বাঙালী কণ্ঠ নিউজঃ পোলট্রি শিল্পে ব্যাংক ঋণ সুবিধা থাকলেও সেই সুবিধা পাচ্ছে কেবল বড় বড় শিল্প প্রতিষ্ঠান। আর ঋণ সুবিধা না পেয়ে অনেক ক্ষুদ্র ও মাঝারি খামার এরই মধ্যে বন্ধ হয়ে গেছে। আরো অনেক প্রতিষ্ঠান বন্ধ হওয়ার পথে বলে জানিয়েছে বাংলাদেশ পোলট্রি ইন্ডাস্ট্রিজ সেন্ট্রাল কাউন্সিল (বিপিআইসিসি)।
তারা বলছে, ২০০৭ সালের দিকে দেশে প্রায় দেড় লাখ পোলট্রি খামার থাকলেও গত ১০ বছরে অর্ধেকেরও বেশী কমে বর্তমানে ৬৫ হাজারের মতো খামার টিকে আছে।
সংস্থাটি জানায়, বর্তমানে ৭টি বিদেশি কোম্পানি সরকারের অনুমতি নিয়ে বাংলাদেশে ব্যবসা করছে। এর মধ্যে ৫টিই ভারতের। কোম্পানিগুলো হচ্ছে, ভিএইচ গ্রুপ, গোদরেজ, সেগুনা, টাটা এবং অমৃত গ্রুপ। এছাড়া থাইল্যান্ডের সিপি এবং চীনা প্রতিষ্ঠান নিউ হোপ দাপটের সঙ্গে বাংলাদেশে ব্যবসা করছে। এসব বড় কোম্পানি ব্যাংক ঋণ সুবিধা পেলেও ক্ষুদ্র ও মাঝারি কোম্পানিগুলো ঋণ সুবিধা থেকে বঞ্চিত। ফলে ভবিষ্যতে বিদেশি কোম্পানিগুলোর কাছে ক্ষুদ্র ও মাঝারি দেশি কোম্পানিগুলো জিম্মি হয়ে পড়ার শঙ্কা তৈরি হয়েছে।
এ বিষয়ে যশোর জেলার কড়িয়াখালী গ্রামের শাহাবুদ্দীন বলেন, আমার আগে পোলট্রি খামার ছিলো। কিন্তু ব্যাংকে বিভিন্ন সময় আবেদন করেও ঋণ পাইনি। যার কারণে ডিলারদের কাছ থেকে বাকিতে মুরগীর বাচ্চা, খাবার ও মেডিসিন কিনতে হয়েছে। ঋণ সুবিধা পেলে ডিলারদের কাছ থেকে বেশি দামে পণ্য কিনতে হতো। লোকসানেও পড়তে হতো না। এখন ফার্ম তুলে দিয়ে ভাড়ার মোটরসাইকেল চালাই।
একই গ্রামের মনসুর আলী বলেন, অনেক স্বপ্ন নিয়ে খামার দিয়েছিলাম। কিন্তু ভ্যাগ্যের নির্মম পরিহাসে সেটা বেশি দিন টিকে থাকেনি। মানুষের কাছ থেকে ধার দেনা ও এনজিও থেকে লোন নিয়েছিলাম। কিন্তু বছর না পেরুতেই খামার বন্ধ করে দিয়ে কাঁচামালের ব্যবসা করছি।
এভাবে যশোর অঞ্চলের অধিকাংশ ক্ষুদ্র খামার বন্ধ হয়ে যাচ্ছে বলেও দাবি করেন তিনি।
বাংলাদেশ পোলট্রি ইন্ডাস্ট্রিজ এসোসিয়েশনের মহাসচিব মঞ্জুর মোর্শেদ বাংলানিউজকে বলেন, পোলট্রি শিল্পে বড়