাখ মার্কিন ডলার। এই বিপরীতে আয় হয়েছে ৩ কোটি ৪৯ লাখ ৫০ হাজার মার্কিন ডলার; যা লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে ৫ দশমিক ৯১ শতাংশ বেশি। আগের অর্থবছরের তুলনায় এই খাতের আয় ২০ দশমিক ২৭ শতাংশ বেড়েছে। ২০১৫-১৬ অর্থবছরে মসলা জাতীয় পণ্য রপ্তানিতে আয় হয়েছিল ২ কোটি ২ লাখ ৭০ হাজার মার্কিন ডলার।
২০১৬-১৭ অর্থবছরে শুকনো খাবার রপ্তানিতে আয় হয়েছে ১০ কোটি ৯৬ লাখ ১০ হাজার মার্কিন ডলার; যা এই সময়ের লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে ১১ দশমিক ৮৫ শতাংশ বেশি। আগের অর্থবছরের তুলনায় এই খাতের আয় ১৪ দশমিক ১৩ শতাংশ বেড়েছে। ২০১৫-১৬ অর্থবছরে শুকনো খাবার রপ্তানিতে আয় হয়েছিল ৯ কোটি ৬০ লাখ ৪০ হাজার মার্কিন ডলার।
সমাপ্ত অর্থবছরে অন্যান্য কৃষিপণ্য রপ্তানিতে আয় হয়েছে ২৭ কোটি ৩৭ লাখ ২০ হাজার মার্কিন ডলার। যা এই সময়ের লক্ষ্যমাত্রার তুলনায় ৯ দশমিক ৬৬ শতাংশ কম। আগের অর্থবছরের তুলনায় এই খাতের আয় ৩ দশমিক ৯১ শতাংশ কমেছে। ২০১৫-১৬ অর্থবছরে অন্যান্য কৃষিপণ্য রপ্তানিতে আয় হয়েছিল ২৮ কোটি ৪৮ লাখ ৫০ হাজার মার্কিন ডলার।