ঢাকা , রবিবার, ২৪ নভেম্বর ২০২৪, ৯ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম :
জলবায়ু অর্থায়ন নিয়ে তীব্র বিতর্ক: ১২তম দিনে গড়ালো কপ২৯ সম্মেলন ঢাকাবাসীকে যেকোনো উপায়ে নিরাপদ রাখতে হবে : ডিএমপি কমিশনার বাংলাদেশ সফরে আসতে পারেন ব্রিটিশ রাজা চার্লস ৫ আগস্টের পর ভুয়া মামলা তদন্তসাপেক্ষে প্রত্যাহার হবে, জানালেন নতুন আইজিপি আলেম সমাজের সাথে ঐতিহাসিক সুসম্পর্ক রয়েছে বিএনপির: ছাত্রদল সাধারণ সম্পাদক নাছির জুয়ার অ্যাপের প্রচারে নাম লেখালেন বুবলীও জাতীয় নির্বাচনের আগে স্থানীয় সরকার নির্বাচন, যা বললেন তোফায়েল আহমেদ সামনে অসম্ভব শক্তির অদৃশ্য দেয়াল অপেক্ষা করছে: তারেক রহমান বহু শাসক দেখেছি, পরিবর্তন দেখিনি : ফয়জুল করীম গ্যাসের জন্য আ.লীগ আমলে ২০ কোটি টাকা ঘুস দিয়েছি

বিমানবন্দরে সতর্কতা জারির পরামর্শ

বাঙালী কণ্ঠ নিউজঃ  দেশে নতুনভাবে আবির্ভূত হওয়া পুরনো সাত সংক্রামক ব্যাধি প্রতিরোধে বিমানবন্দরে স্বাস্থ্য পরীক্ষায় বিশেষ সতর্কতা জারির ওপর গুরুত্বারোপ করেছেন বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকেরা।

তারা বলেছেন, সংক্রামক রোগ প্রতিরোধে বিশ্বের বিভিন্ন দেশের বিমানবন্দরে বিশেষ সতর্কতা ব্যবস্থা চালু আছে। তবে বাংলাদেশে বিমানবন্দরে স্বাস্থ্য পরীক্ষার ব্যবস্থা থাকলেও তা খুব একটা কার্যকরী নয়।

স্বাস্থ্যবিশেষজ্ঞ ও চিকিৎসকদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, দেশে চিকুনগুনিয়াসহ সাতটি সংক্রামক রোগ ফের নতুনভাবে দেখা দিয়েছে। ইতোমধ্যে, চিকনগুনিয়া রাজধানী ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে মহামারী আকার ধারণ করেছে।

চিকুনগুনিয়া ছাড়াও সংক্রামক সাত রোগের মধ্যে রয়েছে- এইচআইভি (এইডস), ডেঙ্গু, নিপাহ, বার্ড ফ্লু, সোয়াইিন ফ্লু, ও জিকা ভাইরাস।

জানা গেছে, ১৯৮৯/৯০ সালে এইডসের প্রাদুর্ভাব ঘটে। ১৯৯৯ সালে ডেঙ্গুর দেখা দেয়। ২০০১ সালে নিপাহ ভাইরাসের সন্ধান পাওয়া যায়। বার্ড ফ্লু ধরা পড়ে ২০০৭ সালে। ২০০৮ সালে প্রথম চিকুনগুনিয়ার দেখা যায়। সোয়াইন ফ্লুর প্রার্দুভাব ঘটে ২০০৯ সালে। এছাড়া জিকা ভাইরাসের সন্ধান মেলে ২০১৪ সালে। কিন্তু কেন এসব রোগ আবারও ফিরে আসছে আর তার প্রতিরোধে করণীয় কী, তা জানতে সহায়তা নেওয়া হয় কয়েকজন বিশেষজ্ঞের।

