ঢাকা , শুক্রবার, ১৫ নভেম্বর ২০২৪, ৩০ কার্তিক ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

চালের দাম নিয়ন্ত্রণে আমদানি শর্ত স্থগিত

বাঙালী কণ্ঠ নিউজঃ চাল আমদানিতে পাটের বস্তাসহ বিভিন্ন শর্ত তিন মাসের জন্য স্থগিত করেছে সরকার। এতে চালের দাম কিছুটা নিয়ন্ত্রণে আসবে বলে আশা করা হচ্ছে। আগামী তিন মাস ব্যবসায়ীরা যেকোনো বস্তা বা ব্যাগে চাল আমদানি করতে পারবেন, পাটের বস্তার বাধ্যবাধকতা থাকবে না।

মঙ্গলবার সচিবালয়ে সংশ্লিষ্ট মন্ত্রীদের সঙ্গে চাল মিল মালিকদের এক বৈঠকে এই সিদ্ধান্ত হয়। বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন বাণিজ্যমন্ত্রী তোফায়েল আহমেদ, কৃষিমন্ত্রী মতিয়া চৌধুরী, খাদ্যমন্ত্রী কামরুল ইসলাম এবং সাবেক খাদ্যমন্ত্রী ড. আবদুর রাজ্জাকসহ সরকারের সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা।

দীর্ঘ বৈঠকে চাল ব্যবসায়ীরা আমদানিতে তাদের বিভিন্ন প্রতিবন্ধকতার কথা জানান। তাদেরকে হয়রানি করা হচ্ছে বলেও অভিযোগ তুলেন। এক পর্যায়ে বৈঠকে মন্ত্রীদের সঙ্গে ব্যবসায়ীদের বাকবিতণ্ডাও হয়। তবে বাণিজ্যমন্ত্রী তোফায়েল আহমেদের হস্তক্ষেপে পরিস্থিতি শান্ত হয়।

বৈঠকে বাণিজ্যমন্ত্রী ব্যবসায়ীদের উদ্দেশ্যে বলেন, চালের দাম বেড়েই চলেছে। এতে ভোক্তারা কষ্টে আছে। যেকোনো মূল্যে আমাদের সবাই মিলে চালের দাম নিয়ন্ত্রণ করতে হবে। এ ব্যাপারে তিনি ব্যবসায়ীদের কাছে প্রকৃত সমস্যা সম্পর্কে জানতে চান।

পরে ব্যবসায়ী নেতারা তাদের বক্তব্যে জানান, চাল আমদানির ক্ষেত্রে পাটের বস্তার বাধ্যবাধকতাসহ বিভিন্ন প্রতিবন্ধকতা রয়েছে। এছাড়া চালের ট্রাক আটকে থাকা, আইনশৃঙ্খলা বাহিনী দ্বারা ব্যবসায়ীদের হয়রানির শিকার হওয়ার অভিযোগ তুলেন তারা। পরে চাল আমদানির ক্ষেত্রে সবধরনের শর্তে তিন মাসের জন্য স্থগিতের কথা জানানো হয় সরকারের পক্ষ থেকে।

তোফায়েল আহমেদ আশা করছেন, এই শর্ত স্থগিতের কারণে চালের কেজিতে দুই টাকা করে কমে আসবে।

এ সময় বাণিজ্যমন্ত্রী জানান, ভারত থেকে সরকারিভাবে কীভাবে চাল আমদানি করা যায় এ ব্যাপারে সরকার ভাবছে। এছাড়া চালের ট্রাক আটকে থাকার জটিলতা নিরসনে ট্রেনে করে চাল আমদানি করা যায় কি না এ ব্যাপারেও সরকার ভাবছে বলে জানান তোফায়েল।

বৈঠকে কৃষিমন্ত্রী মতিয়া চৌধুরী এবং খাদ্যমন্ত্রী কামরুল ইসলাম চাল মিল মালিকদের অভিযোগ করে বিভিন্ন বক্তব্য দেন। এতে মিল মালিকরা ক্ষুব্ধ হন এবং সভায় কিছুটা হট্টগোলের সৃষ্টি হয়। পরে বাণিজ্যমন্ত্রীর হস্তক্ষেপে পরিস্থিতি স্বাভাবিক হয় এবং চালের দাম স্বাভাবিক পর্যায়ে নিয়ে আসতে সরকার ও ব্যবসায়ীরা যৌথভাবে কাজ করার ব্যাপারে সিদ্ধান্ত হয়।

