বাঙালী কণ্ঠ নিউজঃ নতুন আলুর দাম ১৪০ টাকা উঠেছে। তবে এ আলু বাংলাদেশে নয়, প্রতিবেশী দেশ ভারত থেকে আসছে বলে জানিয়েছেন ব্যবসায়ীরা। শনিবার চট্টগ্রাম নগরীর কাজীর দেউড়ি বাজারে এ নতুন আলু দেখা মিললো।
বিক্রেতারা জানান, সপ্তাহখানেক ধরে প্রতিদিন ২০০ কেজি ইন্ডিয়ান নয়া আলু আসে কাজীর দেউড়ি বাজারে। তিনজন বিক্রেতা ওই আলু ভাগ করে নিই। দিন দিন চাহিদাও বাড়ছে।
বাজারে কেনাকাটা করতে আসা গৃহিহণী রোকসানা বেগম বলেন, নতুন আলুর টেস্টই আলাদা। দেড়শ টাকা দাম হাঁকছে। আধাকেজি ৭০ টাকা নিল।
রিয়াজউদ্দিন বাজারে আলুর পাইকারি আড়ত মেসার্স মক্কা বাণিজ্যালয়ের ম্যানেজার জানান, নতুন আলু এখনো আড়তে আসেনি। এবার টানা বৃষ্টিপাত ও দফায় দফায় বন্যার কারণে নতুন আলু বাজারে আসতে আরও মাসখানেক সময় লাগবে।
ভারত থেকে নতুন আলু আসার বিষয়টি স্বীকার করে তিনি বলেন, শীতকালের শুরুতে নতুন আলুর স্বাদই আলাদা থাকে। বাজারে চাহিদা আছে বলেই কেউ কেউ আমদানি করছে। বর্তমানে পাইকারিতে সবচেয়ে ভালো মানের মুন্সিগঞ্জ ও উত্তরবঙ্গের প্রতিকেজি কাঠি লাল আলু বিক্রি হচ্ছে ১২ থেকে সাড়ে ১২ টাকা। লম্বাটে ডায়মন্ড আলু ১১-১২ টাকা বিক্রি হচ্ছে।
রাজমহল বাণিজ্যালয়ের আবুল কালাম জানান, পাইকারিতে সবচেয়ে কমদামি আলুটা হচ্ছে গেনিলা। প্রতিকেজি ৬-৭ টাকা। চ্যাপ্টা গোলাকার আকৃতি ও রান্না করার পর একটু পানসে হওয়ায় চাহিদা কম।
তিনি জানান, ৮০ কেজির এক বস্তা আলু কেনার সময় ১০ টাকা আড়তদারি, ২০ টাকা লেবার খরচ দিতে হয়। এরপর তার গাড়িভাড়া ও আনুষাঙ্গিক খরচ যোগ করে খুচরা দাম নির্ধারণ করেন। তবে হিসাবের চেয়ে খুচরা দামটা তুলনামূলক বেশি।
আবুল কালামের মতে, এবার আলুর দাম সহনীয় ছিল। তাই অনেক বেপারি লোকসানের মুখে পড়েছেন। হিমাগারে রাখা আলুর এখন যে দাম তাতে কেজিতে ৭-৮ টাকা ক্ষতি হচ্ছে তাদের।
আসকার দীঘির পাড়ের একজন মুদি দোকানি বাঙালী কণ্ঠকে বলেন, এক বস্তা আলু কিনলে তিন-চার কেজি পচা-গলা,