বাঙালী কণ্ঠকে তারা বলেন, পরিবেশ দূষণের পাশাপাশি বিমানবন্দরে স্বাস্থ্য পরীক্ষায় বিশেষ সতর্কতা না থাকায় এসব রোগের প্রার্দুভাব ঘটছে।

এ বিষয়ে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক উপাচার্য ও বিশিষ্ট ভাইরোলজিস্ট অধ্যাপক নজরুল ইসলাম বলেন, দেশের বাইরে থেকে সৃষ্ট হওয়া কোনো রোগ বাহকের (মানুষ) মাধ্যমে যেন বাংলাদেশে ছড়াতে না পারে, সেজন্য বিমানবন্দরে বিশেষ সতর্কতা অবলম্বন করতে হবে। কারণ, যারা বাইরে থেকে আসেন, তাদের মাধ্যমে এসব রোগের ভাইরাস ছড়াতে পারে। এছাড়া অনেকে বিদেশ গিয়ে যখন দেশে ফেরেন, তাদের মাধ্যমেও এসব রোগের জীবাণু প্রবেশ করে। এই জীবাণু ক্রমেই রোগ ছড়ায়। ফলে, বিমানবন্দরে সতর্কতা অবলম্বনের কোনো বিকল্প নেই।

মহাখালী সংক্রামক ব্যাধি হাসপাতালের সুপার শাহ আলম তালুকদার বাঙালী কণ্ঠকে বলেন, বিমানবন্দরে সতর্কতার বিষয়টি গুরুত্বের সঙ্গে গ্রহণ করতে হবে। কারণ, পার্শ্ববর্তী রাষ্ট্র ভারতসহ বিশ্বের বিভিন্ন দেশে সংক্রামক ব্যাধি ধরা পড়লে সঙ্গে সঙ্গে ওই দেশে বিমানবন্দরে বিশেষ স্বাস্থ্য পরীক্ষার ব্যবস্থা করা হয়।

কথা হয়, ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের ভাইরোলজি বিভাগের সাবেক অধ্যাপক ফয়সল মোহাম্মদের সঙ্গে। তিনি বলেন, দেশে রোগের ওপর নজরদারি বাড়াতে হবে। একই সঙ্গে পরিবেশ দূষণ রোগ ও বিমানবন্দরে বিশেষ স্বাস্থ্য পরীক্ষার ব্যবস্থা চালু করতে হবে।

আমাদের দেশের বিমানবন্দরে স্বাস্থ্য পরীক্ষার বিষয়টি সন্তোষজনক নয় বলেও জানান তিনি।

আরো পড়ুন-

Tag :
আপলোডকারীর তথ্য

Bangal Kantha

জলবায়ু অর্থায়ন নিয়ে তীব্র বিতর্ক: ১২তম দিনে গড়ালো কপ২৯ সম্মেলন

বিমানবন্দরে সতর্কতা জারির পরামর্শ

আপডেট টাইম : ০১:৪৫ অপরাহ্ন, সোমবার, ২৪ জুলাই ২০১৭

বাঙালী কণ্ঠ নিউজঃ  দেশে নতুনভাবে আবির্ভূত হওয়া পুরনো সাত সংক্রামক ব্যাধি প্রতিরোধে বিমানবন্দরে স্বাস্থ্য পরীক্ষায় বিশেষ সতর্কতা জারির ওপর গুরুত্বারোপ করেছেন বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকেরা।

তারা বলেছেন, সংক্রামক রোগ প্রতিরোধে বিশ্বের বিভিন্ন দেশের বিমানবন্দরে বিশেষ সতর্কতা ব্যবস্থা চালু আছে। তবে বাংলাদেশে বিমানবন্দরে স্বাস্থ্য পরীক্ষার ব্যবস্থা থাকলেও তা খুব একটা কার্যকরী নয়।

স্বাস্থ্যবিশেষজ্ঞ ও চিকিৎসকদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, দেশে চিকুনগুনিয়াসহ সাতটি সংক্রামক রোগ ফের নতুনভাবে দেখা দিয়েছে। ইতোমধ্যে, চিকনগুনিয়া রাজধানী ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে মহামারী আকার ধারণ করেছে।