Tag :
আপলোডকারীর তথ্য

Bangal Kantha

চালের দাম নিয়ন্ত্রণে আমদানি শর্ত স্থগিত

আপডেট টাইম : ১১:০৭ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৯ সেপ্টেম্বর ২০১৭

বাঙালী কণ্ঠ নিউজঃ চাল আমদানিতে পাটের বস্তাসহ বিভিন্ন শর্ত তিন মাসের জন্য স্থগিত করেছে সরকার। এতে চালের দাম কিছুটা নিয়ন্ত্রণে আসবে বলে আশা করা হচ্ছে। আগামী তিন মাস ব্যবসায়ীরা যেকোনো বস্তা বা ব্যাগে চাল আমদানি করতে পারবেন, পাটের বস্তার বাধ্যবাধকতা থাকবে না।

মঙ্গলবার সচিবালয়ে সংশ্লিষ্ট মন্ত্রীদের সঙ্গে চাল মিল মালিকদের এক বৈঠকে এই সিদ্ধান্ত হয়। বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন বাণিজ্যমন্ত্রী তোফায়েল আহমেদ, কৃষিমন্ত্রী মতিয়া চৌধুরী, খাদ্যমন্ত্রী কামরুল ইসলাম এবং সাবেক খাদ্যমন্ত্রী ড. আবদুর রাজ্জাকসহ সরকারের সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা।

দীর্ঘ বৈঠকে চাল ব্যবসায়ীরা আমদানিতে তাদের বিভিন্ন প্রতিবন্ধকতার কথা জানান। তাদেরকে হয়রানি করা হচ্ছে বলেও অভিযোগ তুলেন। এক পর্যায়ে বৈঠকে মন্ত্রীদের সঙ্গে ব্যবসায়ীদের বাকবিতণ্ডাও হয়। তবে বাণিজ্যমন্ত্রী তোফায়েল আহমেদের হস্তক্ষেপে পরিস্থিতি শান্ত হয়।

বৈঠকে বাণিজ্যমন্ত্রী ব্যবসায়ীদের উদ্দেশ্যে বলেন, চালের দাম বেড়েই চলেছে। এতে ভোক্তারা কষ্টে আছে। যেকোনো মূল্যে আমাদের সবাই মিলে চালের দাম নিয়ন্ত্রণ করতে হবে। এ ব্যাপারে তিনি ব্যবসায়ীদের কাছে প্রকৃত সমস্যা সম্পর্কে জানতে চান।

পরে ব্যবসায়ী নেতারা তাদের বক্তব্যে জানান, চাল আমদানির ক্ষেত্রে পাটের বস্তার বাধ্যবাধকতাসহ বিভিন্ন প্রতিবন্ধকতা রয়েছে। এছাড়া চালের ট্রাক আটকে থাকা, আইনশৃঙ্খলা বাহিনী দ্বারা ব্যবসায়ীদের হয়রানির শিকার হওয়ার অভিযোগ তুলেন তারা। পরে চাল আমদানির ক্ষেত্রে সবধরনের শর্তে তিন মাসের জন্য স্থগিতের কথা জানানো হয় সরকারের পক্ষ থেকে।

তোফায়েল আহমেদ আশা করছেন, এই শর্ত স্থগিতের কারণে চালের কেজিতে দুই টাকা করে কমে আসবে।

এ সময় বাণিজ্যমন্ত্রী জানান, ভারত থেকে সরকারিভাবে কীভাবে চাল আমদানি করা যায় এ ব্যাপারে সরকার ভাবছে। এছাড়া চালের ট্রাক আটকে থাকার জটিলতা নিরসনে ট্রেনে করে চাল আমদানি করা যায় কি না এ ব্যাপারেও সরকার ভাবছে বলে জানান তোফায়েল।

বৈঠকে কৃষিমন্ত্রী মতিয়া চৌধুরী এবং খাদ্যমন্ত্রী কামরুল ইসলাম চাল মিল মালিকদের অভিযোগ করে বিভিন্ন বক্তব্য দেন। এতে মিল মালিকরা ক্ষুব্ধ হন এবং সভায় কিছুটা হট্টগোলের সৃষ্টি হয়। পরে বাণিজ্যমন্ত্রীর হস্তক্ষেপে পরিস্থিতি স্বাভাবিক হয় এবং চালের দাম স্বাভাবিক পর্যায়ে নিয়ে আসতে সরকার ও ব্যবসায়ীরা যৌথভাবে কাজ করার ব্যাপারে সিদ্ধান্ত হয়।