ঢাকা , শুক্রবার, ১৫ নভেম্বর ২০২৪, ৩০ কার্তিক ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

কালোবাজারির শঙ্কায় ওএমএসের চালের দাম বাড়লো দ্বিগুণ

বাঙালী কণ্ঠ নিউজঃ কালোবাজিরি হওয়ার আশঙ্কায় খোলা বাজারে বিক্রির (ওএমএস) চালের দাম দ্বিগুণ করা হয়েছে। ১৫ টাকা থেকে বাড়িয়ে ৩০ টাকা করা হয়েছে এই চালের দাম।

রবিবার সন্ধ্যায় বাঙালী কণ্ঠকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন খাদ্যমন্ত্রী কামরুল ইসলাম। তিনি জানান, ‘বাজারের সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখে এই দাম বাড়ানো হয়েছে।’

এক প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী বলেন, ‘বাজারে যখন চালের দাম ৩০ টাকা ছিল তখন ওএমএসের চালের দাম ১৫ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে। এখন বাজারে চালের দাম ৪০ থেকে ৪৫ টাকা। তাই এখন আগের দাম রাখা যুক্তিসঙ্গত নয় বলে মনে করেন তিনি।

মন্ত্রী বলেন, ‘এখন যদি আগের দামই রাখি তাহলে কালোবাজারি হওয়ার শঙ্কা থাকে। তাই যাতে কালোবাজারি না হয়, চালটা যেন সঠিকভাবে বিক্রি হয় সে জন্যই ওএমসের চালের দাম বাড়ানো হয়েছে।’

ঢাকা মহানগরীতে চালের পাশাপাশি আগের দামেই অর্থাৎ ১৭ টাকা কেজিতে আটা বিক্রি হবে। আর ঢাকার বাইরে জেলা শহরে বিক্রি হবে শুধু চাল।

রবিবার থেকে সারা দেশে ওএমএস চালু হওয়ার কথা থাকলেও সব জায়গায় চালু হয়নি। খাদ্যমন্ত্রী জানান, আশা করছি দুই-এক দিনের মধ্যে সব জায়গায় ওএমএস চালু হবে।

৬২৭টি ট্রাক থেকে ওএমএসের চাল ও আটা বিক্রি করা হবে জানিয়ে খাদ্যমন্ত্রী বলেন, ঢাকা মহানগরীতে ১২০টি ট্রাকে করে চাল ও আটা বিক্রি করা হবে, প্রতি ট্রাক থেকে দুই টন আটা ও এক টন চাল বিক্রি করা হবে। ঢাকার বাইরে বিক্রি হবে শুধু চাল। ওএমএসের প্রতি কেজি চালের গুদাম মূল্য সাড়ে ২৮ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে।

গত ১৪ সেপ্টেম্বর এক সংবাদ সম্মেলনে খাদ্যমন্ত্রী কামরুল ইসলাম জানিয়েছিলেন, ওএমএসে আগের মতোই ১৫ টাকা কেজিতে চাল এবং ১৭ টাকা কেজিতে আটা বিতরণ করা হবে। কিন্তু এই কর্মসূচি চালুর দিন দ্বিগুণ দামে চাল বিক্রি করছে সরকার।

Tag :
আপলোডকারীর তথ্য

Bangal Kantha

কালোবাজারির শঙ্কায় ওএমএসের চালের দাম বাড়লো দ্বিগুণ

আপডেট টাইম : ০২:০৭ অপরাহ্ন, রবিবার, ১৭ সেপ্টেম্বর ২০১৭

বাঙালী কণ্ঠ নিউজঃ কালোবাজিরি হওয়ার আশঙ্কায় খোলা বাজারে বিক্রির (ওএমএস) চালের দাম দ্বিগুণ করা হয়েছে। ১৫ টাকা থেকে বাড়িয়ে ৩০ টাকা করা হয়েছে এই চালের দাম।

রবিবার সন্ধ্যায় বাঙালী কণ্ঠকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন খাদ্যমন্ত্রী কামরুল ইসলাম। তিনি জানান, ‘বাজারের সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখে এই দাম বাড়ানো হয়েছে।’

এক প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী বলেন, ‘বাজারে যখন চালের দাম ৩০ টাকা ছিল তখন ওএমএসের চালের দাম ১৫ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে। এখন বাজারে চালের দাম ৪০ থেকে ৪৫ টাকা। তাই এখন আগের দাম রাখা যুক্তিসঙ্গত নয় বলে মনে করেন তিনি।

মন্ত্রী বলেন, ‘এখন যদি আগের দামই রাখি তাহলে কালোবাজারি হওয়ার শঙ্কা থাকে। তাই যাতে কালোবাজারি না হয়, চালটা যেন সঠিকভাবে বিক্রি হয় সে জন্যই ওএমসের চালের দাম বাড়ানো হয়েছে।’

ঢাকা মহানগরীতে চালের পাশাপাশি আগের দামেই অর্থাৎ ১৭ টাকা কেজিতে আটা বিক্রি হবে। আর ঢাকার বাইরে জেলা শহরে বিক্রি হবে শুধু চাল।

রবিবার থেকে সারা দেশে ওএমএস চালু হওয়ার কথা থাকলেও সব জায়গায় চালু হয়নি। খাদ্যমন্ত্রী জানান, আশা করছি দুই-এক দিনের মধ্যে সব জায়গায় ওএমএস চালু হবে।

৬২৭টি ট্রাক থেকে ওএমএসের চাল ও আটা বিক্রি করা হবে জানিয়ে খাদ্যমন্ত্রী বলেন, ঢাকা মহানগরীতে ১২০টি ট্রাকে করে চাল ও আটা বিক্রি করা হবে, প্রতি ট্রাক থেকে দুই টন আটা ও এক টন চাল বিক্রি করা হবে। ঢাকার বাইরে বিক্রি হবে শুধু চাল। ওএমএসের প্রতি কেজি চালের গুদাম মূল্য সাড়ে ২৮ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে।

গত ১৪ সেপ্টেম্বর এক সংবাদ সম্মেলনে খাদ্যমন্ত্রী কামরুল ইসলাম জানিয়েছিলেন, ওএমএসে আগের মতোই ১৫ টাকা কেজিতে চাল এবং ১৭ টাকা কেজিতে আটা বিতরণ করা হবে। কিন্তু এই কর্মসূচি চালুর দিন দ্বিগুণ দামে চাল বিক্রি করছে সরকার।