চিকুনগুনিয়া ছাড়াও সংক্রামক সাত রোগের মধ্যে রয়েছে- এইচআইভি (এইডস), ডেঙ্গু, নিপাহ, বার্ড ফ্লু, সোয়াইিন ফ্লু, ও জিকা ভাইরাস।

জানা গেছে, ১৯৮৯/৯০ সালে এইডসের প্রাদুর্ভাব ঘটে। ১৯৯৯ সালে ডেঙ্গুর দেখা দেয়। ২০০১ সালে নিপাহ ভাইরাসের সন্ধান পাওয়া যায়। বার্ড ফ্লু ধরা পড়ে ২০০৭ সালে। ২০০৮ সালে প্রথম চিকুনগুনিয়ার দেখা যায়। সোয়াইন ফ্লুর প্রার্দুভাব ঘটে ২০০৯ সালে। এছাড়া জিকা ভাইরাসের সন্ধান মেলে ২০১৪ সালে। কিন্তু কেন এসব রোগ আবারও ফিরে আসছে আর তার প্রতিরোধে করণীয় কী, তা জানতে সহায়তা নেওয়া হয় কয়েকজন বিশেষজ্ঞের।

বাঙালী কণ্ঠকে তারা বলেন, পরিবেশ দূষণের পাশাপাশি বিমানবন্দরে স্বাস্থ্য পরীক্ষায় বিশেষ সতর্কতা না থাকায় এসব রোগের প্রার্দুভাব ঘটছে।

এ বিষয়ে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক উপাচার্য ও বিশিষ্ট ভাইরোলজিস্ট অধ্যাপক নজরুল ইসলাম বলেন, দেশের বাইরে থেকে সৃষ্ট হওয়া কোনো রোগ বাহকের (মানুষ) মাধ্যমে যেন বাংলাদেশে ছড়াতে না পারে, সেজন্য বিমানবন্দরে বিশেষ সতর্কতা অবলম্বন করতে হবে। কারণ, যারা বাইরে থেকে আসেন, তাদের মাধ্যমে এসব রোগের ভাইরাস ছড়াতে পারে। এছাড়া অনেকে বিদেশ গিয়ে যখন দেশে ফেরেন, তাদের মাধ্যমেও এসব রোগের জীবাণু প্রবেশ করে। এই জীবাণু ক্রমেই রোগ ছড়ায়। ফলে, বিমানবন্দরে সতর্কতা অবলম্বনের কোনো বিকল্প নেই।

মহাখালী সংক্রামক ব্যাধি হাসপাতালের সুপার শাহ আলম তালুকদার বাঙালী কণ্ঠকে বলেন, বিমানবন্দরে সতর্কতার বিষয়টি গুরুত্বের সঙ্গে গ্রহণ করতে হবে। কারণ, পার্শ্ববর্তী রাষ্ট্র ভারতসহ বিশ্বের বিভিন্ন দেশে সংক্রামক ব্যাধি ধরা পড়লে সঙ্গে সঙ্গে ওই দেশে বিমানবন্দরে বিশেষ স্বাস্থ্য পরীক্ষার ব্যবস্থা করা হয়।

কথা হয়, ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের ভাইরোলজি বিভাগের সাবেক অধ্যাপক ফয়সল মোহাম্মদের সঙ্গে। তিনি বলেন, দেশে রোগের ওপর নজরদারি বাড়াতে হবে। একই সঙ্গে পরিবেশ দূষণ রোগ ও বিমানবন্দরে বিশেষ স্বাস্থ্য পরীক্ষার ব্যবস্থা চালু করতে হবে।

আমাদের দেশের বিমানবন্দরে স্বাস্থ্য পরীক্ষার বিষয়টি সন্তোষজনক নয় বলেও জানান তিনি।

আরো পড়ুন-