স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের অনুমতিসাপেক্ষে রাজনৈতিক দলগুলো শান্তিপূর্ণভাবে সমাবেশ করতে পারবে বলে জানিয়েছেন নির্বাচন কমিশনার (ইসি) মো. আলমগীর। আজ বুধবার রাজধানীর আগারগাঁওয়ে নির্বাচন কমিশন (ইসি) ভবনে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে এ কথা বলেন তিনি।
মো. আলমগীর বলেন, ‘কেউ যদি শান্তিপূর্ণ সভা-সমাবেশ করে এ বিষয়ে আমাদের কোনো বক্তব্য নেই। সরকার যেখানে অনুমতি দেবে সেখানে সভা-সমাবেশ করবে। আমাদের বক্তব্য হলো নির্বাচনে বাধা সংক্রান্ত সভা-সমাবেশ করা যাবে না। যে সমস্ত কর্মসূচি নির্বাচনের পথে হুমকি বা বাঁধা এ সমস্ত কর্মসূচি করা যাবে না। তবে যে কোনো দেশে যে কোনো পক্ষের শান্তিপূর্ণ সমাবেশ বা বক্তব্য দেওয়ার অধিকার তাদের আছে। স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের অনুমতি নিয়ে তারা করতে পারবে।’
এ নির্বাচন কমিশনার বলেন, ‘আমাদের আইনে আছে নির্বাচনবিরোধী কোনো কাজ করা যাবে না। আইনে আছে কেউ যদি ভোটে বাধা দেয়, হুমকি দেয়, ভয় দেখায় তাহলে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী ব্যবস্থা নেবে। আমি আবারও বলছি একই কথা কেউ যদি শান্তি সমাবেশ করে তবে রাষ্ট্রের প্রচলিত নিয়মে করতে পারবে। শান্তির্পূর্ণ সমাবেশ কর্মসূচি রাজনৈতিক দল অবশই করতে পারবে, বাধা নেই।
তিনি বলেন, ‘নির্বাচনী একটা আচরণবিধি আছে বা আইন আছে। সেটা হলো নির্বাচনী কাজে কেউ যদি বাধা দেয় তাহলে আমাদের আইন অনুযায়ী এটা অপরাধ। সেই পরিপ্রেক্ষিতেই স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়কে চিঠি দিয়েছি যাতে নির্বাচনের সুষ্ঠু পরিবেশ থাকে শান্তিপূর্ণ পরিবেশ থাকে। কেউ যদি ভোটবিরোধী কোনো শোডাউন বা কর্মসূচি দিয়ে থাকে, তবে এটা করা যাবে না।’
নির্বাচনবিরোধী সমাবেশ করতে না দিয়ে বিএনপির মতো রাজনৈতিক দলের অধিকার ক্ষুণ্ন হলো কি না- এমন প্রশ্নের জবাবে মো. আলমগীর বলেন, ‘শুধু বিএনপি না, যে কোনো রাজনৈতিক দল যদি বলে তারা ভোটে অংশ নেবে না, অথবা ভোটারদের বলতে পারে আপনারা ভোট দিতে আসবেন না। সেই ব্যাপারে আমাদের কোনো কথা নেই। তবে যদি কেউ কোনো সন্ত্রাসীমূলক কাজ করে, জ্বালাও পোড়াও করে, রেললাইন কেটে দেয় এ ধরনের কাজ করে তবে এটা করতে দেওয়া যাবে না।’
রাজনৈতিক দলগুলোর সমাবেশের বিষয়ে তিনি বলেন, ‘সমাবেশ করার পারমিশন দেবে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়, এটা আমাদের বিষয় না। আমাদের বিষয় হলো নির্বাচনে বাধা সৃষ্টি করে এ রকম কোনো কাজ করা যাবে না। আপনি যদি বলেন ভোট দিতে যাবেন না আপনার খবর আছে, এ রকম কাজ করা যাবে না।’